বিকাশ দাস সংখ্যা
সৃজা রায়
রাত দুপুরে...
খোশগল্পে টকবগিয়ে রাজার জামাই এলো।
রাজকন্যার সিঁথিপাটি, তেল লাগিয়ে পরিপাটি,
এমন সময় রাজপূরীতে ব্যাঘাত বিশাল হলো!
সৈন্য -সেপাই,দল বাগালো,
দরজার পাশে কানাঘুষো।
এক যে আছে গুবরে পোকা,
বজ্জাতি সব কাজ,
সয়ম্বরার সভায় আসে বিদঘুটে সব সাজ,
শুনছো সবাই!রাজামশাই!
ভীষন চটেছেন!
রাজপুরীতে শূলে চড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন!
সবার হাবভাব ভয়ে টয়ে
পালিয়ে গিয়ে বাঁচে,
এমন কেন নির্দেশ দিলেন,
অতিথিদের কাছে?
গুবরে কেবল মুখ টিপে রয়,
আচার বিচার পরে,
রাজকন্যার স্বামী হবে,
তারই ফন্দি করে।
মন্ত্রের জোরে কেউ তাহারে,
বানিয়ে দিয়েছে এমন,
দেখতে নাকি সুপুরুষ সে,
এই তল্লাটে নেই তেমন!
রাজকন্যা প্রশ্ন করেন" উপায় তবে?
তোমার শাপের শাপান্তরণ কিরমভাবে হবে?"
ভেবে বললো গুবরে পোকা,
রাস্তা একটাই আছে!
চুপ করে রও!
সান্ত্রী -মন্ত্রীর বাক্যটি যেন না সরে!
স্বস্তি দিয়ে বললেন রাজা, "বেশ,তোমার ইচ্ছা পূরণ হোক",
গুবরে তখন নির্ভয়েতে বলেই ফেলে,
রাতদুপুরে কাটতে হবে রাজার বিশাল গোঁফ!

No comments:
Post a Comment