চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
আদরশারদীয়া
চঞ্চল হাওয়ায় ভেসে এসেছে তোমার ঘরে ফেরার খবর৷
সীমান্তে তোমার রাইফেল গর্জে ওঠে বারবার,
তবু আমিতো জানি তুমি কতটা শিউলির মত বিনয়ী!
শাল্মলির মত নরম!
বনভাসি জোৎস্নায় অধরা চাঁদ আমাকে ঠাট্টা করে বিরহী রাধা বলে৷
রাগ করি না, চাঁদকে বলি তোমার চন্দ্রকলা ধার দেবে? যাতে সে আমায় দেখে আর ফিরে যেতে না পারে৷
টুকরো টুকরো মেঘেরা যেন আকাশের গায়ে বেলোয়ারি ঝাড়৷
পৃথিবী সোনার ঝাঁপি উপুড় করে দেয় আশ্বিনের আকাশে৷
সোনাগলা রোদে মাখামাখি হাসনুহানা, নদী তীরে কাশফুল৷
বকের পায়ের ছাপে, পানকৌড়ির ঠোঁটে, মুখে মুখে, রটে যায় বছর পরে দুগ্গা আসছে বাপের ঘরে৷
আমনের ক্ষেতে, পূজার ঢাকে, ছুটি ডাকে;
শত্রুর ঘেরাটোপ, বোবা টানেল, রেজিমেন্ট অতিক্রম করে তুমিও আসছ এক বজরা আদরশারদীয়া নিয়ে৷
আমার স্বপ্নগুলো শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হচ্ছে,
আমার শরীরে খাজুরাহো বাসা বাঁধছে,
নবপত্রিকা স্নান সেরে নীল পদ্মের পাপড়ি ছিঁড়ে ঢাকছি উদ্ধত দেহবল্লরী৷
এক মাথা সিঁদুর দুপায়ের পাতা ভরা আলতাসোহাগ নিয়ে,
অপেক্ষা করছি তোমার জন্য৷
অপেক্ষা করছি সেই দূর্গা মন্ডপের, সেই হুলুধ্বনির, সেই ঢাকের বাদ্যির,
যেখানে আমার পাশটাতে সর্বক্ষণ তুমি ঘন হয়ে থাকবে, সশরীরে, আমার বোধের মধ্যে, চেতনে, অবচেতনে;
আমার আমার মধ্যে.......

No comments:
Post a Comment