ছক্কা ফর্মের কবিতা
জয়ীতা ব্যানার্জী
পরিচিতি::
নিবাস - বাঁকুড়া। ২০১৬ সাল থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন ও ব্লগে লেখেন। একক কোনও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি।
চাঁদ কি অনেক দূর
১
এই মুহূর্তে কেউ নেই
বাহাদুরের বাঁশিটি ছায়াপথে পায়চারি করে
প্রহরান্ত
স্তব্ধতা আমার দায়বোধ
স্বর্ণালী বকুল
তোমাকে আলোর ভারে ন্যুব্জ দেখেছি সারারাত
২
অবেলা
তোমাকে জড়াই
সুতো কেটে গেছে
আঙুলে রক্ত আর উপশম খুঁজেছি নিয়ত
দুর্দিন দেখে স্মৃতিরাও সামিল কৌতুকে
দর্জির দরজায় প্রবেশ নিষেধ
৩
শ্রাবণ চলেছে
নিঝুম গলির মুখ
ধোঁয়াশা-নিপুণ
চাকায় মাড়িয়ে আলো পলাতক রিক্সাওয়ালাটি
ভেজা বাঁশের কাঠামো, খড়
আচঁলে ফুঁপিয়ে ওঠা অনাদর, জন্মের মাস
৪
প্রতিটি স্নানের শেষ অনিবার্য
আপাত মুখর
জৌলুসহীন
জলের শিল্পবোধ অস্থায়ী
সহজেই কারুকাজ মুছে ফেলা যায়
আকাশে মেঘের সারি তোয়ালের ঔদাসীন্যে ওড়ে
৫
পিছল পাথর
আলতার গাঢ় অভিসার
বিপথগামীতা
কলসি ডুবেছে এসে ঘাটের কিনারে
আঁচলকে দোষ দিল হাওয়া
জলে ছায়াটি যেন যুগপৎ নেয়ে ওঠবার
৬
চাঁদ কি অনেক দূর
পূর্ণিমা
বিলাসী সোরেন
হরিণের ত্রস্ত চাহনি
লাল সূর্যাস্তের গায়ে বিস্তর কুয়াশা জমেছে
পৌঁছনোর পূর্বেই পথ শেষ হল
৭
পৌরসভার কল বিপন্ন, ঘটনাবহুল
ভোরের প্রথম ট্রেন যেন যাত্রীর অপচয়
স্তূপীকৃত খবরকাগজ
প্রতিটি শিরোনাম-ই পূর্বপঠিত
বিস্ময়
বিশ্রামঘর ঘিরে অজস্র জারুল ফুটেছে
৮
বিলম্বিত চন্দ্রোদয়
উপমাবিহীন
জাম্বরী ক্যাম্পের রাত্রি
দূরে আলেয়ায় জোনাকিরা ছাউনি ফেলেছে
রসদ ফুরোলে আমাদের চোখ কেড়ে নেবে
আমাদের দেবে কৃতিত্ব সম্মোহিতের
৯
ঘোলাটে দুপুর
কোকিলের স্বর আপাত রহস্যময়
দ্ব্যর্থক
সহজবোধ্যতার কোনও বিকল্প রাখেনি হাওয়া
বিষাদ অযাচিত করুণায় বিব্রত
কখনো একলা হই, কখনও কখনও আলোর
১০
শীত ও কুয়াশার বাদ্য
সোনাঝুরি বনে খেজুরের মহল বসেছে
দিগন্তে গরুর চোখের মতো উদাসীন গ্রাম
বিকেল ফুটিয়েছে শবর বালিকাটি
কবন্ধ ধানজমি
সম্ভবনাময়

3 comments:
প্রতিটি কবিতা দারুণ ভালো লাগল।
ধন্যবাদ তনিমা'দি
খুব ভালো লাগলো
Post a Comment