Showing posts with label ১-লা বৈশাখ সংখ্যা. Show all posts
Showing posts with label ১-লা বৈশাখ সংখ্যা. Show all posts

Saturday, September 13, 2025

কবিতার ডালপালা | অরিজিৎ চক্রবর্তী

|| ব্ল্যাকহোল পত্রিকা ||

কবির সামাজিক ভূমিকা / অরিজিৎ চক্রবর্তী


পরিচিত বস্তুবিশ্ব বিশেষ করে জীববিশ্ব থেকে মানুষের নিত্যদিনের গল্পগুলি তাদের কুশীলব বেছে নেয়। পৌর্বাপর্যের ঢাল বরাবর কালপট বেয়ে এরা ধাবমান। অনুকৃতির আদর্শ মেনে কর্মরত কবি, এদের কান্না হাসির জটলা থেকে বেছে নেন প্রজনন-ক্ষম একটি অন্তঃসত্ত্বা মুহূর্ত! আমরা যারা পড়ছি এবং দেখছি আত্মীয়তা এবং শখ‍্যের দাবি মেনে নৈকট্যের একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে এদের সঙ্গে। অর্থাৎ অন্ধের বর্ণের মতো শব্দের আইকনোগ্ৰাফি আমাদের জানিয়ে দেয়,"মাটি থেকে গন্ধ ওঠে, গন্ধ মাখা রুটি / খেয়ে চলে হেতু আর অহেতু প্রকৃতি।"প্রসিদ্ধ জীববিজ্ঞানী ত‍্যেলর দ‍্য সাঁদা ( Teilhard de Chardin ) Phenomenon of Man গ্ৰন্থে Biosphere এর সঙ্গে Noosphere যোগ করেছেন। কবি রাহুল পুরকায়স্থ 'হেতু' আর 'অহেতু'-র Creative imagination -এ প্রত‍্যক্ষ ও পরোক্ষ উন্মিলীতাায় জানিয়ে দিলেন গাছ বাঁচলে মানুষ বাঁচে।

সবচেয়ে মুগ্ধ হই যখন দেখি স্হান ও কালের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া একটা ইচ্ছাকৃত বন্ধনমুক্ত রেখাহীন অস্পষ্টতা,যার আপাত কল্পলোকের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক স্পষ্ট জীবনবোধ‍্যতা, আমাকে আনত হতে বাধ্য করে।

"আহতকে প্রাণ
আমার জীবন আজও

উড়ন্ত বৃক্ষের
আজান আজান"

ক্লোরোফিলের শব্দরজ্ঞক নিয়ে কবি উড়ন্ত বৃক্ষের আজান ধ্বনির সম্প্রীতির উপনিষদ গড়ে তুললেন।সব রূপের অনিত‍্যতা যেমন স্পষ্ট হলো, তেমনি তাদের মূল ঐক‍্য ' বর্ণান্ অনেকান্ নিহিতার্থো দধাতি'। কবি প্রশ্ন রাখলেন, কোনটা সমাধান?"প্রলয়শরীর" নাকি "বিক্ষোভ,ভাসান"! কিংবা সেই তরু--"ঊর্ধ্বমূল অবাকশাখঃ এষোহশ্বথ্থঃ সনাতনঃ"---এর প্রতিধ্বনি।

কবিতার চেয়ে বিস্ময়কর পৃথিবীতে আর কিছুই নেই,থাকতে পারেনা।আর এই কবিতা বিচ্ছিন্ন কোন প্রতীতী নয়,সে সর্বোতোভাবে সমাজ ও সময় সম্পৃক্ত। তাই কবি রাহুল পুরকায়স্থ প্রণীত কাব‍্যলিপি "অন্ধের বর্ণনামতো" বইটির অনুভবী ক্রোম‍্যাটিসিটি ভাবনার আন্তরিক নৈকট্যবশত পাঠককে বলে দিতে পারে "আরও দূরে দূরাগত একা হেঁটে যায়"।

Thursday, April 15, 2021

১-লা বৈশাখ সংখ্যা || উৎসর্গ সংখ্যা~যামিনী রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানালাম। বাঁকুড়া গর্বিত তাঁর কৃতি সন্তানকে ধারণ করে।

আমাদের ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ (২০২১) সংখ্যা যামিনী রায় কে উৎসর্গ করা হলো।

আমরা সমস্ত লেখার সাথে তাঁর ছবির দেয়ালচিত্র ব্যবহার করেছি,সংগ্রহ করেছি গুগল দাদার  থেকে।


