|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...|| || দ্বিতীয় বর্ষ ||
প্রিয়াঙ্কা পিহু কর্মকার
প্রতিদিন
সে দিন ৫টা ০৫ র নৈহাটি লোকাল ধরব বলে দাঁড়িয়ে আছি শিয়ালদহের 1/A প্ল্যাটর্ফমে । খুবই ব্যস্ত আমাদের কলকাতা , তার এক ঝলক শিলায়দহ স্টেশন দেখলেই মনে হয় । বোর্ডে ট্রেন ও টাইম দিয়ে দিয়েছে । তবুও 3মিনিট লেট করছে আসতে , বেজায় ভীড় হবে ।যাই হোক আমি মোবাইলে মন দিয়েছি । হঠাৎ চোখ গেল মিওআ মোরের কাউন্টারে ।একজন ভদ্র মহিলা ওয়েল ড্রেসড ভীষণ স্মার্ট লাগছে , বেশ লাগছে । আমরা মানুষরা বিপরীত লিঙ্গই হতক আর সম - লিঙ্গই হোক চকচকি হলেই চোখ ঠিক যাবেই । যেমন আমার ঐ মহিলার ওপর চলে যাচ্ছে । কিন্তু দেখলাম ঐ মহিলা দুটো বারগার ওর্ডার দিয়েছে , বেশ কিন্তু ওনার খাওয়ার পদ্ধতিটা বড়ই দৃষ্টি কটু লাগছে , আমার বিশেষত লাগছিল হয়তো ট্রেন আসতে দেরী হচ্ছে বল নিজেই একটু নিজর মনোরঞ্জকের বিষয় দেখে অনুধাবন করছি ।
এসব ভাবতে ভাবতেই ট্রেন ঢুকে যায় আমি ট্রেন উঠি ঐ আরকি এক প্রকার যুদ্ধ জয়ের মত সিট নিলাম জানালার ধারেই । বসে আবার ঐ মহিলা কে দেখতে যাব দেখি উনি নেই । যাই হোক ভাবলাম আজকের মত মনোরঞ্জক পর্ব শেষ হল বোধহয় । কানে ইয়ার ফোনটা দিতে যাবই একজন মহিলা কন্ঠ আমাকে বলছে -
" কেমন আছেন । কোথায় থাকা হয় ?"
আমি তাকিয়েই দেখি ঐ ভদ্রমহিলা যাকে আমার ট্রেন না আসার অবধি মনোরঞ্জক খোরাক করে রেখেছিলাম ।
আমি ভীষণ লজ্জায় পরে যাই আর কি বলব যেন শব্দরা স্তব্ধ হয়ে যায় , তাও আমি বললাম
-" ভালো আছি । আপনাকে তো চিনলাম না ।"
-আমাকে আপনি চিনবেননা । তুমি করে বলছি তোমায় অনেক ছোটো তুমি তাই ।
-" আচ্ছা বলুন ।
- কোথায় থাকো ।
- খড়দহ ।
-ওহ । স্টুডেন্ট !
