এক.
ঘর উধাও
বাগান এগিয়ে আসছে
আলুথালু
আমি বেলা কুড়াই আর কুড়াই
ওমওম বারান্দা লিঙ্গ বদলায়
নীল ভাতে সবুজ হয়ে আছে শব্দ
দুই.
রাত হয়ে পড়ে আছি নৌকোয়
চাঁদ ওঠাচ্ছে আগন্তুক
খেলাচ্ছে
জলের বন্দিশ
শুরুর আগেই অন্তিম গায়
আমরা মালকোষ ভাগ করে নিই নদীর
তিন.
রাইয়ের সমস্ত
নুয়ে আছে একা
ভোরাই
সরোদের সহজে দীর্ঘ হয় পাখি
ব্রজ উলটে পালটে কানাই
যমুনার নিচে ছাই হয়ে যাচ্ছে চাঁদ
চার.
নদী
ছায়া খোলা রবীন্দ্রনাথ
একূল ওকূল
আয়না থেকে আয়নায় সারণী পেরিয়ে নৌকোবিলাস
ফাঁকা হয়ে আছে জল
ধবধবে নীলে শ্রাবণ ভিজে যায়
পাঁচ.
কাশ্মির থেকে চাঁদ ধরে এনেছি
যত জ্যোৎস্না তত ইদ
ভাতের হাঁড়িতে চাপা পড়ে ছিল রাত
জলের পৃষ্ঠাগুলি
তানসেন আঁকে গাঁয়
মাটির
ছয়
গালিব রঙের চুপচুপ
নাদান
হাত থেকে পড়ে গেলো চাঁদ
হা-কথারা গড়িয়ে গড়িয়ে উনুন
কাগজের ফুঁ নিভিয়ে দিয়ে যায় ভাষা
পাখিভুক অন্ধকার!
সাত
সূর্য বন্ধ করে দাও
শিশিরের নদী
কাঁপছে
নৌকোয় জলের রিপ্রিন্ট
দেবদাসী খিদের ফটক খুলে দিয়েছে কেউ
এসো ত্রিতালে বাজাই রেস্তোরাঁ
আট
আহা আহা!
চোখে চোখে রাখা ঘুম
ভীমপলেশ্রী
কবুতরে ঢেকে দাও উদলা আলো
দীর্ঘ হচ্ছে নীরব
আয়না থেকে খুলে নিয়েছে যাকিছু দৃশ্য
নয়
তন্দুরি চাঁদ
শুরুর দিকে বরফের খোয়াব
আগুন
লেবুর রসে ছড়িয়ে পড়ছে গান
স্থায়ী থেকে অন্তরা
গোধূলির নিচে পুঁতে রাখা ভাতের জমিন
দশ
মলাটে চুমুর শব্দ
মাটির উপন্যাস
“দরিয়া”
ধ্বনির আঁচড়ে আদুরে ছাপ
কোলাজ ভেঙে ভেঙে জলের অতীত
এখানেই চিৎ হতে পারত ভাষার তরল

No comments:
Post a Comment