Showing posts with label শারদীয় ২০ চারনকবি বৈদ্যনাথ. Show all posts
Showing posts with label শারদীয় ২০ চারনকবি বৈদ্যনাথ. Show all posts

Wednesday, October 14, 2020

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা



আজকের সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন শারদীয় সংখ্যা প্রেম ও প্রতিবাদের কবি চারণকবি বৈদ্যনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা জানালো। প্রণাম


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ সুব্রত পণ্ডিত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সুব্রত পণ্ডিতের কলমে চারণকবি বৈদ্যনাথ:



চারণকবি বৈদ্যনাথ ফুল ও মশালের কবি।প্রতিষ্ঠান বিরোধী। প্রকৃত অর্থে বোহেমিয়ান।বিশ শতকের শুরুতে বাংলা কবিতার যে পালাবদল শুরু।হয়েছিলো সেখান থেকেই বৈদ্যনাথের যাত্রা শুরু। সম্পাদনা করেছেন— ফল্গু ও খড়্গ পত্রিকা। লিখেছেন একাধিক পুস্তিকা— দেয়ালের অক্ষর(১৯৬২),বাংলা মা (১৯৭১),বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস।ইত্যাদি (১৯৭৬), রাজনৈতিক কবিতা (১৯৭৮), রূপশালী মেয়ে (১৯৮১), বৈদ্যনাথের পদ্য (১৯৮৯) ইত্যাদি।পঞ্চাশের দশকে নিউ আর্টিস্ট গ্রুপ নামে নাট্যদল গড়েছিলেন।লিখেছেন মঞ্চ সফল ২টি নাটক—পথ এবং রঙের গোলাম। লিখেছেন অনু-উপন্যাস —কর্ণ সোমের ডায়রি (১৯৬১)। কাব্য উপন্যাস— ঘেঁটু। রোমান্টিক উপন্যাস— রেণু নেই বসন্ত নেই। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন কেম্ব্রিজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ম্যান অব দ্য ইয়ার (১৯৯৭-৯৮)। এই বর্ণময় মানুষটিকে জানাই আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ সুশীল হাটুই ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সুশীল হাটুই


ব্ল্যাকহোলের হোলস্কোয়ার

অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে কেন
রসক্ষরণ হয়, প্রোটনকণারা সে-বিষয়ে
নীরব।
তবে ইলেকট্রনের অ্যালবাম খুললেই স্পষ্ট
হয়ে ওঠে, সাইটোপ্লাজমের ৫১ টা দরজায়
৫২ টা ফেভিকলনামা।
প্লাজামার বাৎসল্য বুবিট্রাপের পিনকোড
দিয়ে রেটিনার মাৎসর্য অনুবাদ করে।
আর ইচ্ছামৃত্যুর ইয়েলো জার্নি ফুলস্টপের
হলদে কোরাসে যোগ দিয়ে একেশ্বরবাদে
বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
ফায়ারপ্লেসের শীৎকার নিম্বাস মেঘের
অ্যাকওর্ডিয়ান বাদনের ওপর নির্ভর করে না।
এই ভার্জিন দুপুরে ব্ল্যাকহোলের
হোলস্কোয়ারের অনার্য সম্পাদ্যগুলি এপিটাফ
মেখে ঘুমোচ্ছে।
ফিউজ বাল্বগুলি অন্ধকার অনুবাদের
আঁতরপ্রিনর না-পেয়ে মিশে যাচ্ছে জবাফুলের
সন্ন্যাসযোগে।
তারই সাইডএফেক্টে নিউরনের ক্লাসরুমে
ব্যান হয়ে যাচ্ছে বরফের রূপকথা। 



≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ অলোক বিশ্বাস ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
অলোক বিশ্বাস