- হ্যা থার্ড ইয়ার । আপনি কোথায় থাকেন ।
- আমি এই তো প্রাচীর ওদিকে । এটা আমার নম্বর কথা হবে কেমন ।
বলে হঠাৎ মহিলা চলেযান । আমি পুরো ব্যাপার টা বোঝার আগেই ট্রেনটা ছেড়ে দিল ।
খড়দহ আসা অবধি ভাবলাম কি হল বুঝলাম না ।
যাই হোক বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে বসলাম । নং র চিট টা হাতে ।ভাবছি ফোন করে একটা সরি বলি ।ওভাবে ওনাকে দেখছিলাম তাই বোধহয় উনি আমাকে ঠান্ডা ভদ্রস্থ অপমান করে দিল ।
একটা তো সরি বলব তারপর নং ব্লক । ব্যস
এসব ভেবে করলামই একটা কল ।
রিং হচ্ছে । প্রায় এক মিনিট হবে হবে তখনি ফোন ধরলেন ।
-হ্যালো বল ।আমি জানতাম তুমি কল করবে । ঠিক মত বাড়ি পৌয়ছেছো তো।
- আমি পুরো চুপকে যেন আমার ঠোঁটে ফেভিকল দিয়েছে ।
অনেকক্ষণ উনি হ্যালো করার পর আমি বললাম ।
- সরি ।
-কেন । আমাকে খেতে দেখছিলে বলে আরে না না । কাল আসবে নাকি কলেজ আসলে বল দেখা করব।
আমি এবার একটু অবাক হলাম। কি বলতে চাইছেন মহিলা । আবার বলল
- কাল আসলে বল কেমন দেখা করব ।
-আমি কিছু না বলেই ফোন কেটে দেই ।
সারারাত ঘুম আসেনি , কত অচেনা মানুষ প্রতি দিন ট্রেনে বাসে দেখা হয় নিজের মত কল্পনায় ভাসে গন্তব্য পৌছানো অবধি । কিন্তু এমন কি কারো সাথে হল । এই ভাবতে ভাবতে নতুন ভোর হয়ে গেল নতুন দিনে পুরোনো আমি যাচ্ছি পুরানো কলেজে ।
ফোনটা আজ যেন আমার কাছে বড্ড বেমানান লাগছে । কলেজের কোনো ক্লাশে মন বসল না । শুধু চোখ যায় ফোনে নতুন একটা রহস্যের মধ্যে , এসব ভাবছি হঠাৎ ফোন । নম্বর দেখে আনন্দ রহস্য মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে । ধরব কি ধরব না এই ভেবে ধরলাম ।
- হ্যা বলুন
- আজ কলেজে এসেছ । দেখা হচ্ছে কিন্তু তাহলে ।
আমি না বলার অনেক চেষ্ঠা করেও পারলাম । বললাম
- কোথায় থাকবেন ।
-মুচি পাড়া থানার ওখানে চেনো তো ।
- হ্যা
- আচ্ছা রাখছি ।
আমার মধ্যে নতুন কিছু জানার স্পৃহা
যেন পর্বত চূড়ায় চলে গেছে । যাই হোক , আমি না চাইতেও চলে গেলাম কলেজ শেষের পর মুচিপাড়া থানার কাছে ।দেখি উনি দাঁড়িয়ে , আমাকে দেখেই একগাল হাসি ,
আমি ও হাসলাম । মেকি হাসি ভালোই মানায় ।
- চল , এই গলির ওদিকেই আমার বাড়ি।
আমি দেখলাম আজ ও ওয়েল ড্রেসড । ভাবলাম ভালোই বাড়ি হবে ।এবারে সাহকে জিজ্ঞেস করলাম ।
-আপনার নাম কি ।
-আমি মিনুতি বসাক । চলই দেখবে ।
-আমি পলি , পলি সামন্ত ।
-আচ্ছা ।
এই ভাবে কথা বলতে বলতে একটা পুরোনো প্রায় ধ্বংসাবশেষ একটা পোড়া বাড়ির সামনে দাঁড়ালাম
আমি একটু অবাক হলাম । মহিলার পোষাকের সাথে বাড়ি বড় বেমানান যাচ্ছে ।
তারপর উনি নিয়ে গেলেন তার ঘরে । একটাই রুম চারিদিকে অপরিস্কার আর ঝুরঝুরে । জানলাম এটাও ওনার নিজের বাড়ি নয় উনি ভাড়া থাকেন ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম
