ছক্কা ফর্মের কবিতা
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
পরিচিতি::
পদার্থবিদ্যার ছাত্র হলেও সাহিত্যচর্চা মন জুড়ে। ভালবাসি কবিতা, ছোট গল্প ও প্রবন্ধ লিখতে । বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লিখি।কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিতব্য। বর্তমানে কোচবিহারের বাসিন্দা।
নৈকট্য
গাম্ভীর্য
সে তো তোমার অলংকার
ইচ্ছে করলে
তা তুমি অনায়াসেই দেখাতে পারো
নিজস্বতা ধরে রাখতে,
আমার কাছে তুমি তাও একইরকম সহজ
ঘট
রথমেলা থেকে একটা ঘট কিনেছিলাম
দশটাকায়
তিলেতিলে উপার্জিত সম্পদ
জমিয়ে রাখার বাসনা নিয়ে
এক লহমায় ভেঙে গেল, হৃদয়ের মত
ভঙ্গুর কিনা!
স্বপ্ন
ভোরবেলা
সূর্য উঠছে
পূর্বদিক রঙিন হচ্ছে
নতুন স্বপ্ন আবার ভাসছে
হলদে সকাল ডানা মেলবে ব'লে
সাজঘরে নিপূণ হাতে রঙ মেখে নিচ্ছে
রোদ
হাঁটতে হাঁটতে পৌছে গিয়েছি গাছের তলায়
একটি নিস্পত্র গাছ
বসন্তের শেষ
রোদ সোজা ভেদ করে নামছে
সকালের স্নিগ্ধ সুকোমল রোদ
আলতোভাবে
আমি
একাকীত্বের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছি
আমি
গভীর অতলে অবগাহন করতে উদ্যত
অমরত্বের আশায়,
বিষাদকে কাটিয়ে উ'ঠে শূন্যতাকে জয় করতে
শুধু, একক আমি
হৃদয়ভূমি
প্রান্তর
সবুজে সবুজে চারদিক ছয়লাপ
মাঝ বরাবর একটি লেভেল ক্রসিং
দ্বিধাবিভক্ত হৃদয়ভূমি
বুকের খাঁচার মতো
যেন পাশাপাশি শুয়ে থাকা দুটি গ্রাম
ক্ষুধা
গোলকধাঁধা
বিরাট বড় একটি হা
সবকিছু একসাথে গিলে নিতে চাইছে
এক লহমায়
অদম্য ক্ষুধার জ্বালা,
তুমি,আমি; আজ কারোর রেহাই নেই
হাসি
প্রতিদিন
আগুনের খেলা
নিকোটিনের কালো ধোঁয়া
পেতে চেয়েছি মৃত্যুর আস্বাদ
সমস্ত যন্ত্রনা তাই গ্রহণ করেছি
দিনশেষে তোমার হাসি দেখব,এই আশায়
হিসেব
সব ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে
পাটিগণিতের হিসেব
বীজগনিতের সব সূত্র মুখ থুবড়ে পড়ছে
অহর্নিশ
মুখমণ্ডল জুড়ে ফুটেছে দুঃখের জ্যামিতি
উপপাদ্য মিলছে না
নদী
নদী বয়ে চলে
নিজস্ব ছন্দে
শুধু ছাপ ফেলে যায় স্মৃতির গহনে
নীরবে,
প্রতীক্ষায় বসে থাকা এক দুরুহকাল
দীর্ঘশ্বাস ধুয়ে যায় স্রোতে

No comments:
Post a Comment