Showing posts with label শারদীয় ২০ মানিকলাল সিংহ. Show all posts
Showing posts with label শারদীয় ২০ মানিকলাল সিংহ. Show all posts

Thursday, September 17, 2020

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা



আজকের সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন শারদীয় সংখ্যা ডঃ মানিকলাল সিংহ মহাশয়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে। বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা জানালো। প্রণাম...







≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ সম্পাদকীয় নয় কিন্তু ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
অভিজিৎ দাসকর্মকার


সম্পাদকীয় নয় কিন্তু____

২০২০ সাল সত্যি ইয়াদগার। এতো ছেড়ে যাওয়া। এতো এতো মন খারাপ। তার মাঝেও আমরা যারা শব্দ যাপনে আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করছি। তাই এই বছর এতো বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা করে সকলকে নিয়ে মেতে থাকার চেষ্টায় রয়েছি সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন থেকে।

শারদীয় সংখ্যায় প্রচুর লেখা আসে।  একসাথে এতো লেখা অনলাইনে প্রকাশ করা যায় না।তাই সুশীল বাবু (হাটুই)  বললেন তুমি একটি কাজ করতে পারো।সংখ্যাটি ৪টি অংশে বের করো তাহলে এই কোভিড সময়ে মণ্ডপে কেউ যেতে না পারি যদি অন্তত সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল নিয়ে কাটানো যাবে। তাই এই অভিন্ন প্রয়াস। চারটি শারদীয় সংখ্যা বিষ্ণুপুরের চার অক্ষয় ব্যক্তিত্বকে উৎসর্গ করলাম। প্রতি বছর যেমন মহালয়ার দিন সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এর শারদীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয় এবছরও মহালয়ার দিন শারদীয় সংখ্যার প্রথম পর্ব প্রকাশিত হবে ডঃ মানিকলাল সিংহ মহাশয়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে।তারপর ২রা অক্টোবর চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা। ১৫ই অক্টোবর চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা এবং ২৪শে অক্টোবর মহাষ্টমীর দিন এবছরের শেষ শারদীয় সংখ্যা বিকাশ দাস সংখ্যা প্রকাশিত হবে।

বাংলাদেশ সংখ্যায় প্রচুর সাফল্য সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের ১৯০০ ভিউয়ার্স ৩ দিনে।এই সংখ্যাটি করার সময় অলোক বিশ্বাস দাদাকে বলি এবং পাশে থাকার কথা বলি।উনি নিজের পত্রিকা মনে করেন এই ওয়েবজিনকে।অকপটে পাশে ছিলেন,আছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবো।আর একজন বিশ্বজিৎ দাস উনিও পাশে ছিলেন।

"এবার আমরা শুনবো আপনার কথা আপনার কবিতা" ___এ বছর এখনো অবধি যাঁর সাক্ষাৎকার সবথেকে বেশিজন পড়েছেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৪৭জন) এবং দেবযানী বসু ( ৩৬৩ জন) প্রচুর বিশিষ্ট জনেরা ফোনে এই কাজ নিয়ে এবং এনাদের সাথে পত্রিকার কথা বার্তা নিয়ে প্রশংসা করেন।

অনিন্দ্য রায় ছক্কা ফর্মে কবিতার কাজ আমাদের পত্রিকাকে অনেকটা আগিয়ে দেয় পাঠকদের কাছে, সাথে অনেক আগ্রহী কবি এগিয়ে আসেন এই ফর্মে কবিতা নিয়ে।বস্তুত ওনার কথায় আমি পত্রিকার তরফ থেকে পোস্ট দিই তাতে ৯ জন কে নিয়ে একটি কাজ করছি আগামী দিনে।তার দিনটি পরবর্তীতে জানাবো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ অনিন্দ্য দাকে।

ধারাবাহিক নভেলেট "ডারউইনের চিঠি"__অরিজিৎ চক্রবর্তী। প্রতি রবিবার থাকবে একটি করে পর্ব। প্রথম সংখ্যা ৮১৭ জন পড়েছেন।একটি সুন্দর গঠনশৈলীর উপন্যাস, যার মধ্যে ডারউইন তত্ত্ব এবং streem of consciousness flow মিল ও মিশে থাকছে।

এবছর ১৫ই জুন ২০২০,  জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তি ১৪২৭

সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের তরফ থেকে কবি এবং শিল্পীদের নিয়ে প্রভাত চৌধুরীকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোট ২৫টি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয় ওইদিন ভোর ৪:১৭ মিনিট থেকে । যাতে ভায়োলিন, ইলেকট্রনিক গিটার, বাঁশি ও নৃত্য পরিবেশনও হয়েছিলো,তার সাথে কয়েকজন কবির মুখে প্রভাত চৌধুরীর কবিতা পাঠ করা হয়।

এই অনলাইন কবিতা পাঠের সিরিজের নাম দেয়া হয়।

জৈষ্ঠ্য সংক্রান্তি ২০২০, অনলাইন প্রভাত চৌধুরী সিরিজ
যাঁরা সঙ্গ দিলেন সরাসরি___

ভায়োলিন বাদক ( happy birthday to you) অনুপম আচার্য্য, বিষ্ণুপুর।

কবি নাসের হোসেন
কবি আলোক মণ্ডল, সম্পাদক কবিকর্ণিকা, বাঁকুড়া
কবি গৌরাঙ্গ মিত্র
কবি সুশীল হাটুই
কবি রাজশ্রী গুহ ব্যানার্জি
কবি বিভাবসু

ইলেকট্রনিক গিটারে (হে নতুন...) রবীন্দ্রসুর, সুধাময় আঢ্য।বিষ্ণুপুর, জুয়েলারি দোকানের কারিগর।

কবি শীলা বিশ্বাস, সম্পাদক এবং সইকথা ব্লগজিন।
কবি সুব্রত পণ্ডিত
কবি আলিমন নেছা মনি, বাংলাদেশ।
কবি পার্বতী রায়।
কবি চন্দ্রদীপা সেন শর্ম্মা।
কবি প্রত্যূষ কর্মকার।
কবি ভজন দত্ত,  বাঁকুড়া।

বাঁশিতে কবি গৌরীশঙ্কর সিনহা, রবীন্দ্রসুর, বাঁকুড়া।
কবি মন্দিরা ঘোষে।
কবি কার্তিক ঢক্।
কবি রীতা মিত্র।
কবি শ্যামশ্রী রায়,কর্মকার, সম্পাদক সাহিত্য এখন ওয়েবজিন।
কবি অভিজিৎ পালচৌধুরী।
কবি পৃথা চট্টোপাধ্যায়।

আবৃত্তি কবি বাচিক শিল্পী এবং নাট্যকর্মী শ্রাবন্তী বটব্যাল, বাঁকুড়া।

প্রভাত চৌধুরীর কবিতা পাঠের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন দেবোপমা সেনশর্ম্মা, কবিতা পাঠ চন্দ্রদীপা সেনশর্ম্মা।

এবং অনুষ্ঠান শেষ করা হয় সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিনের সম্পাদক অভিজিৎ দাসকর্মকারের কিছুকথা এবং প্রভাত চৌধুরীর কবিতা পাঠের মাধ্যমে। অভিজিৎ দাসকর্মকার প্রভাত চৌধুরীকে ১টি সরলবর্গীয় এবং চিরহরিৎ বৃক্ষ বলে সম্বোধন করেছেন এবং নিজের মতো করে এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রভাত চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
প্রতিটি ভিডিও-র ভিউয়ার্স গড়ে ৪৫০ এরও বেশি। সকলকে পাশে থাকার এবং অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।

সকলে পড়ুন। মতামত দিন।

⊕ ⊕ পাঠ প্রতিক্রিয়া দিন,আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া ঠিক পরের সংখ্যায় লিপিবদ্ধ হবে।

সঙ্গে থাকুন। পড়তে থাকুন।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ সুব্রত পণ্ডিত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
সুব্রত পণ্ডিতের কলমে মানিকলাল সিংহ :



