জন অ্যাশবেরি-র তিনটি পোস্টমডার্ন কবিতা ( ১৯২৭ - ২০১৭ ) ।
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
আমি দেখতে পাই, অন্ধ লোকটা বলল, হাতুড়ি আর করাত মাটিতে রেখে
ওই পুরোনো সঙ্গীতে কিছু চারুতা আছে
ও তার দিকে টান পাবে যখন রাতের বাতাস তাকে উন্মোচন করবে :
দূরে থাকতে ভালো লাগে ; পাথরগুলো হেলে পড়ে ;
গর্জন ছাপিয়ে পাহাড়ের বিষাদ নিজের জায়গায়
রান্নাঘরগুলোর কিনউ উজ্বল কাঁথার মতন স্মৃতি
লাল রঙের এক থোক কাচা কাপড়ের । কিন্তু মোটরগাড়িটা কি
কখনও টেনে নিয়ে যাবে আর সব সময়ে তেজি যখন ও
সিঁড়ির মাঝে প্রেরণা পেলো
আর পাঁউরুটির স্লাইসে কেউ জ্যোতিষের ফোয়ারা খুলে দিলো
যতক্ষণ না তা মানুষের আদল নিলো, নির্বোধ, পকেট ফাঁকা
হয়তো, খুব সম্ভবত সেখানে দাঁড়িয়ে ।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না এই বিশ্রাম-থেকে-দূরের প্রয়োজনগুলোর বিরতি ?
আর বাতাসে প্রতিবেশিরা আর সেরকমই মেনে নেয়
ব্যাপারটা কঠিন, এক ধরণের মাইলফলক ?
যাতে পরদাগুলো যতোটা পারে চারুতা দিতে পারে
মনোরম দৃশ্যগুলোকে : এক উপচে-পড়া মলকুণ্ড
দরবার জীবনের স্মৃতিতে, লজেঞ্চুষ, সিগারেট,
তাছাড়া আর কী । এটা কেমনতর, একটার বেশি কি রয়েছে,
দয়ালু, লোকেরা কি চিরকালের জন্য প্রান্তে যেতে চায়
বিভিন্ন জিনিসের, এমনকি সুন্দরগুলোর, আর যখন তা ঘটে
আমরা কি সবাই একসঙ্গে আকা থাকবো । বর্ম
এই জিনিসগুলোর চিন্তায় নিজেকে দেখেই হাসে
তবু দূরত্বগুলো সবসময়ে বাড়তে থাকে
মাঝখানে সবকিছু নিয়ে, মাঝখানে
উঁচু বেড়াগুলো মনে হয় জানে জীবন কি জিনিস :
এক অর্পণ যা এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকে । আর আমরা স্বপ্ন দেখি ।
একটা মাছি
আর তবু আমি আপনা থেকেই দেয়ালের ওই জায়গাটা দেখি--
সময়টা যথার্থ, কিন্তু দূরে --
অনুমতিটা টকে গেলো--
সেটাই সময়কালে আসে কিন্তু বয়স বাড়লে নয়,
মার্বেলের গুলিগুলো পাশপকেটে আটক,
আজকের ভঙ্গিমা আমরা ভালোভাবে জানি তা হলো
গতকালের বিলিব্যবস্হা আর পাকা ভবিষ্যবাণী --
ঘোরবার সময়ে থেমে না-যাওয়া,
যেমন একজন আহ্লাদী নকশাকার নিজের টেবিলে বসে থাকেন ।
কারণ, এর কারণ হলো :
কৌতূহলী লোকটা আবার নিজের চুল পরিষ্কার করছে
নিজের পায়খানায় বসে আয়নায় একটা চোখ দেখতে পেলো
( বন্ধুগণ ব্যাপারটা ভালোভাবেই এসেছে
একবারের জন্যে যেমন দেয়া হয়েছে এখানেই আর আমি হাতে সময় নিয়ে
একবারের জন্যে, লেখালিখির জন্য পরিত্যক্ত, আর কতোটা
সময় গেছে শব্দদের নষ্ট করার জন্য,
যা তোমাকে খরচ করতে হতো কিংবা খেসারত দিতে হতো
মোটরগাড়িতে আশু রাত্রিভোজনের সীমাহীন
গাড়ির কাচে বয়ে চলেছে আলো
একটা বড়ো সফলতা
আমি অনুমান করতে পারি কিন্তু এক্ষুনি গ্রাহ্য করতে পারছি না,
