ছক্কা ফর্মের কবিতা
প্রনব রুদ্র
পরিচিতি::
২০০৬ সনে "উনিশ কুড়ি"তে প্রথম প্রকাশ পায় কবিতা। সে বছর থেকেই "সজাগ" নামে বার্ষিক (অনিয়মিত প্রকাশিত হয়) লিটিল ম্যাগাজিনের সম্পাদনা শুরু। বিষাণ নামক একটি নাট্য সংস্থার সাথে ২০০৮ সাল থেকে নাট্যচর্চা করি। বর্তমানে বেশকিছু ওয়েবজিনে লেখা মাঝেমধ্যে প্রকাশিত হয়। স্থায়ী পেশার যোগ জীবনে এখন পর্যন্ত ঘটেনি। বাংলায় লিখতে ও পড়তে পারি।
ছক্কা
১।
জ্বালো আলো
আঁধার দূর হবে
আলোকলতা
নিজেকে পোড়ালে পুড়তে ইচ্ছে হবে
আগুন নিয়ে খেলোনা ছেলেখেলা
আগুন জমিয়ে রাখ্ বুক পাঁজরের ওমে।
২।
দিন চলে যায়
রাতে
চাতক ওড়ে
বৃষ্টি খুঁজে খুঁজে ফেরে
ভোকাট্টা প্রেম চোখে শ্রাবণ নামিয়ে রাখে
সকল প্রত্যাখ্যান কুঁড়ি হয়ে ফোটে।
৩।
মৃত্যুপুরীতে
নতুন জীবন
ভালোবাসা ছূঁয়ে দিলো
ফুল কুড়িয়ে মালা গেঁথে সাজলো হৃদয়
হাসিতে টোলপড়া গাল ভাঙলো ব্যথা
পুনর্জন্মের ঢেউয়ে স্বতঃশ্চল প্রেমিকা।
৪।
নীরব তুমি আমি যখন বলি কথা
অলস তুমি যখন আমার ব্যস্ততা
হাসি তোমার মুখে
জানি
নিথর প্রতীক্ষা
পাথর বুকে বেঁচে ভালোবাসা।
৫।
অলস দুপুর
হয় নাকো দূর
চিন্তা
একাধিক ঝড় বুক বাজে ভরপুর
যদি সে হাতটা ধরে
যদি রাধা বাঁশুরী বাজায় ঘুমহীন রাতে।
৬।
শ্রাবণ ঘনালো বুকে
বর্ষা চোখে
যেওনা
আমাকে একা করে দিয়ে
দুজন একসাথে আরো একটুক্ষণ থাকি!
হৃদয়ের কষ্টে বৃষ্টি পাক কবিতার খাতা।
৭।
হারিয়ে গেছে মিষ্টি সকাল
চায়ের কাপে প্রেমিক হলো ধোঁয়া
ভেসে গেলো ইচ্ছেরা সব তোকে ছোঁয়ার
এখন তুই দূরে
ভালো থাকিস
ভুলে।
৮।
বন্ধ মনের দরজা খুলে
ইচ্ছেরা ফুড়ুৎ
ভালোবাসা
উথাল পাতাল হাওয়া
দুষ্টুমির লাজুক হাসি একটু মাখি
কাছে গিয়েও ফিরে আসি তুমি উড়ালপাখি।
৯।
জীর্ণ জর্জরিত উপেক্ষিত উপাখ্যান
প্রশ্নবাণে পদদলিত
হতাশা
উত্তরণ পথ কই?
সমস্যার গভীর শিয়রে বাজে মৃত্যুবিণ
এক দুই তিন প্লিজ সমাধান দিন!
১০।
বন্ধু মানে কান্না শেষ
প্রাণখোলা হাসি
বিপদে
সর্বদা তোরই আছি
সবাই ভালো বন্ধু পায় না
হাজার নানা বায়না পূর্ণ হয় না।

No comments:
Post a Comment