রাখী সরদার [পাঁশকুড়া]
আহুতি
আমি ও আমার কবিতার মাঝে
আগুন ধরাতে বললে!
হে প্রাগৈতিহাসিক অগ্নি
পুড়িয়ে দাও আমার অলীক সুগন্ধ
সমস্ত শব্দের ক্ষুধা
ধ্যানের ভিতর সাদা সাদা ছাই
অক্ষর সমান ভারী,কিভাবে
ধারণ করি! মাথার উপর
জ্ঞানী আকাশ স্তব্ধ উদাসীন।
কিছু বোঝার আগেই
ধূসর খাতাটি ডানা মেলে
উড়ে গেল আকাশ পেরিয়ে...
অভিমানী
দূরত্ব ফুরিয়ে যে নদী গোপনে কাঁদে
তুমি কি বোঝ তার দহন?
সে বিষাদ আগুনে পুড়ে কাঠ
মাছের নীরস ঠোঁট,ক্ষত ভেঙে
ঢেউ গুলো যেভাবে করুণ...
ভয় হয় তলহীন অতল,
টেনে নেবে নিঃশব্দ অধরে।
যদি তাই হয়
নদীর বিষয়ে ভুলে যেও
আত্মধ্বংসে নদী ও নারী
দুজনে অশনি ওম
শূন্য স্রোতে ছাই হয়ে পড়ে।
নিঃস্ব হওয়ার দিনে
কতদূর বয়ে যায়
গোপন বাতাস? কতভাবে
জমতে থাকে বুকের কুয়াশা?
জানা নেই... কিছু জানা নেই
দিগন্তরেখায় কাঁপে
ঠান্ডা ভবিষ্যৎ, কাছে দূরে
দেহজ বিষাদ
অনাদরে মাথা নীচু আমলকী ছায়া
গাছেরা দাঁড়িয়ে শূন্য মনে,
ক্ষত ঢেকে চুপচাপ...
তীব্র হি-হি-অন্ধকারে শুনি
পতনের শব্দ,শুধু কাঁপনের শব্দ...
দুরন্ত সমুদ্র
সবাই বললো -তুমি নাকি আস্ত পাগল!
রাতের পর রাত কবিতা লেখো,
খিদে পেলে সিগারেট খাও
কাম,ক্রোধে নিজেকেই খুন করো
অক্ষর ছুঁড়ে ছুঁড়ে!
তোমার প্রতি সবার দারুণ অবিশ্বাস
ওরা ভাবে তোমার
নিঃশ্বাসের বায়ু মলিন...বিপজ্জনক
কাছে গেলেই নিঃস্ফলতার বোঁটকা গন্ধ,গা গুলিয়ে ওঠে।
আমার তো মনে হয়
তুমি আরও, আরও সাংঘাতিক...
মানুষের মাঝখানে টিকে থাকা
এক কঠিন অবজ্ঞা,যার সংস্পর্শে
বুকের ভিতর দাউ দাউ বিশৃঙ্খলা
একমাত্র চোখ, তোমার চাহনির
পুষ্টতায় কেঁপে ওঠে ভিতরের মোহনা,
তিরতির জলের শব্দ...জলচ্ছলে
ভেসে যাই,টের পাই চঞ্চল উন্মাদনা...
সে ও তার বিগ্রহ
ধীরে,ধীরে জাগো মাধবীলতা
স্বপ্নের কোরকে মাথা রেখে
সে এখন ঘুমায়...
কাকে দেব আকুতির নৈবেদ্য
দুঃখ এখন চায় উষ্ণতা
আনন্দসংকুল আমলকী ফুল।
সে কী জেগেছে তবে!
পুরাতন দ্বন্দ্বদৃশ্য ফেলে চিনেছে
শরীর পরম,
প্রসন্ন অন্ধকারে জ্বলে ওঠা
আমার সম্পূর্ণ।
আমি ও আমার কবিতার মাঝে
আগুন ধরাতে বললে!