- আপনি কি করেন
হেসে বললেন দাড়াও সব বলছি । পোষাক টা ছাড়ি ।
আমি একটু অবাক হলাম পোষাক পালটাবে আমার সামনে ।
দেখলাম ওনার দামি পোষাক সব ছাড়ছেন । হঠাৎ চমকে উঠে দেখলাম । ওনার অন্তরবাস ।
অন্তবাস শত ছিদ্রে ছিদ্রিত । আমি অবাক ।
মনে হচ্ছে ,পোষাকী সমাজকে উলঙ্গ করে সাদামাটা গরীবত্বের মোড়ক উন্মোচন হল ।
যে মানুষ টাকে কাল অব্দি তার স্বচ্ছ পোষাকের মেকি ভদ্রস্থ মনে হচ্ছিল । আজ সেই পোষাকই যেন ভদ্রতার তামাশার রিং মাস্টার মনে হয় ।।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি এককাপ লেবু চা নিয়ে মিনুতি বসাক হাসতে আমাকে দিলেন ।
পরে অনেক কথায় জানতে পারলাম -
উনি একজন যৌনকর্মী বছর পয়ত্রিশ । একার মানুষ । জানতে পারলাম গতকালের দুটো বারগারের বিষয় - খদ্দের ভালো ছিল টাকা একটু বেশি পেয়েছিল তাই দুটি বারগারের বিলাসিতা করেছিল ।
অনেক কথাই হল কথাই শুনলাম জানলাব বললাম ।
দেখতে দেখতে দুপুর স্নিতেজ হচ্ছে , আর রাতের তিলোত্তমা সাজে ব্যস্ত হচ্ছে ।
আমি চলে এলাম হাঁটচ্ছি আর ভাবচ্ছি ।
আমার চরিত্রের কত খোলস কত বাঁক ।
প্রতিদিন আমরা কত শত মিনুতি বসাক আর পলি সামন্তের সম্মুখীন হয় । কত ব্যস্ততা ও অবসরের ফাঁকে মধ্যে ও আমরা এই শহরের প্রতিদিনের মনোরঞ্জক হচ্ছিসার করচ্ছি ।
আমরা আমাদের সকলের ধনীত্ব চরিত্রের শেষে উলঙ্গ গরীবত্বটা ঠিক রাজপথ ধরে পোড়া ঝুরঝুরে দেওয়ার হুকে টানিয়ে দি ।
নতুন ভোরের জন্য , ,,,,,, ।
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...|| || দ্বিতীয় বর্ষ ||
প্রিয়াঙ্কা পিহু কর্মকার
প্রতিদিন
সে দিন ৫টা ০৫ র নৈহাটি লোকাল ধরব বলে দাঁড়িয়ে আছি শিয়ালদহের 1/A প্ল্যাটর্ফমে । খুবই ব্যস্ত আমাদের কলকাতা , তার এক ঝলক শিলায়দহ স্টেশন দেখলেই মনে হয় । বোর্ডে ট্রেন ও টাইম দিয়ে দিয়েছে । তবুও 3মিনিট লেট করছে আসতে , বেজায় ভীড় হবে ।যাই হোক আমি মোবাইলে মন দিয়েছি । হঠাৎ চোখ গেল মিওআ মোরের কাউন্টারে ।একজন ভদ্র মহিলা ওয়েল ড্রেসড ভীষণ স্মার্ট লাগছে , বেশ লাগছে । আমরা মানুষরা বিপরীত লিঙ্গই হতক আর সম - লিঙ্গই হোক চকচকি হলেই চোখ ঠিক যাবেই । যেমন আমার ঐ মহিলার ওপর চলে যাচ্ছে । কিন্তু দেখলাম ঐ মহিলা দুটো বারগার ওর্ডার দিয়েছে , বেশ কিন্তু ওনার খাওয়ার পদ্ধতিটা বড়ই দৃষ্টি কটু লাগছে , আমার বিশেষত লাগছিল হয়তো ট্রেন আসতে দেরী হচ্ছে বল নিজেই একটু নিজর মনোরঞ্জকের বিষয় দেখে অনুধাবন করছি ।
এসব ভাবতে ভাবতেই ট্রেন ঢুকে যায় আমি ট্রেন উঠি ঐ আরকি এক প্রকার যুদ্ধ জয়ের মত সিট নিলাম জানালার ধারেই । বসে আবার ঐ মহিলা কে দেখতে যাব দেখি উনি নেই । যাই হোক ভাবলাম আজকের মত মনোরঞ্জক পর্ব শেষ হল বোধহয় । কানে ইয়ার ফোনটা দিতে যাবই একজন মহিলা কন্ঠ আমাকে বলছে -
" কেমন আছেন । কোথায় থাকা হয় ?"
