|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
মানিক বৈরাগী
হীরক পদ্ম
কুহকি পান করো প্রস্ফুটিত বেদনার যারক রস।নীলাভ স্রোতে বয়ে যায় কুহেলিয়া,সেই স্রোতের উউজ্জল পদ্মটি ছল ও ছলের জালে ভাসে আর জ্বলে।
রইলোনা তার স্বাধীন স্বকীয়তা রুপ ও রূপের রুশ্নাই তার কাল হলো।জাল ও জলে জ্বলতে জ্বলতে পিঙ্গল রুপটি তাকে আর জলে থাকথে দিলোনা।
একদিন চারদিকে বড় বড় রশির জাল ও লোহার খাচা ফেলা হলো অথৈ জলে। বিস্তির্ণ জলরাশি কে ভাগ ভাগ করে ঘেরা হলো। পদ্মটি পানকৌড়ির মতো ডুব দিলো অতলে।
একদিন কুহেলিয়ার মোহনায় মাছযন্ত্র নেমে এলো সমুদ্র তলে,ওরা তন্নতন্ন করে তীব্র টর্সের আলো ফেলে শামুক ঝিনুক কোরাল সবখানে খোড়াখুড়ি শুরু করলো।
সমুদ্র তলের বুকচিরে তোলা হলো উজ্জ্বল পোড়া কলিজা। কলিজার আলোকরঞ্জন বেদনায় মানুষের কি বিভৎস উৎসব।
মানুষ বুঝলো না পদ্মরুশ্নির আলোয়, তারা সমুদ্র পারাপার করে।
শুশুক
কয়েক যুগ পরে জলকন্যারা বাপের বাড়ি নাইয়র আইছে। সেই খুশিতে তারা কতো
নাচানাচি করলো আমাদের উঠোনে। আমার নাতিনাতনি কতরকম জলকেলি করলো
কয়েকদিন।
আমি সকালে বিকালে তাদের হাসিঠাট্টা জলকেলি মুগ্ধ নয়নে
প্রাণভরে তাদের সাথে কতো কথা মস্করা করেছি,তাদের কতোদিনের জমানো কথা
খইফোটার মতো করে বলছে আর শুনছি।
বিদায় বেলায় কতো কান্নাকাটি করলো। আমিও বাষ্পীভূত হয়ে বিদায় বলেছিলাম।
মন বারবার অজানা আশংকায় কেঁপে কেঁপে উঠতো। চালাক "নর-বানরে"রা গুহায়
ঢুকলেও, কামুক বর্বর নরেরা শিকারের তাড়নায় জাহাজ ভাসালো জলে।
প্রাণের কন্যা নাতিনাতনিরা শোনেনি বারন।
বাপের বাড়ির আদর সম্ভাষণে খুশির উৎফুল্লতায় জলকেলি করতে করতে
ঘুরপথে শ্বশুর বাড়ি ফেরার কালে নর কামুকের নজর এড়াতে পারলো।
সমুদ্র শিকারী নিষাদ জাল পেতে দলবেঁধে প্রথমে অবরুদ্ধ করলো।
কামুক হাতে তাদের চুলের মুটি ধরে টানতে টানতে তুলে নিল বোটে, তারপর চরে এনে
কামুক উল্লাসে ফেটে পড়লো দলবদ্ধ ভাবে।
আমার জলকন্যারা বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তচিৎকার করলো, বধির উম্মাদ জল-জালিক
শুনলো না।
তারা তাদের কাম চরিতার্থ করে কোপাতে কোপাতে হত্যা করলো।
আমার শুষক কন্যাদের আর্তনাদ কোন "নর-বানর "শোনেনি।
কেউ বাঁচতে এগিয়ে আসেনি। তোদের উপর নেমে আসুক লানৎ ইন্দ্র-বরুণের।
আমার শুষুক কন্যার জন্য পরাণ কাঁদে।