হে প্রাগৈতিহাসিক অগ্নি
পুড়িয়ে দাও আমার অলীক সুগন্ধ
সমস্ত শব্দের ক্ষুধা
ধ্যানের ভিতর সাদা সাদা ছাই
অক্ষর সমান ভারী,কিভাবে
ধারণ করি! মাথার উপর
জ্ঞানী আকাশ স্তব্ধ উদাসীন।
কিছু বোঝার আগেই
ধূসর খাতাটি ডানা মেলে
উড়ে গেল আকাশ পেরিয়ে...
অভিমানী
দূরত্ব ফুরিয়ে যে নদী গোপনে কাঁদে
তুমি কি বোঝ তার দহন?
সে বিষাদ আগুনে পুড়ে কাঠ
মাছের নীরস ঠোঁট,ক্ষত ভেঙে
ঢেউ গুলো যেভাবে করুণ...
ভয় হয় তলহীন অতল,
টেনে নেবে নিঃশব্দ অধরে।
যদি তাই হয়
নদীর বিষয়ে ভুলে যেও
আত্মধ্বংসে নদী ও নারী
দুজনে অশনি ওম
শূন্য স্রোতে ছাই হয়ে পড়ে।
নিঃস্ব হওয়ার দিনে
কতদূর বয়ে যায়
গোপন বাতাস? কতভাবে
জমতে থাকে বুকের কুয়াশা?
জানা নেই... কিছু জানা নেই
দিগন্তরেখায় কাঁপে
ঠান্ডা ভবিষ্যৎ, কাছে দূরে
দেহজ বিষাদ
অনাদরে মাথা নীচু আমলকী ছায়া
গাছেরা দাঁড়িয়ে শূন্য মনে,
ক্ষত ঢেকে চুপচাপ...
তীব্র হি-হি-অন্ধকারে শুনি
পতনের শব্দ,শুধু কাঁপনের শব্দ...
দুরন্ত সমুদ্র
সবাই বললো -তুমি নাকি আস্ত পাগল!
রাতের পর রাত কবিতা লেখো,
খিদে পেলে সিগারেট খাও
কাম,ক্রোধে নিজেকেই খুন করো
অক্ষর ছুঁড়ে ছুঁড়ে!
তোমার প্রতি সবার দারুণ অবিশ্বাস
ওরা ভাবে তোমার
নিঃশ্বাসের বায়ু মলিন...বিপজ্জনক
কাছে গেলেই নিঃস্ফলতার বোঁটকা গন্ধ,গা গুলিয়ে ওঠে।
আমার তো মনে হয়
তুমি আরও, আরও সাংঘাতিক...
মানুষের মাঝখানে টিকে থাকা
এক কঠিন অবজ্ঞা,যার সংস্পর্শে
বুকের ভিতর দাউ দাউ বিশৃঙ্খলা
একমাত্র চোখ, তোমার চাহনির
পুষ্টতায় কেঁপে ওঠে ভিতরের মোহনা,
তিরতির জলের শব্দ...জলচ্ছলে
ভেসে যাই,টের পাই চঞ্চল উন্মাদনা...
সে ও তার বিগ্রহ
ধীরে,ধীরে জাগো মাধবীলতা
স্বপ্নের কোরকে মাথা রেখে
সে এখন ঘুমায়...
কাকে দেব আকুতির নৈবেদ্য
দুঃখ এখন চায় উষ্ণতা
আনন্দসংকুল আমলকী ফুল।
সে কী জেগেছে তবে!
পুরাতন দ্বন্দ্বদৃশ্য ফেলে চিনেছে
শরীর পরম,
প্রসন্ন অন্ধকারে জ্বলে ওঠা
আমার সম্পূর্ণ।

2 comments:
আত্মধ্বংসে নদী ও নারী
দুজনে অশনি ওম
শূন্য স্রোতে ছাই হয়ে পড়ে।...আহা, আহা। চমৎকার বুনোট।
কবিতায় এত আনন্দ পাওয়া যায়, এই লেখা গুলো তার উদাহরণ। আহ্, দারুণ!
Post a Comment