তনিমা হাজরা
কবাডি কবাডি
আমি এমনই ভাতের জন্য ভুখা,
এমনই স্নেহের জন্য লোভী,
তুমি হাত বোলালে গায়ে
আমি আইসক্রিম,
আমার বাঁচার বেড়ি পায়ে
আত্মহারা মৃগ, সন্ধানে নেই নাভি,
মুচড়ে দিয়ে মাথা,বানিয়ে দিলে একা।।
এক্কা দোক্কা
ছেলেটা-মেয়েটা প্রেমেই খুঁজছে চাবি,
এবার ওরা বিয়ে করতে চায়,
সামান্য একটা চাকরি যেমন হোক,
তাহলেই ঘর বাঁধবে।
মাথার উপরে নিজস্ব ছাত হোক,
হোক একটা পেট ভরানোর আয়,
রাষ্ট্রের কাছে এটাই ওদের দাবী।।
বুড়ি বসন্ত
মেয়েটাকে বলো,ধর্ষণ করবেনা কেউ,
একা একা তুমি যেখানে ইচ্ছে যাও,
সেজে ওঠো পছন্দসই পোশাকে,
তোমার জীবনসঙ্গী তুমিই নিজে বাছবে,
যোগ্যতামতো বেছে নাও নিজ পেশাকে,
যা ভালো লাগে সে খাবারটাই খাও,
তোমার দুচোখে লাগুক বাঁচার ঢেউ।।
কুমীর ডাঙ্গা
তুমি খুঁজছ আমায় হাত করবার হাতিয়ার,
আর টানছো ধরে ভাত-কাপড়ের প্রান্ত,
আমি আছাড়-কাছাড় ঝাঁক কইমাছ,
দূর্গতি আমার অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র।
খাপি খেতে খেতে গুজরান যায় আগপাছ,
আধুলি জীবন ঘাটা সিক্কায় মরে জ্যান্ত
ধর্ম কুষ্ঠ গায়ে দগদগ রস শুষে খায় ভয় বোলতার।।


No comments:
Post a Comment