রাঢ় বাংলার সমাজ সংস্কৃতি গবেষণার বিস্ময়কর প্রতিভা ড: মানিকলাল সিংহ। মানুক বাবুর সমাজ বীক্ষণে উঠে এসেছে পুরাতত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, লোকধর্ম ও সংস্কৃতি। আজীবন অনুসন্ধান করেছেন রাঢ়বঙ্গের নদী ও অরণ্য সভ্যতা।আবিষ্কার করেছেন তাম্রস্বীয় যুগের সভ্যতার নিদর্শন "ডিহর"- প্রত্নখনি,প্রাণপাত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন 'আচার্য যোগেশচন্দ্র সংগ্রহশালা'। সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা সীমিত হলেও পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ। তাঁর রচনা সম্ভারের মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ — দীপশিখা (১৯৩৯), অনাবশ্যক (১৯৪৭),নাটক— হ্যামার (১৯৪৮), উপন্যাস— শালফুল (১৯৫১) এবং পদাঙ্ক ও পদধ্বনি নামে ২টি কাব্যগ্রন্থ অপ্রকাশিত অবস্থায় রয়ে গেছে। লোক-সংস্কৃতি বিষয়ক গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে —কাঁসাই সভ্যতা (১৯৫৪), পশ্চিম রাঢ় তথা বাঁকুড়া সংস্কৃতি (১৯৭৭), রাঢ়ের মন্ত্রযান (১৯৭৭), রাঢ়ের জাতি ও কৃষ্টি (১ম ও ২য় খণ্ড ১৯৮২, ৩য় খণ্ড ১৯৮৩), সুবর্ণরেখা হইতে ময়ূরাক্ষী (১ম-৬ষ্ঠ খণ্ড ১৯৮৮-১৯৯৩) ইত্যাদি।গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ভারতীয় ভাষা পরিষদ কর্তৃক 'রামকুমার ভুয়ালকা ' সম্মান। এ হেন সারস্বত সাধনায় নিমগ্ন মানুষটির মূল্যায়নের দায়বদ্ধতা আমাদের।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ প্রভাত চৌধুরী ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
প্রভাত চৌধুরী

আরো ১ টি কুশলসংবাদ

এই কুশলসংবাদটি লেখা হচ্ছে সাপ্তাহিক ব্লাকহোল - এর জন্য ♤  আমরা জানি Hole-কে বাংলায় গর্ত বা গহ্বর বলে ♤আর গহ্বর = গুহা ধরে নিলে লেখাটি অর্থাৎ কুশলসংবাদটিকে গুহামুখ নিঃসৃত বলা যেতে পারে ♤ অতএব কুশলসংবাদ = ভাগীরথী একটি নদীর নাম ♤ এই বিশ্বাস ছবি বিশ্বাসের গলায় শুনলে আপনারা বিশ্বাস করতেন ♤ আমাকে বিশ্বাস করলে আমি গুহামুখ থেকে যা শোনাব তার জন্য শ্রবণইন্দ্রিয়টিকে আপডেট করতে হবে ♤ আরো 80GB মেমোরি অ্যাড করতে হবে হাডডিসকে♤ কুশলসংবাদটি হল আগামী পূর্ণিমাতে চর্যাপদের একদল হরিণ দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিড়িয়াখানা থেকে ছুটে আসবে আমার গুহার দিকে ♤ দীপেনদা জানতেও পারবেন না ♤ শুনলেন আপনারা আর বললাম আমি ♡



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ নাসের হোসেন ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
নাসের হোসেন 



মানুষের কণ্ঠ

চিলমন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা পথ
আজকে যে মহোৎসব, কিন্তু কোথাও ঢাকঢোল নেই
বিন্দুমাত্র আওয়াজ নেই কোনোখানে,কেবল
কখনো - কখনো মানুষের কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে
একজন বলছে,তুমি কি তোমার বাড়িতে যেতে চাও
আর একজন বলছে,
তোমাকে তোমার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ মুরারি সিংহ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
মুরারি সিংহ  


চরিত্রহীন  

ঘাস-ফড়িংয়ের প্ররোচনায় একদিন ভুল-ইস্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম  
মরমি আপেলের গায়ে জখম চিহ্ন দেখে জেনেছিলাম
শুধু ফরাসি-বিপ্লব নয় আইভি-লতা বিষয়ক 
যে কোনো সু-সংবাদের সঙ্গেই আমার একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে 

তারপর তীব্র জলের চারপাশে ঝুলে থাকা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে 
পোষ মানানোর জন্যে 
পুঁটিবিবির থানে তিনটি মুরগি বলি দিয়েছি 

আপাতত চিঁহি-চিঁহি নিশিডাককেই উচ্ছন্ন-সমুদ্র বানিয়ে
                দুই-হাঁটুর চরিত্রহীনতায় 
                     কী মশগুল কী মশগুল 

আছি রসেবশে আছি কিচেনে-বেডরুমে 
                        রুফটপে-শপিংমলে আছি
       আছি আছি মোমো-চিলিচিকেনে   
তার সঙ্গে তুলো-তুলো ফুলো-ফুলো শ্রাবণে কী ঝালনুনে  

আছি ছোটো বড়ো মাঝারি অথবা পুচকে হয়ে 

ছড়ানো ছেটানো সংসারে 
পল্লির পথে লাল ওড়নার সঙ্গে হোলি খেলি 

শরতে ঝরে পড়ে শিউলি আর বসন্তে সজনে 

অরগ্যানিক তাঁবুর গায়ে কান পেতে শুনি
পড়শিরা বলাবলি করছে   

ছাদনাতলার কান্নাই হল পোয়াতি হবার প্রথম ধাপ



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ পিনাকী রঞ্জন সামন্ত ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||

মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
পিনাকী রঞ্জন সামন্ত


বাইওডাটা

উচ্ছৃঙ্খল বাজেট বাইওডাটার সঙ্গে সূর্য ওঠার কোনো সম্পর্ক নেই ।
দিনরাত্রির মাঝখানে যে দোলনাটি প্রতিনিয়ত ঝোলে, তাই যদি প্রতিভা হয়, তা হলে বাজেট একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিধ্বনি হতে পারে - যা থেকে
১)
একটি দেশের অর্থনৈতিক প্যারামিটারের চিত্রকল্প সহজেই আঁকা যায়
২)
চৈতন্য এবং অচৈতন্যর একটি অসহায় আত্মসমর্পণের সুর
৩)
একটি অসহায় জলাশয়ের নিভৃত কান্না
এবং ৪)
একটি দেশের অপরিণত পরিকল্পনার বার্ষিক ঢেউ থেকে আমরা জেনে নিতে পারি আমাদের দারিদ্র্য উৎসব
আমরা পাই ---
অসংখ্য আম্বানি, জামদানি, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট পূর্ব পরিকল্পিত ।

এসো
আমরা সম্পাদনা করি একটি পুজো সংখ্যার অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপির আত্মউন্মোচন
ওঁ শ্রীকৃষ্ণ
ওঁ রাধে
ওঁ তৎসৎ
ওঁ বিষ্ণুপ্রিয়া, পিয়ঙবদা, চিত্রাঙ্গদা মাখানো
কী সুন্দর, ভারী সুন্দর 
সুন্দর ক্লান্তি ।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ মন্দাক্রান্তা সেন ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
মন্দাক্রান্তা সেন 


কষ্ট


উহ কষ্ট ! আহ কষ্ট ! কী যে কষ্ট !
প্রেমে পড়েছি যে, সে কথাটি এত স্পষ্ট! 

হ্যাঁ, প্রেমে পড়েছি, একেবারে হুড়মুড়িয়ে
এস পিয়সখা, নাও হে আমায় কুড়িয়ে

নেবে না যে আর, সে কথাটি আমি জানি তো
নিজেকে নাই বা করি আর অপমানিত

ভুলে যেতে চাই ডাকতাম তাকে কী নামে
এবার কবিতা থামুক যতির বিরামে

হে প্রেম, তোমাকে ছেড়ে চলে যাব সুদূরে
সব ফেলে যাব, কষ্টটি নেব শুধু রে... 


≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ দিশারী মুখোপাধ্যায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
দিশারী মুখোপাধ্যায় 


জীবন 

কখন শুরু হয়েছিল জানিনা 
কখন শেষ হবে 
মধ্যখানটুকু নিয়ে মগ্ন হয়ে আছি 

শুরুতে ছিলাম না
সগর রাজার ছেলেরা পানে ব্যস্ত ছিল
চিল এসেছিল মেঘের আড়াল থেকে
ছোঁঁ একমাত্র ছিল তারই 

হর্ম্যরাজি ভেঙে পড়ার কথা 
বলাবলি করছে লোকেরা 
চাপা না পড়ার উপায় আছে কিনা জানেনা 
চেষ্টাও নেই 
টেবিলে এখনো অনেক আহার আর পানীয় 

আমি তো লীন হতেই চেয়েছিলাম , চাইনি কখনো
শরীরে ব্লটিং 


একটি পানীয় জলের পুকুর 

কানায় কানায় ভরা পুকুরের স্বচ্ছ জল 
থার্মোমিটারের ঔদ্ধত্যে শুকিয়ে গেল 
পড়ে রইল কাদা আর নাগরিক আবর্জনা
কে জানত পুকুরের নিচে এসব ছিল
জলের নিচে তো কেবল সবুজ গাছ আর
নীল আকাশের ছায়া দেখা যেত 

এরপর শুধু প্রাসঙ্গিক রইল উষ্ণতা , শুষ্কতা 
আর গলা শুকিয়ে আসা প্রাকমৃত্যুর অভিজ্ঞতা

