|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
শিকদার
ওয়ালিউজ্জামান
নি-স্বজন
দু’পায়ের মিশেল ভেঙে
একপায়ে
দাঁড়ানোর সূত্র শিখিয়েছিলো
শৈশবের
তালগাছ
সেই থেকে সে আমার
আত্মজ
মুঠো মুঠো মাটি গেঁথে
যায় এক একটি কবর
একাকীত্বের
নির্মম আকর...
নি-স্বজন প্রতিটি গাছ
ধরে রাখে
বাবুইয়ের
ঠোঁটে একটি সংসার
এখানে
রাতের গহীনে তুমি জ্বলে
ওঠো একটি জোনাক
কিঞ্চিৎ
আলো, বাকিটা অন্ধকার...
এখানে
যারা আসে, সবছেড়ে পেতে
চায়-
একটিই
সুদূরের
মাঠ
সময় এখানে স্থির, সকলে
হাতে ধরে রাখে মহাকাল...
ঋণ
রাত্রির
কাছে ঋণ রেখে আমার
পিতা পাখি হলেন...
ঋণের
খাতায়
সন্ধ্যের
হাওয়া জড়ো করতে থাকে
আঙিনার চড়ুই।
প্রতিরাতে
হিসেব মিলাই
জরায়ু
ছিড়ে অগনিত ভ্রুণ কথা
কয়।
পূর্ব
দীক্ষা ভুলে-
স্কুলবেঞ্চে
শৈ
শ
বে
র
ঘ্রাণ
তৃষ্ণা
ছড়ায় ঘন্টার সিম্ফোনি হয়ে...
প্রতিদিন
ক্রমাগত ঋণ আমাকে আহত
করে
প্রতিদিন
ক্ষয়ে যাওয়া মাঠ আমাকে
বিদ্যে ঋণ দেয়
বঞ্চিত
ভ্রুণের শব্দমালা কটাক্ষ করে রবীন্দ্রসংগীত!
পবিত্র
মৃত্যু ল্যাখে বলে
প্রতিটি
রাতের কাছে আরো আরো
ঋণ জমতে থাকে...
অতঃপর
অনুজের
কাছে ঋণ রেখে আমিও
পাখি হয়ে যাই।
বলপেনে
আঁকা সময়ের স্কেচ
পাখির
মেলায় গেলে
নীরা আমাকে কিনে দেয়
একটি বলপেন
দু’য়ের শরীরে অজস্র
স্রোত
মাথায়
দুর্দান্ত
লাটিম
পাখিদের
চোখে কেবল তামাশার ঘোর...
নীরার
বলপেন কখনো বৃত্ত আঁকে
কখনো সরল আর বক্ররেখায়
টেনে দেয় ধানক্ষেত।
সকালের
রোদ্দুরে দু'টি ছায়া সামনে
দাঁড়ায়, সমান্তরাল
প্রথমা
কৃশকায় হচ্ছে নিয়তদিন
দ্বিতীয়া
মাথায় তুলছে পাখিদের খেজুরবাগান
একটি রেখার মগজবন্দি গীতা,
বাইবেল
পবিত্র
কুরআন
অন্য রেখায়
পোড়াঘাট
পাখিদের
কবরস্থান।

No comments:
Post a Comment