সূচি

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ____
দিশারী মুখোপাধ্যায় স্বপন রায় দেবযানী বসু মাসুদুল হক মোস্তফা মঈন রঞ্জন মৈত্র প্রদীপ চক্রবর্তী অলোক বিশ্বাস হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গোবিন্দ ব্যানার্জি তাপস গুপ্ত আলোক মণ্ডল কুশল ভৌমিক কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ ঘোষাল রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় সুধাংশুরঞ্জন সাহা সুজিত রেজ রিতা মিত্র শীলা বিশ্বাস মন্দিরা ঘোষ চন্দ্রদীপা সেনশর্মা অনুরূপা পালচৌধুরী রনজিত্ পান্ডে শান্তম  রবীন বসু রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামশ্রী মুখার্জি সুকন্যা ভাট্টাচার্য্য শ্রাবণী গুপ্ত  সিদ্ধার্থ সাহা সোমা ঘোষ চিরঞ্জীব হালদার তনিমা হাজরা চঞ্চল নায়েক শম্পা ব্যানার্জি মনজুর রহমান নীলিমা দেব মৌমিতা মিত্র নবনীতা সরকার নিবিড় সাহা ভাস্বতী গোস্বামী কার্তিক ঢক্ পৃথা চট্টোপাধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী  তুলি রহমান সোমা ব্যানার্জি শীর্ষেন্দু পাল 
সাত্যকি ঝুমা মল্লিক রানা সরকার স্বপন শর্মা বিশ্বজিৎ চিরঞ্জিৎ বৈরাগী বর্ণজিৎ বর্মন দেবলীনা চক্রবর্তী মৌসুমী রায় রুবি রায় রঞ্জনা বসু কৃষ্ণ রায় মধুমিতা রায় মিত্র বন্যা ব্যানার্জি হামিদুল ইসলাম অমিত চক্রবর্তী দেবাশীষ সরকার ইন্দ্রাণী পাল মানস চক্রবর্ত্তী 





১-লা বৈশাখ সংখ্যা || সম্পাদকীয় নয় কিন্তু~অভিজিৎ দাসকর্মকার

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

অভিজিৎ দাসকর্মকার 

সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ____

দেরি করে ফেললাম!__

পরিবার
আকাশপাড়ি,অথচ

ফাগুনে রাঙা বসন্ত,চড়ক দেখে নিলো
দেখলো
প্রচার—প্রসার—হুমকি—এবং

চৌকাঠে বেকসুর দাঁড়িয়ে রইল চৈত্র 

দই-চিঁড়ে আর ছাতু দিয়ে সংক্রান্তির ধুনো,ঘাঁটুফুল

বুনো রোদ ফোঁসফোঁস করছে ঘাড়ের কাছে,আমরা 
এখনো বেঘোরেই

এসো আমি তুমি সে ও তাহারা হয়ে পালন করি
১টি বিনা-সম্পাদনার সন্ধ্যা 
১টি অরাজনৈতিক শুভ নববর্ষের ক্যালেন্ডার ভরা শুভেচ্ছা, আর
ভালোবাসার আড়ালে সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন বয়ে চলুক
মালভূমি 
আবহমান ধারা,এবং

জীবনের উৎসব চলুক কবিতা হয়ে



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || ২টি-কবিতায়~দিশারী মুখোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

দিশারী মুখোপাধ্যায়

ঘুমের মধ্যে হাঁটি 

ঘুমিয়ে পড়ার পর রাস্তাটা খুঁজে পাই। হাঁটতে শুরু করি।প্রায় প্রতিদিন 

ঠিকানা নিজে রাস্তায় নেমেছে।আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।আমি 
বিশ্বাস রাখি অবিশ্বাস একদিন হার স্বীকার করবে।জয় একটা ঘটনা মাত্র 

হেরে যাওয়ার নাড়িনক্ষত্র ঘেঁটে দেখেছি ,ষড়যন্ত্রের ক্র্যাচ অযোগ্যকে 
জেতায়।বিজয়ীর নাম যেইমাত্র ঘোষণা হয় পরাজিতের মুখ উজ্জ্বল হয় 
সে বোঝে, জয় আসলে তার।তার ছাড়া অন্য কারো নয় সংগ্রাম 

বকুলের তলা দিয়ে হাঁটি।রাস্তা একটু বেশিই বড়।তবু রোজ একটু একটু 
ছোট হচ্ছে।ঘুমের মধ্যে ঢুকেই হাঁটা শুরু করি।প্রতিদিন অল্প অল্প 
বিশ্বাসের দেহ পুষ্ট হয়।তোমার দেওদারু গাছের মাথা ক্রমে ক্রমে 
দূরবর্তী নক্ষত্রদেরও নজরে আসে।পৌঁছানো দিয়েই শুরু করব গল্প 