অণুগল্প~ বিভিন্ন লোক্যালিটি  

চায়ের দোকানে এক হনুমান ঢুকে সে কী হুলুস্থুল... কে যেন ওখানে কার্ল মার্কসের ছবির পাশে জাক দেরিদার একটা স্কেচ এঁকে রেখেছিল... মুহূর্তে সব ওলোটপালোট... এমনকি ফালগুনী রায়ের কবিতার বই 'নষ্ট আত্মার টেলিভিশন' বিভিন্ন চরিত্রের সংবাদপত্রের ভেতরে ঢুকেছিল... যেটা হনুমানের অ্যাকশনে হুশ করে ছিটকে পড়লো কয়লার উনুনের ওপর... আমি ছুট্টে গিয়ে একটা হাত পাখার হুইপ দিয়ে বইটা দোকানের বাইরে করে দিলাম... কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা  আঁতেল এক তরুণী আমাকে ধমকে বলে উঠলো, এটা আপনি কী করলেন ? আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে, মেয়েটি বললো, সে নাকি ফালগুনী রায়ের বংশধর... সেই মুহূর্তে আকাশ গর্জন করে উঠলো বিদ্যুৎ... আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, হনুমানটি চায়ের দোকানে ঢুকলো কেন... মেয়েটি তখন যা বললো, সেটা শুনে আমি বিস্মিত... চায়ের দোকানে এক লম্পট ঢুকে নাকি প্রথমে দোকানদারকে থ্রেট করে, তারপর একা উদাসীনভাবে চা পানে রত মেয়েটার মাই টিপে দেয় সজোরে...কিছু দূরে গাছে বসে দৃশ্যটা দেখে ফেলে ওই হনুমান... চাওয়ালা নিশ্চয়ই লম্পটের ব্যবহার দেখেছিল, কিন্তু সে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করলো না কেন, কেন চ্যালেঞ্জ করলো না ওই লম্পটকে... চাওয়ালা যেটা পারেনি, হনুমান সেটা করে দেখিয়ে দিল... ওই হনুমানকে মেয়েটি ভালোবাসে... খেতে দেয় টিফিনের কলা আর রুটি... সেই হনুমান প্রতিবাদে ফেটে তছনছ করে দিলো দোকান... মেয়েটা অবশেষে আমার হাত চেপে ধরে বলতে থাকে, আপনি ওই বইটা বাঁচিয়ে দিলেন... আপনি না এলে ফালগুনী রায় আগুনে পুড়ে যেতো...


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ স্বপন রায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
স্বপন রায়


                         উদাসীন মল্ট                                   

৮.

 আমাদের গ্যাং, আমাদের উদাসীন মল্ট

 

আমি অবাকবিদ্ধ জেনে তুমি অপাপ

তুমি ঠিক না আমি, আমাদের গ্যাং

 

শোনো বাওয়াল খয়েরি হচ্ছে, শোনোনা

আমরা কোয়েলে পা রাখি, সঙ্গমটা দূরে হোক

 

যাদের পেট আছে তাদেরও ঠাসা আছে ইলেকট্রন

নাভির কথা থাক, উদাসীন মল্ট তাই শুয়ে আছে

খেত ছেড়ে উঠছে না

 

আমি বিদ্যুৎ, তুমিও। চমকাই। মেশিনগুলো গরম না হলে

দাঙ্গা হতে কতক্ষণ

 

আমাদের গ্যাং এই সবকিছুর মানে বলে দিল, রুটি

গোল গরম, বলে দিল খাও। বেঁচে থাকার মানে, খাও।

 

উদাসীন আমরা সেইথেকে..


৯.

প্রস্তাব নেই, কুহক আছে

পাঠ করার আগে মনে হল

দরজাটা বন্ধ, খোলেনি

প্রস্তাব আর কুহকের ভেতরে খয়েরি রঙের দরজাটা

 

এমন নয় যে আপেলের রঙ সেপ্টেম্বর

দরজার রঙ মনপাওয়াসী

কুহক পেরিয়ে যাওয়াই যখন দরজা খুলে দাঁড়াবে

আপেল প্রস্তাব পড়বে

কুয়াশাকুহকান্ত

সে এক দুরন্ত আপেল, সে এক আর্দ্র উদাসী, কানের পাতা দুটো রেখে যে চলে গিয়েছিল এটা সেটায়..

