চারণকবি বৈদ্যনাথ সংখ্যা
সুলেখা সরকার
গদ্য~শট
২৫শে ডিসেম্বর। রাত তিনটে। খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কিকে একটি প্রেমপত্র লিখবো বলে ঐতিহাসিক চিন্তাভাবনা চলছে। কখনো ঢুকে পড়ছি 'ওয়র্কর্স '৭১' -এ। কখনো 'ক্যামেরা বাফ' -এ কিন্তু চমকে উঠলাম ১৯৮৮-৮৯ -এর ভেতর। 'ডেকালগ' -এর ভেতর। একটি প্রেম, ওপাশে হত্যা। আহা, ট্যাক্সি চিৎকার করছে। লেবার ফেস্টিভেল। দেহের ঘাড়ে দেহ ঝুলছে। মাতাল বৈঠকখানা বাজার। যারা চট গায়ে ভ্যানের উপর ঘুমিয়ে পড়েছিল তারাও নড়েচড়ে নিল কিছুটা। ছাদ থেকে স্পষ্টই দেখছিলাম একটি খুশির মদ-উড়ান।
আচ্ছা, এটা কোন জায়গা?
এটাতো কোলে মার্কেট। চেনেননি? ওই শুনুন, কোন মাইক নয় রেডিওতে আনন্দ বাজছে। পরিপূর্ণতা দেখুন।
দেখছি, সব দেখছি, আপনাকেও।
আহা, আমাকে কেন? তৃপ্তি দেখুন। দেখুন, একটি বাহানাকে কিভাবে ভাগ করে নিতে পারে মানুষ। সারাদিন শরীর হত্যার পর কিভাবে প্রেম জেগে ওঠে মানুষের মনে। ওই দেখুন ফুটপাতে সঙ্গম করছে দুটি শরীর। এটা কোন আকস্মিকতা নয়, অপ্রাসঙ্গিকও নয়, প্রয়োজন। একটি খুনের পর খুনির মৃত্যুদণ্ড যদি হত্যার সমান না হয়ে শাস্তির সমান হয় তবে এভাবে প্রেম ও প্রয়োজন বেঁচে থাকারও যুক্তি আছে প্রচুর।
এইতো প্রেমপত্র লিখছিলেন, সেসব নাটকীয় মুহূর্ত ছেড়ে এখানে কেন?
এটা আমার ছাদ। স্বাধীনতা। মতামত। রাস্তা থেকে ঘর, ঘর থেকে রাস্তা এক আবর্ত। যে আবর্তে একই চরিত্রগুলো প্রতিদিন ঘোরাফেরা করে। বাইরের লোকেরা ভাবে সমাগম। বাই দ্য ওয়ে আপনি কে? এতোরাতে বকবক করছেন একলা ছাদে।
আমি কে, মানে? আমি তো আপনার চারপাশ? 'ডেকালগ' সিরিজ।

No comments:
Post a Comment