দরজার ইচ্ছে 

দরজার ইচ্ছে পরিস্ফুট ছিল না।হয়তো ইচ্ছেই ছিল না।বন্ধ করেছি 

অন্ধকারের শরীর খুলে খুলে দেখছি, তার ভাঁজে ভাঁজে লেখা আছে 
দরজার ইচ্ছের কথাই।সে কাউকে ডাকার জন্য নীরবতার ভাষা শিখেছে

একটা কড়কড়ে অনুভূতি নিজেকে খোঁজার জন্য খুঁজে নেয় চোখের মাধ্যম 
দুহাতের তালু সেটা পছন্দ করে না।রগড়ে দেয়।দরজার প্রেম 
বুঝে উঠবার কথা মানুষের নয়।মানুষ বাণিজ্যে বাঁচে।মরে।অভিশাপ 

হেডফোন কানে গুঁজে কবিতা শুনেছি।তখন কবিতা আমার মাথার 
মস্তিষ্ক অঞ্চলে ঢুকে গেছে।দিগন্ত বিস্তৃত জমি দখলে নিয়েছে 
ধ্বজা গেড়ে দিয়েছে।পবিত্র নারীর বুকে অপবিত্র হবার এক বিশুদ্ধ ইচ্ছে 
প্রকৃষ্ট নমুনা হয় ।দেখে নদী।দরজাকে চামচ দিয়ে দ্রবীভূত করে 




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~স্বপন রায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

স্বপন রায়

রিয়ার ভিউ

জল পড়ছে      পাখি উড়ছে
দুটোই রিয়া

 
একটু আগে বিকেল সাপ্তাহিকে ঢুকেছে
       রিয়া মেজাজ না হারিয়ে কাকে যেন বলল
ধন্যবাদ
তারপর সময় নিল     পড়ছে আর উড়ছে
লোকাল দেখার দিন


দিনভর যা বলবো 
                তার অনেকটাই  ইমেল না হতে চাওয়া মৌসিনরাম
রিয়া সেখানে
রিয়ার টেকনিকও সেখানে

 
ছাতা খুলি
জল পড়ার শব্দে পাখি উড়ে যায়





১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~দেবযানী বসু

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||    

দেবযানী বসু

মায়াসরণীতে দুগ্ধবতী

শব্দসন্ধান দিয়ে রাখতে পারি বাম্পার সাজানোর নিয়মে।
বুড়ো আঙুল থেকে দশ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে দুগ্ধবতী গাভীরা
পঞ্চশস্যের সাধনা করছে আমৃত্যু।
কোটি টাকার চোট খাবার দুঃখ আদি তমাল গাছে লটকেছি।
ঘিমাখা মুখশ্রীটুকু দেয়ালে ঝোলানো।
আমাদের সহ্যশক্তি পাহাড়ে চড়া বেলুন ভোগে ল্যান্ডিংহীনতায়।
ঝরাতারারা পৃথিবীর হিম মেখে মহাকাশে ফিরে গেল।
কখনো কখনো সিঁড়ির ভাঙা আলোর সঙ্গে কথা বলেছিল।
একরাশ থকথকে দই দুঃখটুকু জমাট বাঁধিয়ে দিয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ পেয়ে কম্পিউটার বটবৃক্ষ হয়ে আছে। 
জল চিরকাল খেলার তকমা পেল।
হাততালি পেল।
লটারির টিকিট পেল না।
শিহরণে কাঁপা হাতের রোঁয়ারা কাউকে আঘাত করে না ।
যাবতীয় ব্যতিক্রম মুরগিখামারের শৃগাল ব্যক্তিত্ব। 
বাঁশঝাড়ের শিরশির চন্দ্রমা ফেসিয়াল চুরি করে নামাচ্ছে চাঁদ থেকে।
অপেক্ষা কর যতদিন না ফিরি।


'আশা করি ভুলে যান নি' সংখ্যার জন্য



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~মাসুদুল হক

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||    

মাসুদুল হক

ঘাসের ঘটনা 

প্রতিটি মিলন অসংখ্য মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে
                                               জেগে ওঠে 
বসন্তরাতের পাতার শয্যায়
আমি আমার মাঝে জেগে আছি...