 



≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ রঞ্জন মৈত্র ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
রঞ্জন মৈত্র


চলো খুলি

রঙ ধাপে ধাপে জলে নামছে
বর্গিয় জ-তে কার নৌকোটি বাঁধা
চলো অরিন্দম খুঁজি
গোটানো মাদুর ক্যালেণ্ডার পথ
খুলতে খুলনা ছিল
দেশ ছিল মাই কা তোলি
রোডে রোডে ছাওয়া নগরের গিঁট থেকে
চলো দেশ খুলি
এত লিনিয়ার চলা
জুতো থেকে মাত্র ক্লিক ক্লিক
স্বরাণু ব্ল্যাকহোল এবং হোল স্কোয়্যার
শূণ্যে ভাসছে ক্লাস
ফ্রী ফল করবে কোন আঁকাঁবাকা স্বরলিপি
তিন সপ্তকেই আছে বর্গিয় জ লুকিয়ে
শুধু রঙ আর নৌকোর জন্য এতটা আসিনি অরিন্দম


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ প্রদীপ চক্রবর্তী ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
প্রদীপ চক্রবর্তী


দেবীপক্ষ 

ঝরাপাতার  হাওয়ায় নিরাবয়বের আকাশ 

দেখছে তোমার সাড়াশব্দ 

অলীক সোহাগী যাযাবর বুকের টানে 

দু একটুকরো গান 

বিষাদিত ছাদের আলসেতে 

ঈষৎ ধোঁয়াশামাখা তবুও সহজাত গান 

এক ফোঁটা দু ফোঁটা মুহূর্তের ছা - পোষা মানুষ 

 

একটা অপেক্ষার কাছাকাছি 

এসে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পথ আগলে 

ঝরাপাতার হাওয়ায় অনুচ্চারিত খনন নির্মীয়মাণ ত্রাণ শিবিরের মুখ 

অস্ফুট , দিকচক্রহীন সংঘারামের গান 

এই অশেষ বনের মধ্যবর্তী 

এই শেষবার পাতার ঝরোকা ঠেলে 

অমীমাংসিত মায়ের বুকের গন্ধ 

 ছড়িয়ে গেলো  ...

  

স্থির বিজুরি যাযাবর মনে হয় ...

 

পিতৃপক্ষ 

জল থমথমে বীজ লুকিয়ে থাকে ...

মাটির গভীর থেকে ওঠে ব্রীড়াবনত 

সুহৃদ সঙ্গত আদি স্ফোট ওম 

বীজের প্রাণ আজ মেখে নিই 

খাদ্য - পানীয় নিঃশেষিত রসে 

জল থমথমে ভাপ 

মাতালের নিজস্ব পরিখা নিরাময় 

কোথায় তবে উর্দ্ধ বা অধ

বাঁকানো ঘোরানো দাগ 

নিরক্ষরেখা যখন শূন্য ডিগ্রি ...

 

জল পড়ছে শুধু জল 

কেবল জল পড়ছে জীবনের স্বাদে গন্ধে 

বীজের মরিয়া বাসনা সকল 

বস্তুদল প্রমাণিত

ললিত ভস্ম উপকার

 

প্রতি টোকায় দূর থেকে তাকে নতুন মনে হবে 

আমাদের বসুধামুখী মফস্বল যেন

রামগিরি ,

ঠিক বুদ্বুদের মতো দেহকান্ডহীন ,

মূর্ধাহীন কয়েকটা বনবিভাগের মানুষ 

 

শুধু তোমার জন্য 

তোমারই নবীন অজাত ভ্রুণটাকে বলি ,

আগে ভাগে ভাবো , ভেবে দেখো 

সত্যি জন্ম নেবে কি না ?

যারা একদা তোমার ছিলো ,

                                       এখন আমারই  ...

 


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ অনিন্দ্য রায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
অনিন্দ্য রায়


সামাজিকতার জল

যদি ভাবো আত্মীয়তা, পাশে পুষ্করিণী
ঘাটে বাসি নিশ্বাসের স্তূপ
প্রেম সতত সাবান ভেবে নিশ্চিন্ত হয়েছি
তবু প্রতিটি ডুবের মধ্যে, আছাড়ের যৌন হতাশায়
নিষ্ঠুরতা গোল হয়ে
সামাজিকতার জলে ছড়িয়ে পড়েছে
একদা বাঘের মুখে যে হাড় ফুটেছে তা-ই সফলতা
সাদা-ফ্রক বক আজও নিজেকে চরিত্র ভেবে অপেক্ষা করছে
ওকে বোলো, ঘাড়ে কামড়ের অর্থ
এতদিনে আর শারীরিক নয়
সম্ভাবনাদের দেখি, অধস্তন, দু পা অসমান
কচুপাতাদের ঝোপে পরমার্থ কড়ি দেখি মাটিতে উপুড়
আর অযুত শিশিরফোঁটা
পড়ে পড়ে তার গায়ে প্রকোষ্ঠ বানাল
আলো দিয়ে সাফ করি গন্ধেশ্বরীর কিনারা
আঁধারের শীর্ণ ছিপ আবহসংগীতে বাজে সপাং সপাং
সরল পদ্মের ডাঁটি, জল তাকে কৌণিকতা দেয়
ওপরে যা কুঁড়ি ফুটছে, একাদিক্রমে, তা কি কেবল প্রতীকী?
ভ্রমরেরা কালো ও চঞ্চল, আমার প্রবৃত্তি নিয়ে
হ্যাংলামি করে
মহিমাচক্রের তুমি, মধুকে আঠার মতো
চিটিয়ে রেখেছ সুখ কোষসমবায়ে


