খুব পরিচিত লেখক না, পিতৃসূত্রে সাহিত্যে জড়িয়ে পড়া। পিতা পাঁচের দশকের গল্পলেখক কবি অনুবাদক সমালোচক অজয় দাশগুপ্ত। প্রথম বই :বিশ্বকাপ ফুটবল ১৯৯০। বিবাহসূত্রে দীর্ঘ প্রবাসবাস, নয়ের দশকের শেষে কবিতা লেখা শুরু, অনিমিয়ত। কবিতার বই : অপরাহ্ণ মন,২০০৩, সামনে সাগর : ২০০৪(কবিতা পাক্ষিক); পথের নির্মাণ, ২০০৭(মহাপৃথিবী)। ২০০৭ এ বাবার মৃত্যুর পর দীর্ঘ বিরতি। ২০১৮ জুনে লেখায় ফেরা কৃত্তিবাস জুলাই-সেপ্টেম্বর সংখ্যায়। এরপর মহাপৃথিবী কবিতা পাক্ষিক কবিতা সীমান্ত এবং বিভিন্ন ওয়েব পত্রিকায়। ২০১৯ কালীকৃষ্ণ গুহ সম্পাদিত 'কাব্যসংগ্রহ অজয় দাশগুপ্ত' গ্রন্থের প্রুফ দেখা ও সহযোগিতা করা। ২০১৯ জোড়াসাঁকো লিটল ম্যাগাজিন মেলায় চতুর্থ কবিতার বই প্রকাশিত হয় : মন্থর মুহূর্তগুলি(আলোপৃথিবী)।
লুডোর ডাইসে বাঁধা
১.
নিয়ন আলোর গা ঘেঁষে
বজ্রপাত, বৃষ্টি
সময় পুড়ছিল
জোরালো, নিভু নিভু
দীর্ঘ টানের পর ছুঁড়ে ফেলা
ভিজে ঘাসের বুক পুড়ছে, দহন
২.
বেশ কয়েকদিন পর
আজ ডেনভার বেজে চলেছে
যেসব বৃষ্টির বন্দিশে হেঁটেছিল অ্যাকোয়েস্টিক সুর
দীর্ঘতম ছোটগল্পের তৃষিত অতীত
অবরুদ্ধ ভাঙনের স্বর
কান্না...
৩.
সেদিন, চোখ ডুবে গিয়েছিল নেশায়
আকন্ঠ ঝাঁঝালো তরল,
ট্রান্স!
নদী খোঁজে
অতিরিক্ত বৃষ্টির আকাশ, উজান--
শালীন ঘুম সামলে নিয়েছিল ট্রান্স, নীলকণ্ঠে
৪.
ঘুমের ভিতর অশ্রুত ধ্বনির বৃষ্টি
সন্ধিত মুঠিতে নিসর্গ আঁচল
নীবিবন্ধ কাঁপে
রাতের সিলিং,
আলো অশ্রু নারী
অর্ধস্ফুট বাক বৃষ্টিসান্দ্র একাকী কবিতা...
৫.
গতরাতের ঝড়বৃষ্টির পর বারান্দায় ভোর
চেয়ারে বসে বিনিদ্র দুচোখ
আড়মোড়া ভাঙে ঘরের ঘুমশরীর
বারান্দায় আসে
অবনত, নির্জন বিদায়
যাওয়ার পথটুকু রৌদ্রস্নাত!

1 comment:
ভালো লাগলো।
Post a Comment