আমার শরীর এক অনিরাপদ নিদ্রায় আটকে আছে।
আমার বাহু এখানে ক্লান্ত এবং আমার মাথাও রয়েছে এবং আমার পাগুলো আমার সত্তার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে বলে মনে হয়,
তবে আমার হৃদয় পূর্ণ নয়।

বনপোড়া ছাইয়ের ভেতর রোদ নিয়ে জেগে আছি 
প্রথম বৃষ্টি ফোঁটা জলের অপেক্ষায়... 
আসুক ঝড়, জেগে উঠবো
ফাগুন শেষে প্রথম ঝড়ের ঘটনায়।




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~মোস্তফা মঈন

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||        

মোস্তফা মঈন

শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি—

কটা নতুন জন্মের জন্য

আজ আমি ভুলে যেতে চাই সবকিছু

আমি ভুলে যেতে চাই তুমি আমার শত্রু ছিলে

ভুলে যেতে চাই ছুরির দাগ, বন্দুকের নল

শত্রুর মুখ

 

যুদ্ধে আহত হয়েছিল যারা

তাদের শুশ্রূষা দিতে দিতে মরে যেতে চাই

একটা নতুন জন্মের জন্য

একটা নতুন পাখিময় সবুজ পৃথিবীর জন্য

আমি ভুলে যেতে চাই

তুমি আমার শত্রু ছিলে

শিশু রাসেলকে হত্যা করেছিলে

আমার বুকটা ঝাঁঝরা করে দিয়ে সিঁড়ির গোড়ায়

আমাকে লাশ করে দিয়েছিলে!

 

আমি এই রক্ত দিয়েই

তোমাদের ভালোবাসার মূল্য দিতে চাই

 

আমার দেহ থেকে গড়িয়ে পড়া রক্তের নাম

বাংলাদেশ

আমার দেহ থেকে আকাঙ্ক্ষার নদীগুলো বয়ে যায়...

আমার দেহ থেকে গড়িয়ে পড়া লাল অক্ষরে লেখা

লাল-সবুজেরদেশ

বাংলাদেশ 





১-লা বৈশাখ সংখ্যা || গল্পে~রঞ্জন মৈত্র

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

রঞ্জন মৈত্র

খিদের ওপারে


দুপুরে রিকশাস্ট্যাণ্ডেও কেমন ঘুমের ভাব। আলস্যটা প্রায় দেখতে পাওয়া যায়। ধারে কাছের দেশির ঠেক, গাঁজার জমায়েত, সাট্টার পেনসিল, যেন নেই। রিকশার উপর তেড়ে বেঁকে ব'সে চালক গান শুনছে। পানের দোকান থেকে আসা মহম্মদ রফির কবেকার সব গান। পরনের পোশাক, শরীরের হাড় গোড় পেশী বেশ গরীব গরীব। একটি গল্পের জন্য আজকাল দু' হাজার টাকা পাওয়া যায়। প্লটের খোঁজে হদ্দমুদ্দ হওয়ার ফাঁকে এই স্ট্যাণ্ড, ওই রিকশাঅলা। তার বাড়িটি দরমার বেড়ার হলে ঠিক হয়। দরজা ঢেউ খেলানো টিনের। এইটুকু বাবুয়ানিই যেন। টালির চালে ফাটল থাকলে ভালো, যা পয়সার টানাটানিতে ঠিক করা যাচ্ছে না। এবার গল্পটা দু' রকম হওয়া সম্ভব। এক, সারাদিন রিকশা টেনে সন্ধ্যায় দেশি এবং জুয়া। বাড়ি ফিরে যে কোন ছুতোয় ঝামেলা পাকিয়ে বউ পেটানো। তারপর রাত বাড়ে। যেমন সম্ভব পেট ভরে। এরপর কে মারলো আর কে মার খেলো সব গুবলেট হয়ে যায় বিছানায়। পরে পরে বাচ্চা হয়। তাদের ঠিকমতো পোশাক পড়াশোনা জোটে না। তবে বাচ্চা হতেই থাকে। এবং দ্বিতীয় রকম, ক্লান্ত শরীরে রিকশাঅলা টিনের দরজার বাইরে বসে খানিকক্ষণ। হাত পাখা চালায়। মাটির উনুনের পাশ থেকে ঘামে চুবচুবে লাল রঙের বউ মাঝে মাঝে পাশে আসে। জলের গ্লাস। সস্তার চা। বিড়ি। তারপর ওই কোনরকমের পেট ভরানো। বিছানায় অল্প চাঁদের আলো ভাঙা টালির ফাঁক দিয়ে। বর্ষাও তার নিয়মে আসবেই। তার আগে টালি সারানোর পয়সা জোগাড় নিয়ে খানিক আলোচনা। রাত আরও বাড়ে। দুজনে টালির ফাঁক দিয়ে ভাঙা চাঁদ দেখে একটু আধটু।  ভাবে, বাচ্চাদের খুব ভালো করে বড় করবে। অনেক বড়। গাড়ি, বাড়ি। ফুলের টবে সাজানো ব্যালকনিতে বসার চেয়ার হবে নিজেদের জন্য। হাতে সুন্দর কাপে সুন্দর চা। আর সেই চায়েও কখনও জ্যোৎস্না এসে পড়বে, রোদ কখনও। 