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ বাপন চক্রবর্তী ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
বাপন চক্রবর্তী



অণুগল্প~রজনীগন্ধা

প্রতিদিন ভোরবেলায় দরজা খুলে বারান্দায় যাওয়ার সময় তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
বারান্দার বাইরে একটুখানি উঠোন। তারপর উঁচু পাঁচিল। জীর্ণ ও পুরোনো ইঁটের তৈরি।
প্রায়ান্ধকার কুয়াশাঢাকা উঠোনের দিকে তাকাতেই গোপাল একটু হেসে উঠে বসল...
- মা। এত তাড়াতাড়ি উঠে পড়লে যে ?
- রোজ এক কথা বলিস। বুঝিস না। বলদ কোথাকার!
শুনে গোপাল নি:শব্দে হাসল। যেমন ও হাসত। ছোট্টবেলায়। ছোট্ট ছোট্ট দাঁত বের ক’রে
- তোমার পুজোর ফুল ঠিকমতো পাচ্ছ তো মা ? বাবলু এনে দিচ্ছে ?
বাবলু গোপালের বড় ছেলে। কলেজে থার্ড ইয়ার অনার্স পড়ছে।
- হ্যাঁ রে বাবা ... এনে দিচ্ছে। তোর অত চিন্তা নেই।
আগে তো গোপালই এনে দিত মায়ের পূজার ফুল। রোজ সময়মতো। কোনোদিন ভুল হতো
না।
পাখির ডাক বাড়ে। রৌদ্র ওঠে।
কথা কমে আসে মা ও ছেলের।
একসময় গোপালের বউ চা নিয়ে আসে। রাগ ক’রে বলে:
- শীত পড়ছে। একটা চাদর নিয়ে বাইরে আসবে তো।
তিনি জানেন সবাই এসে গেলে আর গোপালকে উঠোনে দেখা যাবে না।
সেই বিষণ্ণ খাটের ওপরে ... কুয়াশা ঢাকা একটা শরীর ... ধূপ আর রজনীগন্ধার কী
তীব্র গন্ধ !
রজনীগন্ধার গন্ধ যে এত অসহ্য আগে কখনও তিনি জানতেন না...

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ কুশল ভৌমিক ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
কুশল ভৌমিক 


কুরুক্ষেত্র 

কিছুই বদলায়নি
কর্ণের রথের চাকা মাটিতে ধসে গেলেও
তার দিকে নির্বিচারে আজও ছোটে অজন্তা বাণ
সূতপুত্রদের দু'পায়ে দলে আজও বাসুদেব পার্থসারথি 
আজও কোনো নিষাদপুত্রকে শিষ্য বলে মেনে নেয় না দ্রোণাচার্য 
আজও প্রতিজ্ঞাভঙ্গের ভয়ে পাঞ্চাল কন্যার অপমানে  নির্বিকার থাকেন মহামতি ভীষ্ম
যুগে যুগে বিকীর্ণরাই সংসারে সংখ্যালঘু
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ আজও তাই বিধির বিধান।

কিছুই বদলায়নি
আজও জন্মান্ধ ধৃতরাষ্ট্রই জগতের রাজা
একপায়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে গান্ধার রাজ নিয়ন্ত্রণ করেন আমাদের সংসার 
আজও দুর্যোধন বিনাযুদ্ধে নাহি দেয় সুচাগ্র মেদিনী! 

