মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
দিশারী মুখোপাধ্যায়
জীবন
কখন শুরু হয়েছিল জানিনা
কখন শেষ হবে
মধ্যখানটুকু নিয়ে মগ্ন হয়ে আছি
শুরুতে ছিলাম না
সগর রাজার ছেলেরা পানে ব্যস্ত ছিল
চিল এসেছিল মেঘের আড়াল থেকে
ছোঁঁ একমাত্র ছিল তারই
হর্ম্যরাজি ভেঙে পড়ার কথা
বলাবলি করছে লোকেরা
চাপা না পড়ার উপায় আছে কিনা জানেনা
চেষ্টাও নেই
টেবিলে এখনো অনেক আহার আর পানীয়
আমি তো লীন হতেই চেয়েছিলাম , চাইনি কখনো
শরীরে ব্লটিং
একটি পানীয় জলের পুকুর
কানায় কানায় ভরা পুকুরের স্বচ্ছ জল
থার্মোমিটারের ঔদ্ধত্যে শুকিয়ে গেল
পড়ে রইল কাদা আর নাগরিক আবর্জনা
কে জানত পুকুরের নিচে এসব ছিল
জলের নিচে তো কেবল সবুজ গাছ আর
নীল আকাশের ছায়া দেখা যেত
এরপর শুধু প্রাসঙ্গিক রইল উষ্ণতা , শুষ্কতা
আর গলা শুকিয়ে আসা প্রাকমৃত্যুর অভিজ্ঞতা
বিশ্বাস শব্দটিকে অক্সিজেনের মতো ধরে থাকলে
আবার একদিন খুব বৃষ্টি হবে , জেগে উঠবে
সেইসব জলাশয়ের মৃত জীবাশ্মগুলি
কাদার কথা ভুলে গিয়ে আবার আমরা , দেখব
গাছ আর আকাশের মায়াবী ক্যানভাস
খানিকটা মেখে ঠাণ্ডা হবো ,খানিকটা পান করব
ধুয়ে নেব খানিকটা নিজেদের ক্লেদ

1 comment:
দুটি কবিতাই সুন্দর
Post a Comment