সবজির নূন্যতম দাম ৫০টাকা কেজি। মাছের ২০০। চালের হু হু করে বাড়ছে। আটার চিনির সর্ষের তেলের দরমার বেড়ার ঢেউ টিনের, বাড়ছে। অটো এবং টোটোর পাঞ্জা কষাকষির মধ্যে রিকশাস্ট্যাণ্ডে প্রায় সারাক্ষণই মাঝদুপুর। কাস্টমার টানাটানি করতে হয়। এবং খুব পরিচিত ছাড়া বাকি অন্যদের সাথে ভাড়া নিয়ে দুগগিবাজি না করলে সবদিক সামলে বাঁচা অসম্ভব হয়ে যায়। মদ জুয়ায় ওড়ালেও যায়, না ওড়ালেও যায়। ভাঙা টালির উপর সস্তার প্লাস্টিক। কালুর ঘুগনির দোকান, বণিকের মুদী দোকান, কানাইয়ের সাইকেল সারানোর গুমটি, কোথাও একটা ঢুকিয়ে দিতে পারলে বাচ্চাটা সংসারে কিছু আনতে পারবে। একদম ভোগে চলে যাবে তার চেয়ে তো ভালো।

তো গল্পটা মোটামুটি তৈরি। দুটো রকমেরই পাঠক আছে। তারপর বর্ষা আসে, শরৎ শীত মৌরলা মাছ। পত্রিকা আসে। দু' হাজারের চেক। চড়াই ঘুঘু রিকশা এসব দেশ থেকে উঠে যাবে যে কোনদিন।  নিয়মে বসন্ত আসে, গ্রীষ্ম। কোথাও মহম্মদ রফির গান বেজে যায়, অনেক পুরোনো সব গান।



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || ২টি-কবিতায়~প্রদীপ চক্রবর্তী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

প্রদীপ চক্রবর্তী

বেহালা বাজানো লোকটা 

এক .

অথচ সে পাগলামোয় বহতা গাছের পাতারা  নানান সবুজে বদলে গেলো | ধুলোমাখা মেঘ আকাশের দলমন্ডল ভাঙছে আর বৃষ্টি জুড়ে পাখিদের মধ্যে  হামেশা যৌথ পরিবার কেমন নিস্তরঙ্গ কাঁপছে | থেকে থেকে শুধু একজন ভেন্ট্রিলোকুইস্টের গলায় নানা স্তর থেকে অস্পষ্ট ক্ষমতাসংকেতে কথা বলে যাচ্ছে ...
" ঝুটা হ্যায় ... সব ঝুটা ..." 


দু - তিনটে ধাপ নেমে টাল সামলে দেখি , ক্ষয়ে যাওয়া মেঘের অন্ধকারে বাচ্চা ছেলেটি দোকানে এসে উনুন  ধরায় | কাঁচা কাঠের ধোঁয়ায় ছেলেটার চোখে জল আসে | সফল এই বাংলার স্বত্বহীন ফুর্তির রাজনীতিতে বুদ্ধি থেকে জীবিকার জলে ছোঁঁ মেরেই আবার উড়ে বসে  
ভেন্ট্রিলোকুইস্ট | আসলে এটা তার ছদ্মবেশ |শুধু তারই চোখে পড়ে অন্ধকার যে রকম কেঁপে কেঁপে আসে | হায় হায় করে মিউটিনির পুরোনো শহর | যে হাওয়ায় গন্ধ গন্ধকেই ধরে রাখে অভেদে ...

দুই .

শরীর থেকে মন ছিঁড়ে নিয়ে 
এখনো খোদাই করে চলেছি বিজন ব্রজেশ্বরী 
রক্তে অরুচি ধরে গেছে 
তার চাই সাদা জুঁই ভাত ...