কিছুই বদলায় না
আজও কৃষ্ণের চাতুর্য আর রণকৌশল 
কুরুক্ষেত্রের শ্রেষ্ঠ নিয়ামক
আজও প্রতিশোধের নেশায় শিখন্ডীরা পুনর্জন্মের ভিক্ষা মাগে
আজও ধর্মপুত্র প্রেস রিলিজে জানিয়ে দেন
'অশ্মথামা হত' আর হস্তিনাপুরের অসহায় জনগন
মনে মনে জপে যান 'ইতি গজ, ইতি গজ'। 

কিছুই বদলায় না
আজও ভাবমূর্তির ভয়ে আমরা নিজেদের ভাঙতে শিখিনি 
আজও আমাদের প্রত্যেকের হৃদয় একেকটা কুরুক্ষেত্র। 



≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা≈ চিরঞ্জীব হালদার ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
চিরঞ্জীব  হালদার


চিরঞ্জীব  হালদার-এর কবিতা

ধরুন তাঁতকল বা ভেসে যাওয়া খড়ের কাঠামো।
কোনটার অধিকারী আপনি নন।

তাঁতে যে সব সুতোয় গামছা  নির্মিত হচ্ছে
তার লিঙ্গ নির্দ্ধারণের কোন ভূমিকায়
আপনি অপাংক্তেয়।
আপনি যে মূল্যে খরিদ করুন।
যে কালিতে নাম লিখে রাখুন না কেন
এই উভচর পোষাক থেকে যে ঠিকানা  নির্গত হয়
তা দিয়ে এক পঞ্চায়েত কেমন পোষ মানে
দেখে যান কত্তা।
বরং একটু দরাজ হাততালিতে
মুখরিত হলে দোষ নিয়েন না।

জল জানেনা তার দেহ জুড়ে যে প্রবল কাঠামো ভাসমান তার কোন শুক্রদোষ আছে কিনা।
আপনার ঘাটের খুব কাছেই আত্মজার খসে
যাওয়া দেহচরিত্রের ভুগোলের পাতা আশ্বিনের
হাওয়ার উড়তে থাকলে সিরাজের আত্মার কাছে কি কৈফিয়ত দেবেন।
ভেবে নিন আপনি জল। অথবা প্রকৃতসুতোর ব্যর্থ যোগানদার এক তাঁতের মালকিন।
দেহ বল্লরীতে ভরা আশ্বিন কথা কয়।
 দেখুন ভেসে যাওয়া কাঠামোয় তাঁতকল
গুজে দিচ্ছে নীল বর্ণের সমস্ত ধাঁধার প্রশ্নমালা।
আপনি অভুক্ত তাঁত কলের চিৎকার দিয়ে
গড়া খড়হীন মনুষ্যজাতক মাত্র।

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ সৌমিত্র রায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সৌমিত্র রায় 


শব্দব্রাউজ ৷৷ সুড়সুড়ি দিতে থাকবো

মেদিনীপুর ; ৭-০৫-২০২০ ; রাত্রি ৯টা ২৭ || এখন বসেছি লিখতে, লিখি, তবে খোলা জানালা আমার সাথেই খুনসুটিতে মেতেছে~

শব্দসূত্র: বাকি রয়ে গেছে

বাকি সময়টুকু রাতের শরীরে বয়ে চলা বাতাসের মতো সুড়সুড়ি দিতে থাকবো ; কিন্তু এ শরীর রাতের ; এ কী হেসে উঠবে ? কে জানে ! শুধুমাত্র একটা সাহস রাতের গভীরে প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু তুমি ? তুমি তো ভীতু কবি !

রয়ে সয়ে সাহস দেখাও কবি ; রাত মানে অন্ধকার জড়ো হতে হতে রাত হয় ; সংঘবদ্ধ ; সুনীল সরণি থেকে অংশুমান ; সুবিধাবাদের জনপ্রিয়তায় মোহে অন্ধ সময় ; তোমাকে সাহস যোগাচ্ছে সুড়সুড়ি দেওয়ার ; স্রোতে মিশে যাও কবি ; জানালার সাথে খুনসুঁটি শুধু ? কবিতা ছাপিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কখনো কোনো মেয়ের সাথে শুতে শিখিয়েছো নবীন বন্ধুদের ? 