আমি তাকিয়েই দেখি ঐ ভদ্রমহিলা যাকে আমার ট্রেন না আসার অবধি মনোরঞ্জক খোরাক করে রেখেছিলাম ।
আমি ভীষণ লজ্জায় পরে যাই আর কি বলব যেন শব্দরা স্তব্ধ হয়ে যায় , তাও আমি বললাম
-" ভালো আছি । আপনাকে তো চিনলাম না ।"
-আমাকে আপনি চিনবেননা । তুমি করে বলছি তোমায় অনেক ছোটো তুমি তাই ।
-" আচ্ছা বলুন ।
- কোথায় থাকো ।
- খড়দহ ।
-ওহ । স্টুডেন্ট !
- হ্যা থার্ড ইয়ার । আপনি কোথায় থাকেন ।
- আমি এই তো প্রাচীর ওদিকে । এটা আমার নম্বর কথা হবে কেমন ।
বলে হঠাৎ মহিলা চলেযান । আমি পুরো ব্যাপার টা বোঝার আগেই ট্রেনটা ছেড়ে দিল ।
খড়দহ আসা অবধি ভাবলাম কি হল বুঝলাম না ।
যাই হোক বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে বসলাম । নং র চিট টা হাতে ।ভাবছি ফোন করে একটা সরি বলি ।ওভাবে ওনাকে দেখছিলাম তাই বোধহয় উনি আমাকে ঠান্ডা ভদ্রস্থ অপমান করে দিল ।
একটা তো সরি বলব তারপর নং ব্লক । ব্যস
এসব ভেবে করলামই একটা কল ।
রিং হচ্ছে । প্রায় এক মিনিট হবে হবে তখনি ফোন ধরলেন ।
-হ্যালো বল ।আমি জানতাম তুমি কল করবে । ঠিক মত বাড়ি পৌয়ছেছো তো।
- আমি পুরো চুপকে যেন আমার ঠোঁটে ফেভিকল দিয়েছে ।
অনেকক্ষণ উনি হ্যালো করার পর আমি বললাম ।
- সরি ।
-কেন । আমাকে খেতে দেখছিলে বলে আরে না না । কাল আসবে নাকি কলেজ আসলে বল দেখা করব।
আমি এবার একটু অবাক হলাম। কি বলতে চাইছেন মহিলা । আবার বলল
- কাল আসলে বল কেমন দেখা করব ।
-আমি কিছু না বলেই ফোন কেটে দেই ।
সারারাত ঘুম আসেনি , কত অচেনা মানুষ প্রতি দিন ট্রেনে বাসে দেখা হয় নিজের মত কল্পনায় ভাসে গন্তব্য পৌছানো অবধি । কিন্তু এমন কি কারো সাথে হল । এই ভাবতে ভাবতে নতুন ভোর হয়ে গেল নতুন দিনে পুরোনো আমি যাচ্ছি পুরানো কলেজে ।
ফোনটা আজ যেন আমার কাছে বড্ড বেমানান লাগছে । কলেজের কোনো ক্লাশে মন বসল না । শুধু চোখ যায় ফোনে নতুন একটা রহস্যের মধ্যে , এসব ভাবছি হঠাৎ ফোন । নম্বর দেখে আনন্দ রহস্য মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া হচ্ছে । ধরব কি ধরব না এই ভেবে ধরলাম ।
- হ্যা বলুন
- আজ কলেজে এসেছ । দেখা হচ্ছে কিন্তু তাহলে ।
আমি না বলার অনেক চেষ্ঠা করেও পারলাম । বললাম
- কোথায় থাকবেন ।
-মুচি পাড়া থানার ওখানে চেনো তো ।
- হ্যা
- আচ্ছা রাখছি ।
আমার মধ্যে নতুন কিছু জানার স্পৃহা