বিশ্বাস শব্দটিকে অক্সিজেনের মতো ধরে থাকলে
আবার একদিন খুব বৃষ্টি হবে , জেগে উঠবে 
সেইসব জলাশয়ের মৃত জীবাশ্মগুলি
কাদার কথা ভুলে গিয়ে আবার আমরা , দেখব 
গাছ আর আকাশের মায়াবী ক্যানভাস 
খানিকটা মেখে ঠাণ্ডা হবো ,খানিকটা পান করব 
ধুয়ে নেব খানিকটা নিজেদের ক্লেদ



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ আলোক মণ্ডল ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
আলোক মণ্ডল



ঝুরোগল্প~ব্ল্যাক লিস্টেড 

প্রতিটা পোস্টে এতো করে লাইক দিলাম তবু আমাকে বলল না!  এক গভীর হতাশার সুরে একথা বলেছিল অনির্বাণ।

রাস্তার গাড়ির ঠেকে চা খেতে খেতে কত কিছুই তো আলোচনা হয় এক সংগে সবাই বসি, খাই,রাগ-অভিমান করে কেউ কেউ চলেও যাই আবার ফিরে আসি।ঠেকের টান এতো অমোঘ যে একদিন কেউ কিছুক্ষণের জন্যও না এসে থাকতে পারে না।
ঠেকের মধ্যেই   আবার কত অনু ঠেক, একজন চলে গেলেই আর একজনকে নিয়ে কত আলোচনা কত, কত কানাকানি,কত কুটকাচালি!  তবু কেউ বিপদে পড়লে সব-ছোট ঠেকই এক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহায্যের ডালি নিয়ে।ঠেকে প্রতিদিন নানা বিষয়ে আড্ডা হয়,কখনও মহাকাশ তো কখন সেতার কখনও বা নিছকই আড্ডা পেছুনে লাগা!
সেদিনের আড্ডার বিষয় ছিল এই ফেসবুকে কে কেমন রিযাক্ট করে - তাই নিয়ে।
অনির্বাণ  বলল,তোমার পোস্টে লাইক দিলাম মানে আমি পড়ি বা না পড়ি তোমার সাথে আছি, সবটাই বিশ্বাস, মানে ভালোবাসা আর কি! বলতে পারো পুরোপুরি ভরসা। আর লাল হরতন মানে মনে প্রাণে আছি তবে তোমার বক্তব্য  যে পড়েছি তা বলা যায় না,তবে ভালোবাসা দেগে দিয়েছি অগাধ বিশ্বাসে!আরও আছে কান্না ঝরা মুখ, বিস্ময়ের মুখ,বিরক্তির মুখ। সচরাচর এগুলো খরচ করি না! 
অনির্বাণের ঐ একটাই অভ্যেস না পড়েই লাইক মারা,আগাপাস্তলা কিছু  না ভেবে অন্য মুখগুলো না নিয়ে নাড়াচাড়া না করে শুধু বুড়া আঙুল দেখানোই ওর অভ্যেস। শুধুই লাইক মারা! 

তার ফল পেয়ে গেল আজ হাতে-নাতে।নো নিমন্ত্রণ! এক্কেবারে ব্ল্যাক লিস্টেড!

হয়েছে কি সুনির্মলের বাবা হঠাৎ গত পরশু গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রন্ত হয়ে মারা গেলেন। ওর বাবা ছিলেন জেলার এক নামী নাট্যকার তাই তার মৃত্যুর সংবাদটা সুনির্মলকে ট্যাগ করে একটা মর্মস্পর্শী পোস্ট  দিয়েছিল অতনু। অনেকে  তা পড়ে আন্তরিক ভাবেই শোকজ্ঞাপন করে,অনেকে স্মৃতির সরণী বেয়ে  অনেক কথাই লিখেছিল,কেউ আবার অতি ব্যস্ততায় শুধু কান্নাঝরা মুখ  কমেন্টে বক্সে তুলে দিয়ে স্যাড মানে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। আর অনির্বাণ অভ্যেস মতো তাতেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল অর্থাৎ  প্রিয়বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে তার কাঁচকলা প্রদর্শন! তার অনিবার্য ফল  স্মরণ অনুষ্ঠান ও ভোজসভায়  সে ব্ল্যাকলিস্টেড! 



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ সুবীর ঘোষ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
সুবীর ঘোষ



শরীরে কী হয়

 

শরীর ছুঁয়েছে তার তিরতনু নদীটির আলো

মুখ্যত বিদেশে গিয়ে অন্য মুখে শুধু বসে থাকা ।

পাথর ছড়িয়ে যায় বুকের ভিতর থেকে আঁধার সরিয়ে

শরীরে কী হয় তার হালহদিশ দিতে পারে ক’জন এখন !

