Friday, October 2, 2020

≈ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা ≈ গৌরাঙ্গ মিত্র ≈

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সংখ্যা
গৌরাঙ্গ মিত্র


বিষ্ণুপুরি ঘরানার তিন কবি 

1) সুশিল হাঁটুই : সেবার বিষ্ণুপুরে গিয়ে, বিষ্ণুপুরি ঘরানার এক কবির সঙ্গে প্রেম হয়েছিল। সুশিল হাঁটুই, আমার প্রিয় সুশিলদা। ভালোবাসার মানুষ। তিনি মাথার উপরে টাঙিয়ে রেখেছেন নক্ষত্র খচিত একটি আকাশ। প্রতি রাতে আকাশ থেকে এক একটি নক্ষত্র পেড়ে আনেন, নক্ষত্রের আলো দিয়ে লিখে ফেলেন অবিশ্বাস্য  সুন্দর কিছু কবিতা। 
চেলপার্ক কালি বা মঁব্লাঁ কালি সে সব কবিতা লেখার কথা ভাবতেই পারে না। 

2) অভিজিৎ দাস কর্মকার: কবিতার বাংলা বাজারে আর একদিন দেখা হল বিষ্ণুপুরি ঘরানার আরেক কবির সঙ্গে। তার কবিতায় ভাব ও ভাবনার অবিশ্বাস্য সমাবেশ। তার কাছে একটি কোরা শব্দের অভিধান আছে। অভিধানটি সে মস্তিষ্কের কোষে কোষে স্থাপন করেনিয়েছে। অতএব, কোনো পুস্তক বিক্রেতার দোকানে, খুঁজতে যাবেন না। তার সবচেয়ে বড় পুঁজি, সে প্রবল আত্ম বিশ্বাস। সে ভাঙে, সে গড়ে সে বাঁকুড়ার ঘোড়ার গলা আরো একটু লম্বা করে দিতে পারে। 

3) কার্তিক ঢক: বিষ্ণুপুরের আরেক মণিমাণিক্য - কার্তিক ঢক।
কার্তিক ঠিক কার্তিকের মতো কবিতা লেখে। মাটির কণায় কণায় খুঁজে পায় কবিতা লেখার উপাদান। কার্তিক কোনো অসুর বধ করে না। আমরাই সবটুকু ভালোবাসা রুমালে বেঁধে তার কাছে নিবেদন করছি। 
 
কে যে কাকে আবিস্কার করেছে তা বিষ্ণুপুরি ঘরানার তিন কবি জানেন। মানুষের হৃদয় স্নিগ্ধ হতে হতে এক সময় জোৎস্না হয়ে যায়।

মরীচিকা

এই ক-দিন ধরে কেবল দূস্বপ্ন আর তুমুল বৃষ্টি। 
সব কিছু ছাপিয়ে আমি বাঁচতেই চেয়েছি। 
বাঁচার প্রয়োজন সে ভাবে নেই
তবু অভ্যাস আর আশা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। 
মনে হয় আর দুদিন---
হয়তো কিছু একটা হবে। 
বাঁচা মানে মৃত্যুহীন মরুভূমিতে এক স্নিগ্ধ মরীচিকা
আমার সঙ্গে পায়ে পা মেলাও, চলো মরীচিকাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরি।



No comments: