প্রদীপ চক্রবর্তী
বেহালা বাজানো লোকটা
এক .
অথচ সে পাগলামোয় বহতা গাছের পাতারা নানান সবুজে বদলে গেলো | ধুলোমাখা মেঘ আকাশের দলমন্ডল ভাঙছে আর বৃষ্টি জুড়ে পাখিদের মধ্যে হামেশা যৌথ পরিবার কেমন নিস্তরঙ্গ কাঁপছে | থেকে থেকে শুধু একজন ভেন্ট্রিলোকুইস্টের গলায় নানা স্তর থেকে অস্পষ্ট ক্ষমতাসংকেতে কথা বলে যাচ্ছে ...
" ঝুটা হ্যায় ... সব ঝুটা ..."
দু - তিনটে ধাপ নেমে টাল সামলে দেখি , ক্ষয়ে যাওয়া মেঘের অন্ধকারে বাচ্চা ছেলেটি দোকানে এসে উনুন ধরায় | কাঁচা কাঠের ধোঁয়ায় ছেলেটার চোখে জল আসে | সফল এই বাংলার স্বত্বহীন ফুর্তির রাজনীতিতে বুদ্ধি থেকে জীবিকার জলে ছোঁঁ মেরেই আবার উড়ে বসে
ভেন্ট্রিলোকুইস্ট | আসলে এটা তার ছদ্মবেশ |শুধু তারই চোখে পড়ে অন্ধকার যে রকম কেঁপে কেঁপে আসে | হায় হায় করে মিউটিনির পুরোনো শহর | যে হাওয়ায় গন্ধ গন্ধকেই ধরে রাখে অভেদে ...
দুই .
শরীর থেকে মন ছিঁড়ে নিয়ে
এখনো খোদাই করে চলেছি বিজন ব্রজেশ্বরী
রক্তে অরুচি ধরে গেছে
তার চাই সাদা জুঁই ভাত ...
যখন বনস্থলী
যখন মায়াবী তখন বাঁধন লাগে
ভেজা বন্দুকের মাছিটা সোনার তারার মতো জ্বলছে
বুকের ললন্তিকায়
তার চিবুক বিন্দু হাতে ধরে থাকে দেশের রোদ
সপ্তরথীর মতো পাহাড়ি পিলুতে গাওয়া
অসহায় মনে নির্দোষ বন্য সুর সরলভাবেই ঢোকে
ঢুকে শিউরে শিউরে ওঠে আনন্দে
চাঁদের দূরবীন নেই
সাদা দাড়ি নেই
মা কাছে নেই
নখে আঁচড়ে আঁচড়ে সুতো সুতো করে গেছে বেড়ালেরা
মেঘের দেশ থেকে হিজিবিজি আঁকা এক খন্ড কাগজ
হাতে নিয়ে বসে থাকে চন্দ্রাহত
বৃদ্ধ বাবার মতো ... বনবীথিকার মতো ...


No comments:
Post a Comment