সময়ের দিকে দেখবেন না ) আর সময়
তোমার খোঁজে পেনসিলভিয়ানা আর নিউজার্সি থেকে
ভালোভাবে ভ্রমণ করতে পারে না
নিজের চুলকে হালকা হলদে রঙে রাঙায়
খড়ের দেয়ালগুলোকে রঙ করে আর আয়না
বারান্দায় সকালের সূর্যের আলোকে বিপথগামী করে
সরাসরি জাজিমের ওপরে
ব্যাপারটা হলো জগতে এই জায়গাগুলো,
ভাড়া থেকে মুক্ত,
মালপত্রের, খাবারের, তোমার সঙ্গ দেবার এক অভিধান
ঈর্ষায়
কিন্তু দিনটাও এমন যখন আমরা একত্রিত হলুম
চুক্তি সাক্ষরিত হলো
আর সবকিছুই দীর্ঘ দুপুরের সমুদ্রতীরে সহজ হয়ে উঠলো
কাঁধকে ঢুকিয়ে দেয়া হলো মন্হরতরঙ্গে জুতোজোড়া খুলে
যাতে আমরা এখন বেঁচে থাকতে পারি কিছুটা
কৌতূহল আর আশায়
জলাশয়ের মতন যা দ্রুত জোয়ারের অংশ হয়ে ওঠে
সূর্য যখন অস্ত গেলো
একবার কারোর ভালোবাসা পেয়ে -- নিশ্চিত
তাতে এক স্হায়ী শুভত্ব আছে,
আমরা যদি পরিস্হিতিগুলো জানতে নাও পারি
কিংবা বহুকাল আগে ঘটে গেছে যাতে কোনো তফাত হয় না ।
প্রচুর সূর্যালোকের মতন কিংবা মিষ্টি-আঠালো প্রাচুর্যের মতন,
চিনি দেয়া জিনিসের -- কে তোমাকে বলতে পারে তা ভুল ?
তোমাদের দলে কারা-কারা অন্ধকারে মুড়ে দিতে পারে উদাস
গানকে যা বাজতেই থাকে, যা পৃথিবীর আরম্ভ থেকে বেজে চলেছে ?
তবু, নিজের মানসিকতায় বাঁধা পড়ে যাওয়া, যা মনে হয়
সমভূমির মতন বিশাল, যাতে বলে দেয়া হয় যে
এর দিগন্তগুলো কৌতুকপ্রদভাবে সীমাবদ্ধ,
আর সেখান থেকেই উঠে আসে সমস্ত বিষাদ, সেই অবনত
ঝর্ণার পালকের মতন : তাকি জ্ঞানকে উচ্ছিন্ন করে না
ভালোবাসার বিভিন্ন বিন্যাস থেকে, তাদের ছোট করে তুলে
একটা শাদা উদাসীন ত্রিপার্শ্ব কাচে, এক ছাদহীন প্রেম ফাঁকায় দাঁড়িয়ে
প্রকৃতির শক্তিতে জড়ানো ? আর অনেকে এই দৃষ্টান্তে দেখতে পায় তা কেমন করে ওঠে
আস্তে আস্তে উদাসীন স্বর্গের দিকে, সেই সমস্ত পাণ্ডুর কুহক ?
পাখির গানের মতন ধুয়াটা এলোমেলো, তা অপরিচিতের মতন চুয়ে পড়ে
এখান থেকে বেরোনো পরিচিত কাঠামোর মাঝে
স্হির পরিচিত পরিধিতে আর কম নিশ্চিত প্রবণতায় :
তা আগেই নিজের পথ তৈরি করে নিয়েছিল। সন্ধ্যার চিত্তবিনোদনে।
এমন সময়ও হয় যখন সঙ্গীত আমাদের কাবু করে ফ্যালে,
আচমকা হতবুদ্ধিকর নৈকট্যে আসে, আমার কবজির ওপর বইতে থাকে ;
যে সত্যি আর নোংরা কথাগুলো তুমি রাতের বেলায় ফিসফিস করে বলো
যেমন বই বন্ধ হয়ে যায় নষ্ট চাদরের মতন, একটা কলঙ্ক
সময় থেকে ছিঁড়ে নেয়া সব রকমের দ্যোতনা আর ফেলে দেয়া
কুয়োর ভেতরে মণিরত্নের মতন ; জবাবটা, এছাড়াও,
আমার মাথায় যে প্রশ্ন জেগেছিল কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি,
ব্যতিরেকে যেভাবে কোনো-কোনো জিনিস, কোনো-কোনো রাতে, জুটি বাঁধে ।

No comments:
Post a Comment