যেন পর্বত চূড়ায় চলে গেছে । যাই হোক , আমি না চাইতেও চলে গেলাম কলেজ শেষের পর মুচিপাড়া থানার কাছে ।দেখি উনি দাঁড়িয়ে , আমাকে দেখেই একগাল হাসি ,
আমি ও হাসলাম । মেকি হাসি ভালোই মানায় ।
- চল , এই গলির ওদিকেই আমার বাড়ি।
আমি দেখলাম আজ ও ওয়েল ড্রেসড । ভাবলাম ভালোই বাড়ি হবে ।এবারে সাহকে জিজ্ঞেস করলাম ।
-আপনার নাম কি ।
-আমি মিনুতি বসাক । চলই দেখবে ।
-আমি পলি , পলি সামন্ত ।
-আচ্ছা ।
এই ভাবে কথা বলতে বলতে একটা পুরোনো প্রায় ধ্বংসাবশেষ একটা পোড়া বাড়ির সামনে দাঁড়ালাম
আমি একটু অবাক হলাম । মহিলার পোষাকের সাথে বাড়ি বড় বেমানান যাচ্ছে ।
তারপর উনি নিয়ে গেলেন তার ঘরে । একটাই রুম চারিদিকে অপরিস্কার আর ঝুরঝুরে । জানলাম এটাও ওনার নিজের বাড়ি নয় উনি ভাড়া থাকেন ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম
- আপনি কি করেন
হেসে বললেন দাড়াও সব বলছি । পোষাক টা ছাড়ি ।
আমি একটু অবাক হলাম পোষাক পালটাবে আমার সামনে ।
দেখলাম ওনার দামি পোষাক সব ছাড়ছেন । হঠাৎ চমকে উঠে দেখলাম । ওনার অন্তরবাস ।
অন্তবাস শত ছিদ্রে ছিদ্রিত । আমি অবাক ।
মনে হচ্ছে ,পোষাকী সমাজকে উলঙ্গ করে সাদামাটা গরীবত্বের মোড়ক উন্মোচন হল ।
যে মানুষ টাকে কাল অব্দি তার স্বচ্ছ পোষাকের মেকি ভদ্রস্থ মনে হচ্ছিল । আজ সেই পোষাকই যেন ভদ্রতার তামাশার রিং মাস্টার মনে হয় ।।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি এককাপ লেবু চা নিয়ে মিনুতি বসাক হাসতে আমাকে দিলেন ।
পরে অনেক কথায় জানতে পারলাম -
উনি একজন যৌনকর্মী বছর পয়ত্রিশ । একার মানুষ । জানতে পারলাম গতকালের দুটো বারগারের বিষয় - খদ্দের ভালো ছিল টাকা একটু বেশি পেয়েছিল তাই দুটি বারগারের বিলাসিতা করেছিল ।
অনেক কথাই হল কথাই শুনলাম জানলাব বললাম ।
দেখতে দেখতে দুপুর স্নিতেজ হচ্ছে , আর রাতের তিলোত্তমা সাজে ব্যস্ত হচ্ছে ।
আমি চলে এলাম হাঁটচ্ছি আর ভাবচ্ছি ।
আমার চরিত্রের কত খোলস কত বাঁক ।
প্রতিদিন আমরা কত শত মিনুতি বসাক আর পলি সামন্তের সম্মুখীন হয় । কত ব্যস্ততা ও অবসরের ফাঁকে মধ্যে ও আমরা এই শহরের প্রতিদিনের মনোরঞ্জক হচ্ছিসার করচ্ছি ।
আমরা আমাদের সকলের ধনীত্ব চরিত্রের শেষে উলঙ্গ গরীবত্বটা ঠিক রাজপথ ধরে পোড়া ঝুরঝুরে দেওয়ার হুকে টানিয়ে দি ।
নতুন ভোরের জন্য , ,,,,,, ।

No comments:
Post a Comment