ঘুমের মধ্যে হাঁটি
ঘুমিয়ে পড়ার পর রাস্তাটা খুঁজে পাই। হাঁটতে শুরু করি।প্রায় প্রতিদিন
ঠিকানা নিজে রাস্তায় নেমেছে।আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।আমি
বিশ্বাস রাখি অবিশ্বাস একদিন হার স্বীকার করবে।জয় একটা ঘটনা মাত্র
হেরে যাওয়ার নাড়িনক্ষত্র ঘেঁটে দেখেছি ,ষড়যন্ত্রের ক্র্যাচ অযোগ্যকে
জেতায়।বিজয়ীর নাম যেইমাত্র ঘোষণা হয় পরাজিতের মুখ উজ্জ্বল হয়
সে বোঝে, জয় আসলে তার।তার ছাড়া অন্য কারো নয় সংগ্রাম
বকুলের তলা দিয়ে হাঁটি।রাস্তা একটু বেশিই বড়।তবু রোজ একটু একটু
ছোট হচ্ছে।ঘুমের মধ্যে ঢুকেই হাঁটা শুরু করি।প্রতিদিন অল্প অল্প
বিশ্বাসের দেহ পুষ্ট হয়।তোমার দেওদারু গাছের মাথা ক্রমে ক্রমে
দূরবর্তী নক্ষত্রদেরও নজরে আসে।পৌঁছানো দিয়েই শুরু করব গল্প
দরজার ইচ্ছে
দরজার ইচ্ছে পরিস্ফুট ছিল না।হয়তো ইচ্ছেই ছিল না।বন্ধ করেছি
অন্ধকারের শরীর খুলে খুলে দেখছি, তার ভাঁজে ভাঁজে লেখা আছে
দরজার ইচ্ছের কথাই।সে কাউকে ডাকার জন্য নীরবতার ভাষা শিখেছে
একটা কড়কড়ে অনুভূতি নিজেকে খোঁজার জন্য খুঁজে নেয় চোখের মাধ্যম
দুহাতের তালু সেটা পছন্দ করে না।রগড়ে দেয়।দরজার প্রেম
বুঝে উঠবার কথা মানুষের নয়।মানুষ বাণিজ্যে বাঁচে।মরে।অভিশাপ
হেডফোন কানে গুঁজে কবিতা শুনেছি।তখন কবিতা আমার মাথার
মস্তিষ্ক অঞ্চলে ঢুকে গেছে।দিগন্ত বিস্তৃত জমি দখলে নিয়েছে
ধ্বজা গেড়ে দিয়েছে।পবিত্র নারীর বুকে অপবিত্র হবার এক বিশুদ্ধ ইচ্ছে
প্রকৃষ্ট নমুনা হয় ।দেখে নদী।দরজাকে চামচ দিয়ে দ্রবীভূত করে


No comments:
Post a Comment