চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
অলোক বিশ্বাস
অণুগল্প~ বিভিন্ন লোক্যালিটি
চায়ের দোকানে এক হনুমান ঢুকে সে কী হুলুস্থুল... কে যেন ওখানে কার্ল মার্কসের ছবির পাশে জাক দেরিদার একটা স্কেচ এঁকে রেখেছিল... মুহূর্তে সব ওলোটপালোট... এমনকি ফালগুনী রায়ের কবিতার বই 'নষ্ট আত্মার টেলিভিশন' বিভিন্ন চরিত্রের সংবাদপত্রের ভেতরে ঢুকেছিল... যেটা হনুমানের অ্যাকশনে হুশ করে ছিটকে পড়লো কয়লার উনুনের ওপর... আমি ছুট্টে গিয়ে একটা হাত পাখার হুইপ দিয়ে বইটা দোকানের বাইরে করে দিলাম... কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আঁতেল এক তরুণী আমাকে ধমকে বলে উঠলো, এটা আপনি কী করলেন ? আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে, মেয়েটি বললো, সে নাকি ফালগুনী রায়ের বংশধর... সেই মুহূর্তে আকাশ গর্জন করে উঠলো বিদ্যুৎ... আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, হনুমানটি চায়ের দোকানে ঢুকলো কেন... মেয়েটি তখন যা বললো, সেটা শুনে আমি বিস্মিত... চায়ের দোকানে এক লম্পট ঢুকে নাকি প্রথমে দোকানদারকে থ্রেট করে, তারপর একা উদাসীনভাবে চা পানে রত মেয়েটার মাই টিপে দেয় সজোরে...কিছু দূরে গাছে বসে দৃশ্যটা দেখে ফেলে ওই হনুমান... চাওয়ালা নিশ্চয়ই লম্পটের ব্যবহার দেখেছিল, কিন্তু সে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করলো না কেন, কেন চ্যালেঞ্জ করলো না ওই লম্পটকে... চাওয়ালা যেটা পারেনি, হনুমান সেটা করে দেখিয়ে দিল... ওই হনুমানকে মেয়েটি ভালোবাসে... খেতে দেয় টিফিনের কলা আর রুটি... সেই হনুমান প্রতিবাদে ফেটে তছনছ করে দিলো দোকান... মেয়েটা অবশেষে আমার হাত চেপে ধরে বলতে থাকে, আপনি ওই বইটা বাঁচিয়ে দিলেন... আপনি না এলে ফালগুনী রায় আগুনে পুড়ে যেতো...

No comments:
Post a Comment