মানিকলাল সিংহ সংখ্যা
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
....তারপর পৃথিবীর দীর্ঘতম লোডশেডিং সরলরেখার মতন একটানা ভয় চারপাশে গভীর ডিপ্রেশান-এর বৃষ্টি আজ মনেহয় এই নাফুরানো রাত্রি ক্রমশ আরও দীর্ঘ হচ্ছে অন্ধকারও যেন ঘনত্বহীন একটা শব্দ মৃদু বিড়ালেরতো পদধ্বনি হয় না জানি নড়ে উঠল শুকনো করোটি আর সেই শব্দ হাতুড়ির মতন আছড়ে পড়ল মস্তিষ্কে যেখানে একটি ধুসর মরুভূমি আছে মরিচীকাও যার দিকে বারবার ব্যর্থ ছুটে যাই সমস্ত হৃদয় তৃষ্ণা নিয়ে সামান্য প্রাণের জন্য শুকিয়ে আসে গলা জিভ কণ্ঠনালীতেও জারি হয় কার্ফিউ আবারও নতুন কোনও অজানা ভয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ি আতঙ্কিত একখানা আরশোলা যার প্রবল বাঁচার তাগিদ কয়েক মুহুর্ত অতঃপর সবকিছু শান্ত শুধুমাত্র অসামান্য টিকটিকিটা তৃপ্ত হবার কারণেই যাবতীয় ভয়ের আয়োজন এই প্রকাণ্ড অন্ধকারে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ওৎ পেতে আছে অতৃপ্ত নেকড়ে অজস্র মাংসাশী পোকা আমারই দিকে চেয়ে আছে রাত্রি হাজার চেষ্টাতেও খুঁজে পাচ্ছি না গীতবিতান দেহ মনের সুদূর পারে অথবা সামনে শুধু ছুটন্ত হাইওয়ের ক্ষিদে যাকে অনায়াসে এই নিজস্ব 'আমি' দিয়ে নিয়ে যেতে পারি তুমুল অর্গাজম্-এ যদি গ্রাস করে আমাকে তাহার ক্ষুদার্ত দুখানি কঠিনতম স্তন তার সুগভীর কুয়োর মতন যৌনতা আমায় চিবিয়ে শূণ্য করে দেয় এখনই স্পর্শযোগ্য কিছুই পাচ্ছি না এমনকী গীতবিতানের ১৪১ নম্বর পৃষ্ঠা এমনকী জানালায় হাত বাড়ালেও বৃষ্টিফোঁটার স্বাদও পাচ্ছি না আশ্চর্য তবে কি আমি মৃত বলেই এত শেয়াল শকুন প্রেতাত্মারা ঘিরে আছে এই 'আমি' অথচ কত সহজ স্পর্শ করছি আমারই ওষ্ঠ অধর চিবুকের পরে বুক পেট নাভি তারও পরে প্রবল আত্মরতিতে ছড়িয়ে দিলাম এ শরীর সুদীর্ঘ রাত্রিপৃথিবীতে প্রমাণিত হল জীবন স্রেফ একদলা মাংসপিণ্ডমাত্র এই অনিঃশেষ লোডশেডিং আর দীর্ঘতম ভয় আর দ্রবীভূত অন্ধকার আর বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে জেনে গেছি আমার মুক্তি আলোয় আলোয় কখনই নয় সুতরাং.....

2 comments:
খুব ভালো লাগলো
Neepobeethi Bhowmick : অনেক অনেক ধন্যবাদ
Post a Comment