চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
অর্ণব মণ্ডল
স্বতন্ত্র চিন্তারা
"slow down you crazy child"
তোমাকে আর থামতে বলবো না, বলবো না তারাখসার মতো এই ন্যায়বিচারের পৃথিবীতে ঝরে পরতে। ঝরে পরা আত্মারা যে এক একটি অ্যাবসার্ড, প্রতিটি অলক্ষ্যের জন্য কুড়িয়ে রাখা অবশিষ্ট সংযম।
আসলে আভিনয় দিয়ে মেট্রোসিটি ঘিরে ফেলা যায়
কিন্তু স্নায়ুর খেলায় ফেরা যায় না।
আমরাও তো ক্ষমতার দক্ষ মালিক, কাঁচা মাংসের নিপুণ কারিগর। ঘাম উবে যাওয়ার পরবর্তী আড়াই ঘন্টা নিশ্চুপ থেকে আমরাই তো গলা কাঁপিয়ে কবিতা পড়ি, পড়তে না পারলেও তলপেট ভিতরে টেনে, আছড়ে পড়ি।
আদতে তোমরাই জুভেনাইল, বন্য প্রেমের জন্য ভীতু ও কাঙাল। মিথ্যে স্ল্যাং তোমাদের দিনান্তের মূলমন্ত্র।
আত্মহত্যা আমাদের রক্তে আছে, কিন্তু মহাভারত নেই। রিপাবলিকের নেটওয়ার্কে আছে, কিন্তু সারমর্ম নেই। এই যে একটা রহস্য নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে সারাক্ষণ তাতেও কি ঘোরঘুম ভাঙছে না!
ওভার ডোর্স জিনিসটাই এরকম, কেউ দেয়, তো কেউ নেয়। এই পথের বাঁকে বাঁকে নীলাভ রক্তিম ছায়া আর ময়নাতদন্তের জীর্ণ গাছ প্রশস্তি মেলে রেখেছে, সমস্ত রাত কেবল সেইসব হিসাব মিলিয়ে দ্যাখা হবে।
তোমরাও এসো ভক্তদয়, কমরেডকেও নিয়ে এসো...
দ্যাখো--নেপো কিভাবে দই মারতে মারতে অভ্যস্ত স্টার হয়ে উঠেছে! সম্পদকে মূলধন না বলা...একটা গাছ আত্মহত্যার জন্য দায়ী হতে পারে কিন্তু একটা সাড়ে তিন হাতের চেয়ে নিচু সিলিং......
কীভাবে!
শুধু উত্তর নয় প্রশ্ন করো কীভাবে!
একশ পঁয়ত্রিশ কোটি অবালচোদা প্লিজ আর মন খারাপ নয়। মনে রেখো ঈশ্বর নামক অক্ষম অভিভাবক তোমাকে প্রশ্ন করতে শিখিয়েছে! এবং বিপ্লবী হতেও! সদুত্তর তোমার প্রাপ্য।
Slow down you crazy child
তোমাকে আর থামতে বলবো না! তবে অদৃশ্য টেলিস্কোপটা এই মায়াজন্মের দিকে স্রেফ একটিবার তাগ করো।

No comments:
Post a Comment