যখন বনস্থলী 
যখন মায়াবী তখন বাঁধন লাগে 
ভেজা বন্দুকের মাছিটা সোনার তারার মতো জ্বলছে 
বুকের ললন্তিকায় 

তার চিবুক বিন্দু হাতে ধরে থাকে দেশের রোদ 
সপ্তরথীর মতো পাহাড়ি পিলুতে গাওয়া 
অসহায় মনে নির্দোষ বন্য সুর সরলভাবেই ঢোকে 
ঢুকে শিউরে শিউরে ওঠে আনন্দে 

চাঁদের দূরবীন নেই 
সাদা দাড়ি নেই 
মা কাছে নেই 
নখে আঁচড়ে আঁচড়ে সুতো সুতো করে গেছে বেড়ালেরা 


মেঘের দেশ থেকে হিজিবিজি আঁকা এক খন্ড কাগজ 
হাতে নিয়ে বসে থাকে চন্দ্রাহত 
বৃদ্ধ বাবার মতো ... বনবীথিকার মতো ...




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~অলোক বিশ্বাস

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা || 

অলোক বিশ্বাস

নারীবন্দনা : ২ 

ঝড়ের গতিতে বহু সত্যকে মিথ্যা, বহু মিথ্যাকে 
সত্য করা যায় নারী বন্দনায়। ভূগোল, ইতিহাস ও সমাজবিদ্যার পাঠক্রমে নারী বন্দনার উৎকর্ষ  আছে বজ্রবিদ্যুৎভরা অমরতায়। ভূতের গল্পে বা জাদুবাস্তবতায় নারীদের শোভা সদ্যজাত শিশুর মতোই। আমি হাজার সেলাম জানাই নারীদের, প্রাকৃতিক সকল বস্তুকে চিরতরে অস্থির রেখেছে ব'লে। জাগতিক পরাজাগতিক নারীরা পৃথিবীকে নতুন কোরে জন্ম দেয় প্রতিদিন। দেখছি নদী ও সমুদ্র থেকে উঠে আসছে অগ্নিহোত্রী নারী। কিভাবে প্রকৃত নারীর জন্ম হয় রোজ একথা কেউ কেউ জানে। আমি যখন দুগ্ধাদি পান কোরি, যখন সাঁতার কাটি, যখন জ্যোতিষ্ক স্পর্শ কোরে বীর্য পূর্ণ কোরি, যখন বনস্পতির সমীপে প্রশান্ত বৃষ্টি প্রার্থনা কোরি, গায়ত্রী মন্ত্র সমেত, সকল ঈপ্সিত বস্তু সমেত, হারিয়ে যাওয়া পরিশ্রুত জল সমেত, শুদ্ধসত্ত্ব স্বর্গীয় অভিপ্রায় সমেত নারীরা আমার সম্মুখে এসে দন্ডায়মান হয়। আমি তাহাদের নির্মল প্রভায় বসে নীরবে নারীবন্দনা কোরে যাই।



১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||    

হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

উলের সুতো

আমার দিদিমা খুব ধীর স্থির হয়ে
উল নিয়ে চারঘর এগিয়ে গিয়ে
কিছুক্ষণ পরেই আবার চারঘর পিছিয়ে আসত 

উল বুনছ ?
সোয়েটার বুনছ ? 
এসব কানে গেলেই দিদিমা খুব জোরে হেসে উঠত

শুনেছি কোনো এক শীতের দেশ থেকে বুড়ি উঠে আসে
সোয়েটার মানে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া একটা শরীর
যাবতীয় যুদ্ধের শেষ

উলের সুতো হাতে যুদ্ধ চলুক 
ঠাণ্ডার সঙ্গে পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে
ঠাণ্ডার সঙ্গে পায়ে পায়ে পিছিয়ে এসে
সর্বক্ষণ সারাটা পথ মাছরাঙার দৃষ্টিতে

পরিধি ধরে ছড়িয়ে পড়ুক দিগন্ত পর্যন্ত
পথে পথে গোপন গুহায় কিছু উলের সুতো
ঠাণ্ডার মস্তিষ্কে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার তোড়জোড় চালাচ্ছে ।




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || ২টি-কবিতায়~গোবিন্দ ব্যানার্জী

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||    

গোবিন্দ ব্যানার্জী

ছায়া ফিরে যাবে গাছেদের কাছে

এমনি ভাবে নয়, মেঝে থেকে চোখদু'টো
প্রতিবিম্বিত হয়ে ঝুঁকে পড়া পাতার ঝোপ... 
প্রেসারে হাওয়া দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠার আগে 
তার পরিশুদ্ধ ছায়া আয়েশ ক'রে বসে
স্নিগ্ধতা মুড়ে... মা যেভাবে চেয়ে থাকতেন,
সন্ধ্যা বাগানের দিকে উদাসীনতা দেখালে...
সেইখান থেকে দীর্ঘায়িত পথের টানাপোড়েন 

