Saturday, October 24, 2020
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ সুব্রত পণ্ডিত ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ বিশ্বজিৎ দাস ≈
১.
একজন স্বপ্নের নেপথ্যে ভেসে যায়
ক্রাইমের অমিয় জেনেছে দোলনায়
ঘুমানো বালিশে চেপে রেখেছে দো-নলা
স্বপ্নবাজ
আশ্বিনের ঘোড়া একটু আগে
হয়েছে আহত, বলো সাদা হত্যার কাহিনী আর
রিপোর্ট লিখেছে শারদীয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট তাঁর
কি হল? কি হল শারদের অগোচরে?
পুজার দেহের ছবি এসেছে তদন্তে
হলুদের হাতে জেনেছে বকুল মৃত হাওয়া রাত...
২.
মূলত স্বপ্নের কাছে এ হত্যার ছবি
স্বপ্ন দেখা আর খুন চেপে যাওয়া সব
ঘটনাবলীর আড়ালে রয়েছে একটাই প্রস্তাবনা
বুকলের কাছে পুজা কিংবা নরম বস্তু প্রিয়তা
এসবই ছিল অস্তিত্বে; মনোরোগ সাসপেক্ট কিনা
বুঝতে পারে না অমিয়। শারদীয়াও অদ্ভুত হয়ে
তাকিয়ে রয়েছে শুধু, মাংসের ভিতরে
এ কোন গর্জন? এ স্নায়ুর কাছে কেন
পৃথিবীর সব থিয়োরি বাতিল হল?
শুধুই জ্যোৎস্নার অনুবাদ হয় রক্তাক্ত পুঁজে...
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ নিলয় নন্দী ≈
সারমেয় কথা
লেজ নাড়ানোই ভবিতব্য ছিল।
মাথায় রক্ত উঠে যাওয়ার আগে সংকুচিত শ্বাদন্ত
ধারালো নখর আর অবিরাম ঘেউঘেউ...
এখন ইলাস্টিক হাড়, এখন পেডিগ্রি, নুয়ে থাকা
মেখে নেওয়া অনিবার্য ধুলো বা মাংসের ঘ্রাণ
ছায়া, সে যত অসৎ হোক, চিৎকার নয়
ঢুলন্ত দুপুরে হাই তোলে টেবিল ফ্যান
মাছি ওড়ে, ক্ষত খুঁজে নেয়।
শিকার সরে যায়। সরে যায় প্রবণতা অসুখ।
প্রকাশ্যে প্রভুভক্ত। আড়ালে নিরাসক্ত মুখ।
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ শম্পা মনিমা ≈
খুব মনে পড়ে তোমার কথা
তাইতো ঘুমাইনা
ভুলি যাই তোমার কথা ঘুমিয়ে পড়লে
জেগে থাকি যতটা সময় ততক্ষণ তুমি থাকো
কতো কথা জমে আছে মুগ্ধ মৌন হয়ে
বলবো, উদাস বসা চোখ নিয়ে তুমি শুনবে
শুনতে শুনতে হাসবে,
হেসে উথলে উঠবে চোখে জল
গড়িয়ে পড়বে হাতের তালুতে
মুঠো খুলে ধরে রাখবো
হারিয়ে যাওয়া দিনে
কোথাও যখন পাইনা
মুঠো খুলে দেখি তুমি আছো
দেখা হবে,
নাইবা হলো এখন দেখা
কথা বলা অথবা তোমাকে পাওয়া
হয়ে যাবে বছরের বয়স হলে
গা তাপানো রোদ্দুর নোনাজলে
কিংবা স্নান করে পাবে ছোঁয়া –
দেখা নাও হতে পারে
মেঘেরা জড়ো হবে চোখে আলগোছে
ভাববো তুমি রয়েছো
তোমারও মনে আসবে পুরানো খাতা উলটে
ভাববে আনমনে – আমি তো ছিলাম
তুমি না হয় ভাববে
এভাবেই আমি ছিলাম, তোমার কাছে।
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ সুকান্ত ঘোষাল ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ সোনালী মন্ডল আইচ ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায় ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ আমিনুল ইসলাম ≈
জানালা নেই
চোখ পারাপারে
নিষেধাজ্ঞা
১টা দীর্ঘ আড়াল
জমেছে মনে...
বরফের শুভ্রতা দিয়ে
ছড়িয়েছে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ
নিজের সাথে নিজের
অন্যের সাথে পরের
এবং
দিকনির্ণয় যন্ত্রের মতোই
তাদের আচরণ!
ওইদিকেই দেয়াল...
শক্ত কঠিন
কংক্রিটের
যেখানে পৌঁছে গেলে
পিঠ ঠেকে যায়!
অভিমুখ বদলে যায় নদীর...
