|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
তুষার প্রসূন
শিশির রঙের ঘাম
তুষার প্রসূন
জামরুল ফুলের মধু
সবুজ পাতার ফাঁকে বসে আছে মিনারেল মেঘ। মেঘের ঘামে ভিজতে থাকা পিঁপড়ে
আর কাঠবিড়ালীরা কাকে যেন ভিজতে ইশারা দিয়ে চলে যায়। অতর্কিতে ঝড় এসে
আমাকে ঠেলে দেয় ঘরে আর বাইরে ঝড়ে পড়ে জাম, জলপাই ও জামরুল বিছানো
বিকেলবেলা। শেষ বিকেলের রোদ আমাকে লোভ দেখিয়ে ধানখেতের উপর দিয়ে
চলে যায়। যখন বাইরে আসি, কাছে টানতে চাই দূরের রোদেলাকে। সে আমার
রিংটোন শুনে সাইলেন্ট জোনে রেখে দেয়। আমার ক্লান্ত বিছানা ঘুমিয়ে পড়ে। তার
বালিশের তলায় প্রত্যাশিত শব্দসঙ্কেত আধমরা হয়ে পড়ে থাকে। আমি বিসদৃশ।
আলপথের পাশ কেটে চলে যাই শরীরে কুয়াশা জড়াতে। অতৃপ্তি লম্বা হয়ে শুয়ে
থাকে দূরের অন্তিমে।
এভাবেই আকাশ আর মাটির মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে হয়ে উঠি স্বপ্নডানার পাখি।
জামরুল ফুলের মধু খেতে এসে লাল পিঁপড়েদের কবলে পড়েছি।
শিশির রঙের ঘাম
একমাত্র আকাশের দিকে অর্থাৎ তোমার দিকে মুখ করে অনেককিছু লেখা যায় সুতরাং
ঘর থেকে ছড়িয়ে পড়েছি। এড়িয়ে চলছি শহরের বড়ো বড়ো মানুষগুলো যারা আকাশ
ছোঁয়ার জন্য বাকি মানুষগুলোকে বনশাই করেছে। মাঝে মাঝে গদ্য মিশিয়ে পদ্য
লিখছি কেননা বাংলাদেশের কবিতার গায়ে এখন লাবণ্য ধরেছে। মিনমিনে কবিগুলো
ফুঁসে উঠতে পারছে না। কবিতার মাধ্যমে একজন ঘুষখোরকেও শুয়োরের বাচ্চা বলা
যাচ্ছে না। অসৎ ব্যাবসায়ীদেরকে বলা যাচ্ছে না যে তারাও দেহব্যাবসায়ীদের চেয়ে
নিম্নমানের। সারাক্ষণ আকাশের দিকে তাঁকিয়ে তোমাকে হাজার নালিশ করছি কিন্তু
ধর্মবণিকদের পাছায় লাথি মারার জন্যও তো কিছু লেখা দরকার।
গুলিস্তানের পাশ দিয়েই চলে যাচ্ছে সফল পাখি ও নারী বিক্রেতা। অথচ ভোরবেলার
ডাস্টবিনে পাওয়া যাচ্ছে অবিক্রিত যত উপচে পড়া ফুল ও মালির দু:খ কষ্ট আর শিশির
রঙের ঘাম।

No comments:
Post a Comment