গোবিন্দ ব্যানার্জী
ছায়া ফিরে যাবে গাছেদের কাছে
এমনি ভাবে নয়, মেঝে থেকে চোখদু'টো
প্রতিবিম্বিত হয়ে ঝুঁকে পড়া পাতার ঝোপ...
প্রেসারে হাওয়া দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠার আগে
তার পরিশুদ্ধ ছায়া আয়েশ ক'রে বসে
স্নিগ্ধতা মুড়ে... মা যেভাবে চেয়ে থাকতেন,
সন্ধ্যা বাগানের দিকে উদাসীনতা দেখালে...
সেইখান থেকে দীর্ঘায়িত পথের টানাপোড়েন
আর এক পত্রাবলী স্নেহের কাঁধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সে সময় নাড়কেল গাছ মাথা দোলানো থামায়
প্রেসার শাসন করে হাওয়াদের... আসলে দৃশ্যত
চোখদু'টো বাতাসের সাথে লুকিয়ে দেখে
ফিরে যাওয়া প্রতিধ্বনিদের... আসলেই যারা
ছোপের মত আটকে থাকতে না পেরে
ফিরে যাচ্ছিল ভাঙা ঢেউ নকল ক'রে ক'রে...
তাদেরও বসে থাকতে হয়েছিল সেই দীর্ঘাঙ্গীর পাশে
পরিপাটি গাছটি একদিন হেসে উঠবে খুব...
সেদিন চোখদু'টো নাই থাকতে পারে
সেদিন ছায়াগুলো আরো নিস্তেজ হয়ে যাবে
হয়তো সন্তানেরাও বেড়ে উঠবে বাতাস ছুঁতে...
মেঝে থেকে তারও বহুদিন পরে
ছায়া ফিরে যাবে গাছেদের কাছে....
আলোময় করো হে
সে তো প্রজন্মের কারসাজি
হাতের ছোঁয়ায় হাত যে আশ্বাসটুকু
গেঁথে রাখে উজানে
তার রং বিপন্ন হয়েছে কবে...?
এই যে মেঘগুলোকে
সোহাগ ক'রে পাশে বসিয়ে রাখো
ছাদতারাদের খৈ ছড়িয়ে দাও নিটোল গালে
পথের ভিতর রাতচরাদের ক্লান্তি ঝুঁকে পড়লে
তুমি নিজেকে নিয়ে আড্ডায় বসে যাও...
তারপর মানেগুলো টুকে রাখো কোড়া পাতায়
এসবের ঢেউ বড় হয়, যাত্রীরা ভীড় করলেই
হুইসেলের শব্দ আছড়ে পড়ে
খুব দ্রুত একটা চিত্রনাট্য লেখা হয় চশমার কাঁচে
হ'লো না হয়তো ক্যামেরার আলোর হৈ চৈ
তবু তো টালির চালে লাউডগা উসকে উঠলো
ডায়েরীর গোটাকয় পাতা সূর্য মেখে নিল
যাবতীয় ঝাড়পোঁছ সেরে নিয়ো তুমি
তারপর... তারপর... আগামীকাল সূর্য উঠবে...
প্রার্থণার মন্ত্রগুলো আউড়ে নিয়ো ঘুমের ঘোরে
আহা, সূর্য...আলোময় করো হে...


No comments:
Post a Comment