আর এক পত্রাবলী স্নেহের কাঁধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে 
সে সময় নাড়কেল গাছ মাথা দোলানো থামায়
প্রেসার শাসন করে হাওয়াদের... আসলে দৃশ্যত 
চোখদু'টো বাতাসের সাথে লুকিয়ে দেখে
ফিরে যাওয়া প্রতিধ্বনিদের... আসলেই যারা 
ছোপের মত আটকে থাকতে না পেরে
ফিরে যাচ্ছিল ভাঙা ঢেউ নকল ক'রে ক'রে... 
তাদেরও বসে থাকতে হয়েছিল সেই দীর্ঘাঙ্গীর পাশে

পরিপাটি গাছটি একদিন হেসে উঠবে খুব... 
সেদিন চোখদু'টো নাই থাকতে পারে
সেদিন ছায়াগুলো আরো নিস্তেজ হয়ে যাবে
হয়তো সন্তানেরাও বেড়ে উঠবে বাতাস ছুঁতে...
মেঝে থেকে তারও বহুদিন পরে
ছায়া ফিরে যাবে গাছেদের কাছে.... 

আলোময় করো হে

সে তো প্রজন্মের কারসাজি 
হাতের ছোঁয়ায় হাত যে আশ্বাসটুকু 
গেঁথে রাখে উজানে
তার রং বিপন্ন হয়েছে কবে...?
এই যে মেঘগুলোকে 
সোহাগ ক'রে পাশে বসিয়ে রাখো
ছাদতারাদের খৈ ছড়িয়ে দাও নিটোল গালে
পথের ভিতর রাতচরাদের ক্লান্তি ঝুঁকে পড়লে
তুমি নিজেকে নিয়ে আড্ডায় বসে যাও...
তারপর মানেগুলো টুকে রাখো কোড়া পাতায়

এসবের ঢেউ বড় হয়, যাত্রীরা ভীড় করলেই
হুইসেলের শব্দ আছড়ে পড়ে 
খুব দ্রুত একটা চিত্রনাট্য লেখা হয় চশমার কাঁচে
হ'লো না হয়তো ক্যামেরার আলোর হৈ চৈ
তবু তো টালির চালে লাউডগা উসকে উঠলো
ডায়েরীর গোটাকয় পাতা সূর্য মেখে নিল

যাবতীয় ঝাড়পোঁছ সেরে নিয়ো তুমি
তারপর... তারপর... আগামীকাল সূর্য উঠবে... 
প্রার্থণার মন্ত্রগুলো আউড়ে নিয়ো ঘুমের ঘোরে 
আহা, সূর্য...আলোময় করো হে...




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~তাপস গুপ্ত

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||  ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

তাপস গুপ্ত

সন্ধ্যের নেলকাটার

(একটি প্রভাবিত রচনা)


নখ কাটার মত

অভিজাত অবসর আসেনি এখনও

তাই


ক্রমশ ছোটো হয়ে গুঁড়ো আকাশ

জানলার ওপারে এলেই

মাটিতে পাতা বিছানা হইতে

দু পা তুলিয়া দিলাম

কোমর ভেঙে জানলার ওপর

সটান চোখ যায় ট্যাঙ্কির

পাইপ ছাড়াইয়া ফুরিয়ে যাওয়া

ভাঙা বিকেলের ফ্যাকাসে আকাশে


অতঃকিম

আকাশের ওপর ভাসিয়া ওঠে কিছু ছবি

আকাশের ওপর বাজিয়া ওঠে কিছু কথা

একটা কাক আসিয়া বসে জলের পাইপে

ঘাড় বেঁকিয়ে খুঁটিয়া চলে পালক

ঘাড় বেঁকিয়ে দেখিতে থাকে আকাশ

একটা কাক একটা ডাক ডাকিয়া হারাইয়া যায়


সেই ডাক বিন্দু

জানলার ওপর স্থিত পায়ের বুড়ো আঙুলের

নখে ঘুরিতে ঘুরিতে কয়

এইবার আসিছে পালা নখ কাটিবার


সন্ধ্যের নামে আঁধার নামিলেই

মুখোমুখি বসিবার তরে

শুরু হবে কিছু লেনদেন

নাই বা রইলো সেই মিহি চূর্ণ মোমশিখা

নাই বা রহিল সেই সন্ধ্যা নামক নেলকাটার….





