চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
গোবিন্দ ব্যানার্জী
রূপকথার কথক
সে সব অনেক পূর্বকালের কথা,
এবং সবই নিশ্চিতভাবে সত্য ছিল।
আমরাও বিশ্বাস করি কথামালার সব ঘটনা
মায় চরিত্রগুলো পর্যন্ত স ব সত্যি।
এ সব বলার সময় আমাদের দাদু-দিদিমারাও
তাইই বলতেন, তারা বলতেন -
"খুব আদিম সময় থেকেই সে সব বয়ে বয়ে এসেছে
আর তোমরাও ধারাটিকে বয়ে নিয়ে যাবে" -
এমনিই রোজ শুরু হ'ত সান্ধ্য কথকের রূপকথা,
তারপর রাতে স্বপ্নের ভিতরে এসে বসত
অদ্ভুত সব প্রাণী।
বুড়ো কথক বলে যেত -
'কটিদেশ পর্যন্ত সে ছিল মানুষের মত
আর নিম্নদেশ ছিল ঘোড়াসদৃশ।'
তারপর আকাশ থেকে রং পেড়ে এনে
তিনি সেই 'ঘোড়মানুষ'এর নিতম্বে বুলোতেন,
আর ঘোর লাগা চোখে সূর্মা টেনে বলতেন -
'এর সন্তান খুব চড়া দামে বিকোবে।'
তালপাতার ইয়া বড় পাখা বানিয়ে
ইচ্ছে মত ডানা জুড়ে দিয়ে বলতেন -
'তারা ছিল শঙ্কর প্রজাতির,
ঠিক মানুষ নয়, আবার --
সেই পূর্ব যুগে পালিত প্রাণীদের সাথে যুবতী মেয়েরা-
এমন কি এ সব সত্যিই মানা হ'ত,
আমাদের অতীতেরা তাইই বলতেন। '
এখন আর খুঁজে পাইনা তাদের
সেই ছোটোবালাটা হাঁতড়ে বেড়াই রোজ -
তালপাতার পাখনা লাগানো
একটা পক্ষীরাজ ঘোড়া পেলে বেশ হ'ত -

No comments:
Post a Comment