সকালে যা ভেবে রাখি বিকেল গড়াতে তার ইতি

থাকে সব এদিক ওদিক তবু কত কিছু চেনার ওপারে ।

হাতে কোনো মন্ত্র নেই, মন্ত্রণাতে যন্ত্রণাই বেশি

এরকম অবস্থায় একটু একটু মেঘ এলে বেঁচে যাই ।

মাঠের ভেতর অন্ধকারে কারা যেন ক্ষীণ আলো জ্বেলে

প্রত্নযুগের কিছু রোমাঞ্চ মেলে ধরে বসে ।

তারা কী রহস্যময় ! তারা কী আমার চেনা কেউ ?

সাত পাঁচ ভেবে ভেবে ভেঙে ফেলি সিঁড়ির শৃঙ্খল ।

আমাকে বলে না কেউ তবু বুঝে যাই ---

পৃথিবী প্রতিদিন নতুন নতুন রঙে সাজঘর ফেলে ।



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ শ্যামশ্রী রায় কর্মকার ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
শ্যামশ্রী রায় কর্মকার 


দুহাজার কুড়ি

জীবন এই মুহূর্তে সকাল দশটার জাদুঘর 
সময়ের মৃদঙ্গে তেহাই  
বাজতে না বাজতেই একটি দুটি পদশব্দ 
ভেসে গেল বারান্দায়, খিলানে খিলানে
প্রতিধ্বনি শোনা গেল, আমিটি দেওয়াল
শব্দের আঘাত বাজে, চিহ্ন পড়ে না

আলোর নরম হাত ভাস্কর্যসম্ভারে 
আলোর নরম হাত, আহা

সমস্ত নরম প্রখর হয়ে আসে
তারপর নিভে যায়
সম্পর্কের মতো 

কানের ভেতর সমুদ্রধ্বনি শুনি
যাওয়া তো হবার নয়, তবু

গাভীর স্তনের মতো ভারী হয়ে আসে ইচ্ছেগুলি
অবাধ্য-সবুজ ঘাসজমি

থেকে থেকে স্বরধ্বনি ওঠে 
ছাদে ও দেওয়ালে বাধা পায় 



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়

নরকের দূত কতৃক নির্দেশিত লেখা

....তারপর পৃথিবীর দীর্ঘতম লোডশেডিং সরলরেখার মতন একটানা ভয় চারপাশে গভীর ডিপ্রেশান-এর বৃষ্টি আজ মনেহয় এই নাফুরানো রাত্রি ক্রমশ আরও দীর্ঘ হচ্ছে অন্ধকারও যেন ঘনত্বহীন একটা শব্দ মৃদু বিড়ালেরতো পদধ্বনি হয় না জানি নড়ে উঠল শুকনো করোটি আর সেই শব্দ হাতুড়ির মতন আছড়ে পড়ল মস্তিষ্কে যেখা‌নে একটি ধুসর মরুভূমি আছে মরিচীকাও যার দিকে বারবার ব্যর্থ ছুটে যাই সমস্ত হৃদয় তৃষ্ণা নিয়ে সামান্য প্রাণের জন্য শুকিয়ে আসে গলা জিভ কণ্ঠনালীতেও জারি হয় কার্ফিউ আবারও নতুন কোনও অজানা ভয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ি আতঙ্কিত একখানা আরশোলা যার প্রবল বাঁচার তাগিদ কয়েক মুহুর্ত অতঃপর সবকিছু শান্ত শুধুমাত্র অসামান্য টিকটিকিটা তৃপ্ত হবার কারণেই যাবতীয় ভয়ের আয়োজন এই প্রকাণ্ড অন্ধকারে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ওৎ পেতে আছে অতৃপ্ত নেকড়ে অজস্র মাংসাশী পোকা আমারই দিকে চেয়ে আছে রাত্রি হাজার চেষ্টাতেও খুঁজে পাচ্ছি না গীতবিতান দেহ মনের সুদূর পারে অথবা সামনে শুধু ছুটন্ত হাইওয়ের ক্ষিদে যাকে অনায়াসে এই নিজস্ব 'আমি' দিয়ে নিয়ে যেতে পারি তুমুল অর্গাজম্-এ যদি গ্রাস করে আমাকে তাহার ক্ষুদার্ত দুখানি কঠিনতম স্তন তার সুগভীর কুয়োর মতন যৌনতা আমায় চিবিয়ে শূণ্য করে দেয় এখনই স্পর্শযোগ্য কিছুই পাচ্ছি না এমনকী গীতবিতানের ১৪১ নম্বর পৃষ্ঠা এমনকী জানালায় হাত বাড়ালেও বৃষ্টিফোঁটার স্বাদও পাচ্ছি না আশ্চর্য তবে কি আমি মৃত বলেই এত শেয়াল শকুন প্রেতাত্মারা ঘিরে আছে এই 'আমি' অথচ কত সহজ স্পর্শ করছি আমারই ওষ্ঠ অধর চিবুকের পরে বুক পেট নাভি তারও পরে প্রবল আত্মরতিতে ছড়িয়ে দিলাম এ শরীর সুদীর্ঘ রাত্রিপৃথিবীতে প্রমাণিত হল জীবন স্রেফ একদলা মাংসপিণ্ডমাত্র এই অনিঃশেষ লোডশেডিং আর দীর্ঘতম ভয় আর দ্রবীভূত অন্ধকার আর বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে জেনে গেছি আমার মুক্তি আলোয় আলোয় কখনই নয় সুতরাং..... 