১-লা বৈশাখ সংখ্যা || গল্পে~আলোক মণ্ডল

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||   

আলোক মণ্ডল

নিরুত্তর

ডোন্ট বি সিলি!ট্রাই টু রিয়েলাইজ। ওয়ান ইজ এনাফ! ইটস এ ম্যাটার অব লাইফ!
অবুঝ কৃষ্ণা। বুঝতে পারেনা,শ্রীমন্তের এই জেদ কেন!  অভাব তো তেমন কিছু নেই বরং বলা যায়  বাপনের আছে।ওর একটা সঙ্গী ভীষণ জরুরী।তবু কেন এ্যাবরেশন!

আজ সারা দুপুর কৃষ্ণা বড় একা,বড় উতলা মন তার।একটা ধুমসো কালো মেঘ যেন জমে আছে ওর সমস্ত মন জুড়ে।
বাপন ওর বাবার সঙ্গে  মার্কেটিং সেন্ট্রাল মলে । একটু পরেই ফিরবে।তার মধ্যেই ডিসিশন নিতে হবে আর কাল বাদ দিয়ে পরশু, রবিবারই,নারসিং হোমে!

-মাম্মি মাম্মি, লুক  ড্যাডি ধুতি-পাঞ্জাবি কিনেছে, আমার জন্যেও একটা পাঞ্জাবি আর লেগিন্স কিনেছে আর তোমার জন্যে... কাম কাম, প্লীজ সি ইট! এটা কি একটা শাড়ি হোল? রেড কালারড্ বিলো,বডি অফ-ওয়াইট! ইস কী বিশ্রী! জাস্ট অ্যান ওল্ডওম্যান! এ সব পরে! 
প্যাকেট গুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাপন চলে গেল ওর স্টাডি রুমে।শ্রীমন্ত বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে বলল,এগুলো কালকের জন্য! সোসাইটিতে সকালেই সেলিব্রেশন! বেশ জম্পেশ আড্ডা দিতে হবে! কৃষ্ণা চুপ। একবার নেড়েও দেখল না রঙচঙে প্যাকেট গুলো।

-আচ্ছা ড্যাডি,মাম্মি কথা বলছে না কেন?
- ও মাই সন,মাম্মি উইল লস হার আন- ওয়াটেড ড্রিম,ডে আফটার টুমোরো!  তুমি ওসব বুঝবেনা।  গো!গো!এনজয়  ইয়োরসেল্ফ! টুমোরো নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন!
- হোয়াট্ ড্যাডি?  টুমোরো সাটার ডে, ফরটিনথ এপ্রিল!  নট ইয়েট ফার্স্ট জানুয়ারি, তো!  হাউ ইটস্ পসেবল?
- মাই চাইল্ড, টুমোরো পয়লা বৈশাখ নববর্ষ।আমি তুমি অ্যান্ড ইয়োর মাম্মি নতুন জামা কাপড় পরে সোসাইটির লনে সেলিব্রেশন করব,খুব মস্তি করব!
ব'লে শ্রীমন্ত দ্রুত চলে গেল কলিং বেলের শব্দে, নীচে,দরজা খুলতে।
বাপন,মায়ের কাছে জানতে চাইল,মাম্মি "পয়লা বৈশাখ" মিনস? ওটা কি কোন নেম না কি বার্থ ডে?
নিরুত্তর কৃষ্ণা কান্না চেপে বাপনকে কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলল,জানি না বাবা,ওটা তোমার ড্যাডিকে জিজ্ঞাসা কোর!




১-লা বৈশাখ সংখ্যা || কবিতায়~কুশল ভৌমিক

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || ১-লা বৈশাখ সংখ্যা ||  

কুশল ভৌমিক

বেদনার হায়ারোগ্লিফিক্স


এই যে আমি তোমার অবাধ্য ঠোঁটে
লেপ্টে দিলাম একটা কষ্টার্জিত দুপুর
আস্ত একটা কবিতার বই
বেদনার হায়ারোগ্লিফিক্স 

এসবই আমার ক্ষুধার্ত প্রেমের নামতা। 

যদি খুলতে পারো সমীকরণ 
জীবনের ভগ্নাংশের ভাঁজ
দেখবে-

আকাশে ঝুলে আছে আইনস্টাইন 
পাতার ভেতর খসে পড়ছে রবীন্দ্রনাথ 
আর পৃষ্ঠাজুড়ে লালনের একতারা 
আর আমি-
ব্রহ্মান্ডের মতো তোমার খোলা পিঠে 
দুলে ওঠা বেণির শিল্পকলা দেখে দেখে 
প্রশ্নবোধক চিহ্নের ভেতর ঢুকিয়ে দিই বিস্ময় 

জীবন বস্তুত বিরাম চিহ্নের মাস্তানি!