মানিক বৈরাগী
হীরক পদ্ম
কুহকি পান করো প্রস্ফুটিত বেদনার যারক রস।নীলাভ স্রোতে বয়ে যায় কুহেলিয়া,সেই স্রোতের উউজ্জল পদ্মটি ছল ও ছলের জালে ভাসে আর জ্বলে।
রইলোনা তার স্বাধীন স্বকীয়তা রুপ ও রূপের রুশ্নাই তার কাল হলো।জাল ও জলে জ্বলতে জ্বলতে পিঙ্গল রুপটি তাকে আর জলে থাকথে দিলোনা।
একদিন চারদিকে বড় বড় রশির জাল ও লোহার খাচা ফেলা হলো অথৈ জলে। বিস্তির্ণ জলরাশি কে ভাগ ভাগ করে ঘেরা হলো। পদ্মটি পানকৌড়ির মতো ডুব দিলো অতলে।
একদিন কুহেলিয়ার মোহনায় মাছযন্ত্র নেমে এলো সমুদ্র তলে,ওরা তন্নতন্ন করে তীব্র টর্সের আলো ফেলে শামুক ঝিনুক কোরাল সবখানে খোড়াখুড়ি শুরু করলো।
সমুদ্র তলের বুকচিরে তোলা হলো উজ্জ্বল পোড়া কলিজা। কলিজার আলোকরঞ্জন বেদনায় মানুষের কি বিভৎস উৎসব।
মানুষ বুঝলো না পদ্মরুশ্নির আলোয়, তারা সমুদ্র পারাপার করে।
শুশুক
কয়েক যুগ পরে জলকন্যারা বাপের বাড়ি নাইয়র আইছে। সেই খুশিতে তারা কতো
নাচানাচি করলো আমাদের উঠোনে। আমার নাতিনাতনি কতরকম জলকেলি করলো
কয়েকদিন।
আমি সকালে বিকালে তাদের হাসিঠাট্টা জলকেলি মুগ্ধ নয়নে
প্রাণভরে তাদের সাথে কতো কথা মস্করা করেছি,তাদের কতোদিনের জমানো কথা
খইফোটার মতো করে বলছে আর শুনছি।
বিদায় বেলায় কতো কান্নাকাটি করলো। আমিও বাষ্পীভূত হয়ে বিদায় বলেছিলাম।
মন বারবার অজানা আশংকায় কেঁপে কেঁপে উঠতো। চালাক "নর-বানরে"রা গুহায়
ঢুকলেও, কামুক বর্বর নরেরা শিকারের তাড়নায় জাহাজ ভাসালো জলে।
প্রাণের কন্যা নাতিনাতনিরা শোনেনি বারন।
বাপের বাড়ির আদর সম্ভাষণে খুশির উৎফুল্লতায় জলকেলি করতে করতে
ঘুরপথে শ্বশুর বাড়ি ফেরার কালে নর কামুকের নজর এড়াতে পারলো।
সমুদ্র শিকারী নিষাদ জাল পেতে দলবেঁধে প্রথমে অবরুদ্ধ করলো।
কামুক হাতে তাদের চুলের মুটি ধরে টানতে টানতে তুলে নিল বোটে, তারপর চরে এনে
কামুক উল্লাসে ফেটে পড়লো দলবদ্ধ ভাবে।
আমার জলকন্যারা বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তচিৎকার করলো, বধির উম্মাদ জল-জালিক
শুনলো না।
তারা তাদের কাম চরিতার্থ করে কোপাতে কোপাতে হত্যা করলো।
আমার শুষক কন্যাদের আর্তনাদ কোন "নর-বানর "শোনেনি।
কেউ বাঁচতে এগিয়ে আসেনি। তোদের উপর নেমে আসুক লানৎ ইন্দ্র-বরুণের।
আমার শুষুক কন্যার জন্য পরাণ কাঁদে।

No comments:
Post a Comment