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ দেবাশিস চন্দ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা 
দেবাশিস চন্দ


১ মে, ২০২০

জমায়েতে জমায়েতে মিছিলে মিছিলে গেয়েছি তো গান,

কত কত গান, লিখেছি কবিতা, লিখেছি আগামীর চলা,

ভাসিয়েছি স্বপ্ন–বাক্যের সাম্পান, রাজপথ, অন্ধ গলি,

শ্লোগানের উচ্চকিত সুরেলা মুষ্ঠি ছুঁয়েছে দিগন্ত,

ক্ষয়ে গেছে পা, ফুটো ফুসফুসে ধরি আয়না,

মৃত্যুকে এক ফুঁয়ে পাঠাই ভুগোলের বাইরে,

ঝঞ্ঝারাতের মুশকিল আসান আসছে যে ওই।


বয়সের ভারে শীর্ণ হাত আর ওঠে না ওপরে

চাঁদ আসে না নেমে আমার জীর্ণ ঘরে

তাহলে কী আমি ছোঁব না আকাশ

হে কমরেড

বলো

       ব

         লো

চুপ করে আছে কেন? অন্ধকারে নাচে জোনাকির আলো,

বলেছিলে ধ্বংসের মধ্যে রচিত হবে বিজয়ীর স্বপ্নমিনার,

একদিন ফুটপাতের ছেলেটি বসবে রাজার সিংহাসনে।


কোথায় সেই সিংহাসন, শ্রমিকেরা আজো চলেছে হেঁটে,

মিরজাফর শাসকের ঘৃণায় পুড়ে ছাড়খাড় পাকস্থলি,

খিদের মিছিল ক্রমশ লম্বা হয়, দূরে সরে যায় দিগন্ত,

বেয়নেটে বুলেটে মিতালি, দেয়ালে দেওয়ালে শুধু ছবি,

গোলাপের কাঁটা বিলিয়ে দিয়ে নেবে শুধু ফুল, মোহঘ্রাণ!

সুবিধাবাদের কবর খোঁড়া হচ্ছে দেখো ওই জনকণ্টকে।

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ কামরুল বাহার আরিফ ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
কামরুল বাহার আরিফ


জলমায়া ঢেউ

আলোজয়ী জলজীবনের গল্পের প্রতিবিম্বে
শান্তির অপরিমেয় শক্তির প্রতিভাসে
আমরা যুগলবন্দি হাতের শিহরণে
রূপকথার চাদরে চড়ে বসলাম।

আমাদের সামনে আবীরসন্ধ্যার আকাশ
আকাশের রঙে জলমায়ার বিস্তৃতি
আমাদের পিছনের বিবর্ণক্লেদ নাই
চলেছি রূপকথার অলীক সাম্পানে।

জলের অসীম ক্যানভাসের প্রতিবিম্বে 
আমাদের সুখস্মৃতিরা প্রদর্শিত হচ্ছে
একটা একটা করে প্রতিদৃশ্যে
বদলে নিচ্ছে জলজীবনের আবহসুর।

ক্রমেই আমাদের শরীরের তন্ত্রী
সেতারতানে ঝংকৃত হতে লাগলো
বুকের গভীরে বাজলো মৃদঙ্গ
মাতাল হলো জলের সাম্পান।

আলোজয়ী জলজীবনে ঝড় উঠলো
জলমায়ার বিস্তৃিতে ঢেউ জাগলো
মোমের তাবুর গলিত স্রোতে
ভস্ম হলো মিথুন মিনার।