গেছে একটা দিন ৷ সেদিন বাংলায় একটা সুবিধাবাদের প্রবর্তন হলো ; তুমুল জনপ্রিয় কবিতা কনসেপ্টের ; শুধুই 'বাউণ্ডুলে' নয় ; একটা জাতির সাথে ঢ্যামনামো শুধু ; 'ঢ্যামনামো' 'ঢ্যামনামো ' ঢ্যামনামো' ! আজ সেপ্টেম্বর ৭ !

|| শান্তি ||


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ রফিকুল কাদির ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
রফিকুল কাদির


সে-ই আমার আনন্দ বারিধারা যে থাকে পরানে

নৈমিত্তিক বিচ্ছিন্নতা আমাদের নেই
সাথে থাকি অহর্নিশ
যাদুমন্ত্রের মতো এক হয়ে যাদুকরের ভেতর

জীবনের প্রলুব্ধ ব্যকরণ পাঠ করে বুঝেছি-
ভালোবাসা কোন বিচ্ছিন্নতার সমীকরণ নয়
হতে পারে বিরহের অনুসিদ্ধান্ত!

তাই তাকে পাওয়ার চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রলয়
কে জাগাতে পারে জগতে

এক যুগেরও বেশি সময়!
অদ্যাবধি আমাদের কামনা ও সংগ্রামের সুরে
একটি কথাই বাজে-
'পাশে থেকো! থেকো কাছে!
বুকের পাঁজর হয়ে-ই নয় থাকলে!
যদিও জানি, সে হাড় নয়, পাঁজর নয়
হৃদপিণ্ড বা করোটিও।

সে আমার সত্ত্বা।

অতি ক্ষুদ্র!
আমার আকাশ-
যার ভেতরে থাকে জীবন, কতশত পৃথিবী

চৌহদ্দির দখল নিয়েই থাকে সে
আহ্লাদে আটখান হয়ে
ভাসতে ভাসতে ঢুকে পরে
আমার ভেতরে

চেতনা লুপ্ত হয়

সাধারন নারীর অবজ্ঞায় দেখি-
হাতে মাধবীলতা, আটপৌরে শাড়ি, বাঙালি বাঁধন
ঘুরে বেড়ায় হৃদয়ের অলিন্দ-নিলয়ে

সমুদ্র, অনন্ত জলরাশি, ঢেউ
তার মুখের মতো- সফেদ! স্বচ্ছ!

আনত হই।
অবিশ্বাস্য আক্রোশে জাপটে ধরি
শব্দঘর ঢিপঢিপ করে বাজে
তন্ত্রীগুলো শান্ত হয়
কোন এক অপার আহ্বানের মতো
কৃষ্ণের বাঁশির মতো
মুহাম্মাদের আরাধনার মতো
যিশুর হাতের মতো
অবিনাশি শ্লোক শোনা যায়

তুমি যত দূরেই থাকো
যত দূরেই রাখি
প্রকৃতি যতই খেলুক বিচ্ছিন্নতার সাপলুডু
তবু তুমিই আমার পাঁজরে বাজো।
অন্তরে রোদ্দুর ছড়াও।

এই বিচ্ছিন্নতাকাল!
এই লকডাউন!
এই আণুবীক্ষণিক অমাবস্যা...

সেই কবে সূর্য উঠেছিল, জানিনা;
রাত্রির এ উৎযাপন, নিশীথ-সূর্যকেও হার মানিয়েছে

সূর্য ওঠে!
বাইরে আলোর মশাল- দেখে জানালা
দিনেরই ভিন্ন ভিন্ন ভাগে

সূর্য কোথায়?
সে তো কবেই ডুবেছে!
প্রকৃতি দেখি-
কখনো অন্ধকার; কখনো আকাশ
বইপত্র, মনিটর
আরও কি সব হাবিজাবি

একটা দিনেই আটকে আছি
একটা দিনেই আটকে গেছি

প্রিয়তমা! বন্ধু! মাতা বসুন্ধরা!
তোমার ভালোবাসার স্নিগ্ধতা
দূরের সমূল উৎপাটন
দূরকে আরও দূরে নিয়ে গেছে
আামাদের মতান্তরিত শ্লোক বিজারণ, বিশ্লেষণে
নতুন নতুন ক্ষার, অম্লে
ভাসিয়েছে ঘর

সংসারে আরোগ্য নেই!
অহংকার নেই!

কেবল আকুতি শুনি
অন্ধকার দেখি
দেখি ছড়িয়ে যাওয়া আতঙ্ক

এ কী মানুষের ঘর!
এ কী মানুষেরই বাঁচা!

