ঝরাপাতার হাওয়ায় নিরাবয়বের আকাশ
দেখছে তোমার সাড়াশব্দ
অলীক সোহাগী যাযাবর বুকের টানে
দু একটুকরো গান
বিষাদিত ছাদের আলসেতে
ঈষৎ ধোঁয়াশামাখা তবুও সহজাত গান
এক ফোঁটা দু ফোঁটা মুহূর্তের ছা - পোষা মানুষ
একটা অপেক্ষার কাছাকাছি
এসে থমকে দাঁড়িয়ে আছে পথ আগলে
ঝরাপাতার হাওয়ায় অনুচ্চারিত খনন নির্মীয়মাণ ত্রাণ শিবিরের মুখ
অস্ফুট , দিকচক্রহীন সংঘারামের গান
এই অশেষ বনের মধ্যবর্তী
এই শেষবার পাতার ঝরোকা ঠেলে
অমীমাংসিত মায়ের বুকের গন্ধ
ছড়িয়ে গেলো ...
স্থির বিজুরি যাযাবর মনে হয় ...
পিতৃপক্ষ
জল থমথমে বীজ লুকিয়ে থাকে ...
মাটির গভীর থেকে ওঠে ব্রীড়াবনত
সুহৃদ সঙ্গত আদি স্ফোট ওম
বীজের প্রাণ আজ মেখে নিই
খাদ্য - পানীয় নিঃশেষিত রসে
জল থমথমে ভাপ
মাতালের নিজস্ব পরিখা নিরাময়
কোথায় তবে উর্দ্ধ বা অধ:
বাঁকানো ঘোরানো দাগ
নিরক্ষরেখা যখন শূন্য ডিগ্রি ...
জল পড়ছে শুধু জল
কেবল জল পড়ছে জীবনের স্বাদে গন্ধে
বীজের মরিয়া বাসনা সকল
বস্তুদল প্রমাণিত
ললিত ভস্ম উপকার
প্রতি টোকায় দূর থেকে তাকে নতুন মনে হবে
আমাদের বসুধামুখী মফস্বল যেন
রামগিরি ,
ঠিক বুদ্বুদের মতো দেহকান্ডহীন ,
মূর্ধাহীন কয়েকটা বনবিভাগের মানুষ
শুধু তোমার জন্য
তোমারই নবীন অজাত ভ্রুণটাকে বলি ,
আগে ভাগে ভাবো , ভেবে দেখো
সত্যি জন্ম নেবে কি না ?
যারা একদা তোমার ছিলো ,
এখন আমারই ...

No comments:
Post a Comment