জলের প্রতিবিম্বে সে দৃশ্য
ধারিত হলো চলমান ক্যামেরায়
এখন আকাশের ক্যানভাস জুড়ে
দৃশ্যায়ন হচ্ছে জলমায়ার ঢেউ।



≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ মধুসূদন দরিপা ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
মধুসূদন দরিপা 


অবুঝ

 ৫ 

অদ্ভুত রামায়ণ লিখেছিলেন জগদ্রাম 
রামের নাম কিন্তু কিষ্কিন্ধ্যা হয়নি 

জিলিপির আড়াই প্যাঁচে এখন 
উদ্ভট পুরাণ পাগলী 

পাতালঘর হয়ে যায় উত্তমকুমার 
নিষিদ্ধ পল্লী হয়ে যায় কলেজ স্কোয়ার 

 ৬

'হিমালয় কারো ঔদ্ধত্য সহ্য করে , না ' -- প্রবোধ সান্যাল 
(কার ঔদ্ধত্য ?  কার ? )

নিজের পাড়ায় কুকুর রাজা 
(রাজা না রাণী ? )

পাহাড়ী বিছে আর কুকরি নিয়ে 
চল পাগলী কানামাছি খেলি 

৯ 

অনেকদিন তো হলো এবার ঠিকানাটা বদলাও নন্দলাল 
সন্ধ্যার পর আর আর্ট কলেজে নয় বরং পার্ক স্ট্রিটে চলো 

চিত্রাঙ্গদা : অর্জুন ! তুমি অর্জুন ! (পড়ুন পার্থ )
ক্ষমা দিয়ে কোর না অসম্মান / যুদ্ধে করো আহ্বান 

হাল্লা রাজার সেনা তোরা যুদ্ধ করে করবি কী' টা বল 
কিং অর ক্যুইন ক্যান ডু নো রং-রে পাগলী 

১০

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত 
শীর্ষাসন করতেন নেহরু 
নরেন্দ্র মোদীও করেন 

আগামী একুশে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে 
গুলি খাওয়া লাঙ্গল এবার শবাসন করবে রাষ্ট্রের নাভিদেশে 

শীর্ষাসন ভার্সেস শবাসন : খেলাটা কেমন জমবে রে পাগলী 
পাটিগণিতে যোগের ঠিক পরেই কিন্তু বিয়োগের অঙ্ক

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ জ্যোতি পোদ্দার ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা 
জ্যোতি পোদ্দার 

পুরুষ

তুমি মিঞা ঠেডা পুরুষ  
ঠারে ঠারে নানা কথা কও

আধেক বুঝি আর আধেক বিড়ির ধোঁয়া
সাঝ রাইতে কথাতে ফোটাও হলুদ ফুল
রাইত পোহালে চোখে মুখে
                              ছড়াইয়া দেও মরিচফুল

কচকচ করে  বুকগলা জ্বলে
হেচকি দিয়া কান্না আসে
কাউরে বেবাক কথা কইতে পারি না।

তুমি মিঞা ঠেডা পুরুষ মানুষ
কথার ভাঁজে কথা রাইখ্যা
                              বিনা জলে চিড়া ভিজাও

তুমি মিঞা ঠারে ঠারে কথা কওনের গোঁসাই
তুমি মিঞা দখলদারের নায়েব মশাই

তুমি মিঞা ঠেডা পুরুষ  
ঠারে ঠারে নানা কথা কও

আধেক বুঝি আর আধেক বিড়ির ধোঁয়া


 

≈ মানিকলাল সিংহ সংখ্যা ≈ মনজুর রহমান ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিকলাল সিংহ সংখ্যা 
মনজুর রহমান


অস্তমিত সূর্যের ঘ্রাণ

এখন চাইলেই আর কোন প্রশ্নাতীত সৌন্দর্যে - পারিনা রাঙিয়ে নিতে-অস্তদিনের  নিঃসহায় বিষাদ
চিরায়ত ভোরে সভ্যতার ফসিল পাঠে
বিবর্ণ সূর্যতাপস অথবা
ঘাসফড়িং এর বিশদ হলুদ শুষে নিয়ে বলতে পারিনা--
এই নাও, তোমাকে দিলাম মাটিমগ্ন মুগ্ধশিশির, জোনাক আঁধার--
আর তারাদের সমান বয়সী প্রেম!
প্রগতির রঙ নিভে গেলে,
তুমি এই নিয়ে বেঁচে থেকো;
বেঁচে থেকে বুড়ো পৃথিবী!