সেই কবে কোন বৈশাখে
রোদে-জলে নেয়ে
সূর্যকে বলেছিলাম- আজ তবে যাই গুরুদেব!
এবার ঘরে ঢুকবো!

আজ মুখ ফিরিয়েছে ঘর
বসন্ত ফিরে গেছে কবে
কোন চৈত্র সংক্রান্তি নেই
বৈশাখের গান নেই
কেবল অভ্যেস মতো গুনগুন করছে কবি
শিল্পীরা গলায় তুলেছে মাদুলি
ভয়, আড়ষ্টতা  বুকে পাঁজরে
- কাল যদি মরে যাই!
- যদি মেরে ফেলি ভাই, বন্ধু;
মুছে দিই পিতামাতার হাসি

তারপরও এ ক্রান্তিকালে বলি-
ভালোবাসি! ভালোবাসি!

স্বপ্নভুক দুঃস্বপ্নের মতো ছিনতাইয়ের স্বপ্ন দেখি
শান্ত পৃথিবীর স্বপ্ন
সবার সুখের দিন

ইরেজার ঘষে তুলে ফেলি- কলঙ্কের ছাই

সবই তোমার জন্য প্রিয়তমা
অন্তরে তোমাকে পাবার বাসনা

মানুষ থাকতে পারে না একা
হতে পারে না পর
সাতশো কটি ঘর তো আমারই ঘর
সাতশো কোটি হাসিই আমার উৎসমূল
ভালোবাসার জন্মান্ধ মাতা

তোমাকে ভালোবাসি।

এ বিচ্ছিন্নতা তোমাকে পাবার অবিরত বাসনা

তোমার চোখ দু'টি আবারও কাছ থেকে দেখতে চাই
খুব কাছ থেকে নিতে চাই শ্বাস
শরীরী ঘ্রাণ

যদিও মাঝখানে দূরত্বের নদী
নৈঋত যন্ত্রণা

তবু হাঁটতে থাকে- অনন্ত যাত্রার হারকিউলিস

পোড়া মাঠ, জঞ্জাল সময়, গ্রহণের সূর্য
পেছনে ফেলে, চলে যাও দূরে;
দিগন্তের ওপারে

এই তোমার নিয়তি
তোমার প্রেম
প্রণতি...

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ দেবযানী বসু≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
দেবযানী বসু



অণুগল্প~ জীবন জীবনের জন্য 

বিশাল রতন ও মেঘনাদ তিন জন প্রবীণ বন্ধু একই অফিসে কাজ করে। বিশাল ও রতনের সম্প্রতি স্ত্রীবিয়োগ ঘটেছে। দুজনের স্ত্রীই সরকারি চাকরি কর্মরত অবস্থায় চলে যায় প্রচুর টাকা ফি এফ হিসেবে স্বামীদের হাতে দিয়ে। দুজনেরি ক্যান্সার ছিল। এদের মধ্যে মেঘনাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। ওর স্ত্রী বিভা গরীব ঘরের মেয়ে। মনপসন্দ যৌতুক দিতে পারে নি। এ নিয়ে মেঘনাদ চিরকাল একটু মনোকষ্টে ভোগে। মেঘনাদের স্ত্রী মতোই গৃহকর্মণিপুণা হোক কথায় কথায় এইসব সৌভাগ্যবান বন্ধুদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে মেঘনাদ যা শোনায় তাতে করে তার স্ত্রীর গ্লানি ও হীনমন্যতায় ভোগা এমন কিছু ব্যাপার না।
কুর্চি গাছের ফুলে উপচানো গেট। সামনে কালো বাইক কালো দুধেল গাইয়ের মতো দাঁড়িয়ে। সেইদিকে তাকিয়ে বিভা অন্যমনস্ক হয়ে যায়। প্রথম বিয়ে লোকে ভুল করে করে ফেলে অনেক সময়। বাবলি মরলে কি মেঘনাদের ভাগ্য খুলবে? নিজের বিবাহিতা মেয়েই উদ্যোগ নিয়ে বিয়ে দেবে হয়তো। ভাগ্যবানের বৌ মরে অভাগার গরু মরে এ তো সবাই জানে। মেঘনাদ কর্মসূত্রে বিশালদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়েছে। টাকা পয়সা ততটা হলে বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ত সেরকম তো মেঘনাদের হয় নি। তাই আফশোস থেকে যায়। 
এদিন বিকেলে মেঘনাদ হঠাৎ ফোন করে জানাল বাড়িতে ফিরতে দেরি হবে।  আসলে মেঘনাদ  দৌড়ল বিশালের বাড়িতে। সেখানে তখন বন্ধু বান্ধব পাড়া প্রতিবেশী জড় হয়েছে। রতনের চোখ মেঘনাদের দিকে পড়তে বললো-  'এই তো এসে গেছিস। কিন্তু এইমাত্র দলবল নিয়ে সব বেরিয়ে গেল। ঐ যে লোকাল উর্বশী সমিতি! দশটি হাজার টাকা খসিয়ে নিয়ে গেছে। বিশাল শালা বাড়িতে ক্যাশ রাখে না? তিন তিনবারের টাকা দেয় নি বোঝ! তিনবারের জন্য দশহাজার টাকা কমই তো বল। যাক গে আমরা সবাই মিলে মিটিয়ে দিলুম।'  বলেই মেঘনাদের কাঁধ চাপড়ে দিল। মেঘনাদ লাজুক হেসে বলল ' চল রাস্তায় চা খাই গিয়ে।' সেই মুহূর্তে ভাবল বিভাকে এ খবরটা শোনানো যাবে কি? শোনালে কি যে হবে!

≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ প্রকাশ ঘোষাল ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
প্রকাশ ঘোষাল



টেডি বিয়ার 

এই যে জেব্রাক্রসিং বরাবর ছুটে যাওয়া ঘুনসির তারানা এসব
বিনিপয়সার খেলা হে পেটরোগা পৃথিবী
ডিগবাজি খেতে খেতে রাস্তা এখন শুনশান অদৃশ্য ফকির গাছতলায় 
সোহাগি ঢেউ পতাকার এতো কাছাকাছি  ঝাপসা আলোয় 
পেটের ভেতর সেই আজন্ম জমে ওঠা ছেঁড়া রোমান্স, রূপকথা, শূন্যতার মস্তি
এখন উইপোকার আমি  সৃজন ক্রিয়ায় কাহিনী  লিখতে ব্যস্ত 
চৌকাঠ বরাবর 
আহা দ্যাখো ওই কঙ্কাল অভিসারে কেমন ভালোবাসা চলেছেন পার্কে 
নৌকো ভরা জার্নাল ভুরভুর জলের দোলন  
ছটফট করছে ডারউইন এদিকে আয়নার ওপারে 
মিউজিয়ামের বাক্স গুনতে গুনতে ঘুমিয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম
একটু শীতের জন্য যাচ্ছেতাই খিস্তি মেরে গেল কয়েকটা 
বাটার টোস্ট ,
মাটির প্রজাতিরা 
ট্যাক্সি থেকে নেমে সোজা ছুটে যাচ্ছে ফায়ার ব্রিগেডের দিকে 

মিস্টার ব্রহ্ম, কী দিনকাল পড়লো বলুন তো 
বুকের মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে গাছেদের ফিসফিস অথচ
মেঘের পাড়ায় কোন শব্দ নেই 
জানলা ভর্তি বৃষ্টিও সরে যাচ্ছে পাশের বাড়ির দরজায়  সারাটা জীবন শুধু বালিতেই বসে বসে ধর্মপাঠ
বর্ণালী শিকার এখন সত্যমেব জয়তে,
বাকি সব টেডি বিয়ার!


≈ চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা ≈ কার্তিক ঢক্ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
কার্তিক ঢক্


চিরহরিৎ ধূপ

গর্ভকেশরটি ধূপ জ্বালে
চিরহরিৎ পোশাকে নৌকোয় পাল খাটায়
শঙ্খমাধূর্যে শান্ত করে হাওয়া...

গর্ভকেশরটি এন্ড্রয়েড বোঝে না। 
রিংটোনের ব্যাতিক্র বোঝে না-
ঠোঁটের শব্দে গান গায়।

সাপটা শাড়ির মিহি আলোয় 
মদুনিতে চাঁদ ঝোলায়।
রুক্ষ সূর্যের বিগলিত জলে
আঁচলকে ছাঁকনী ক'রে জলতরঙ্গের
ধুন শোনায় --

অশান্ত বাগিচায় আগাছারাও
আজ তার কাছে পোষ্য...