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ শীর্ষা ≈
রঙ ও খিদে
কালো রঙ আমাকে গ্রাস করে একটু একটু করে। রোজ। একটি ফুটফুটে জ্যোৎস্না মেখে রাত্রির বুকে মাথা রেখে হাওয়া খেতে বেরোই। আমার ললাটের সঙ্গে মালতীলতা পাতিয়ে গুটি গুটি পায়ের একটা কালো বেড়াল সিগারেট ধরায়। ঈর্ষার সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে জ্যোৎস্নারুটির সাদাকে আরাম করে চিবোয় সে। এরপর আমার সাদা দাঁতের দিকে তাকায়। সাদা চোখের মণির দিকে তাকায়। আমি না না করে উঠি চিৎকার আর ভয়ের সমন্বয় রেখে। কালো বেড়াল ওর হাঁ-টুকু নিয়ে তেড়ে আসে আমার দিকে। যন্ত্রণার কালো গন্ধ আমার পরাজিত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে। ওঁ শরীরকাঠ দেখে সবটুকু সাদা খাবার পর আমার পিঠে কালো লোমশ চুলের ঝরনা এলিয়ে দিয়ে আরামের বমন তুলছে বেড়ালটি। ফিরিয়ে দিচ্ছে লালামাখানো সাদাকে। পরবর্তী ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য।
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ মৌসুমী চৌধুরী ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ কামরুল হাসান কামু ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ কাজী শোয়েব শাবাব ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ রাজা দেবরায় ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ সৃজা রায় ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ পারমিতা ভট্টাচার্য ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ বিপাশা ভট্টাচার্য ≈
≈ বিকাশ দাস সংখ্যা ≈ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ≈
প্রায় ছ’মাস বাদে করেদের বাড়ির খড়খড়ি দেওয়া জানালা খোলা দেখে পাড়ার লোকজন বেশ উৎসুক হয়ে পড়েছিল । শুধু তাই নয়, সেই জানালায় একটা মেয়েকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল । বাড়িটা করেরা বিক্রি করে দিয়েছিল বলে পাড়ার সকলে জানত । তারপর থেকে বাড়িটা বন্ধই ছিল । তাহলে কখন নতুন লোকজন এলো আর জিনিষপত্রই বা এলো কবে ?
সমাধান করে দিলো পাড়ার গেজেটার সান্টু । জিনিসপত্র সমেত বাড়ি বিক্রি করেছে করেরা । আর এদের জিনিস কিছুদিনের মধ্যেই এসে যাবে । এদের ফ্যামিলিতে আছে মা বাবা আর মেয়ে । আর বাড়ির পুরনো কাজের মেয়ে হারুর মা ।
কিছুদিন যেতে দেখা গেল এরা মিশুকে নয় । বাজারে বা পথে দেখা হলে সামান্য হেসে মুখটা অন্যদিকে করে চলে যায় বাড়ির কর্তা । বাকিরা কেউ বের হয় না বাড়ি থেকে । তবে মেয়েটি সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত ওই জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে । স্নান-খাওয়ার সময়টাও বাঁধা । মুখে সবসময় হাসি লেগে আছে । এই হাসি তার রূপকে আরও বাড়িয়ে দেয় ।
পাড়ার কমবয়সী ছেলে-ছোকরাদের যাতায়াত করেদের বাড়ির সামনের রাস্তায় বেড়ে গেছে । গ্রামের কর্তাব্যক্তিরা বেশ অসন্তুষ্ট মেয়েটির বাবার ওপর । তাদের বক্তব্য, ‘মেয়ে চরম নির্লজ্জ । আর বাপ তাকে শাসন না করে ধিঙ্গি হতে ইন্ধন জোগাচ্ছে ।’ এসব কথা বললেও তার নিজেরাও লুকিয়ে-চুরিয়ে ওই মেয়েকে দেখতে যায় ।
কেটে গেছে ছ’টা মাস । একদিন সান্টু ছুটতে-ছুটতে চন্ডীমন্ডপে এলো ।
‘তোমরা কি খবরটা শুনেছ ?’
নন্দীখুড়ো বলে, ‘কী করে শুনব বাবা ? তুমি হলে আমাদের গ্রামের গেজেটার । তুমি খবর না দিলে আমরা পাই কী করে ?’
‘ওই মেয়েটা গো, যারা এখন করেদের বাড়িটা কিনেছে ...’
সান্টুকে কথাটা শেষ করতে না দিয়ে নন্দীখুড়ো প্রায় ভেংচে ওঠে, ‘আবার কী করেছে ঐ গুণনিধি ?’
‘আহ্, আগে শোনো । ওই মেয়ে অন্ধ । ব্রেন টিউমার অপারেশনের পর তার দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছিল । আজ কলকাতায় যাচ্ছে । একটা চোখ ম্যাচ করেছে । অপারেশন হবার দেখতে পেতেও পারে । মানে ডাক্তার তেমন সম্ভাবনার কথা বলেছেন ।’
গোটা চন্ডীমন্ডপ থমথম করছে । মানুষগুলোর ভেতর একটাই কথা ঘুরে-ফিরে আসছে । অন্ধ মানুষের অসহায় দৃষ্টি চিনতে না পেরে অনায়াসে তারা বেহায়া বলে দেগে দিয়েছিল মেয়েটাকে । এখন চোখ ফিরে পেয়ে সেই মেয়ে তাদের চোখের দিকে যখন তাকাবে, তাদের নির্লজ্জতা বুঝে নেবে না তো ?



















