|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...|| || দ্বিতীয় বর্ষ ||
সোনালি বেগম
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...|| || দ্বিতীয় বর্ষ ||
সোনালি বেগম
ফটো-এডিটিং খেলা
আনন্দের নানান সম্ভার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। খুশি থাকার কোনো মূলমন্ত্র আছে নাকি! সেদিন ব্রিটিশ হিপনোটিস্ট পল ম্যাককেন্না-র বই ‘আই ক্যান মেক ইউ হ্যাপি’-র কথাগুলো বেজে উঠছিল মনে। এটা একটা অভ্যাস। খুশি থাকার অভ্যাস।
‘সব সময় সত্যিই কি খুশি থাকা সম্ভব?’
‘অবশ্যই সম্ভব।’
‘যদি জোর করে, কারণ ছাড়াই হাসতে থাকি, তখন?’
‘ফোরসড স্মাইল হোক বা না হোক, হাসলেই আমাদের শরীর সেরোটোনিন রিলিজ করে। যেটা হল একটি নিউরোট্রান্সমিটার। যার জন্য আমরা ভালো অনুভব করি। আর যে মানুষটির দিকে তাকিয়ে তুমি হাসছো, সেও তো তখন আনন্দ অনুভব করবে।’
‘খুশির বন্যায় ভেসে যাবো শত দুঃখ বুকে নিয়েও’
‘দুঃখটা কিসের শুনি!’
কত-কত দিন হয়ে গেল, আমরা বালিকা বয়স ছেড়ে নারী হয়ে উঠেছি। জীবননদীর স্রোতে ঢেউয়ের পর ঢেউ ছুঁয়ে এগিয়ে চলেছি। মাঝে মাঝে যখন বাল্যসখীদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, আনন্দে হেসে উঠি। কিছু কিছু ব্যাপার ভেবে দুঃখ পাই এখনও। একটা ছোট উদাহরণ দিই। যেমন, বাসে মেয়েদের উপর অসভ্য আচরণগুলো কি কমেছে একটুও! যদিও ব্যতিক্রম আছে। মেয়েদের মলেস্টেশন এবং হ্যারাসমেন্টের পুনরাবৃত্তি বার-বার শোনা যায়। কয়েক যুগ আগেও যা ছিল, এখনও সেই একই রকম। এই আনওয়ান্টেড টাচগুলো রেপের থেকেও কিছু কম নয়। বর্তমানে নিউজপেপার ছেয়ে গেছে ‘মি টু’ (# Me Too) ক্যাম্পেন। মেয়েদের সম্মান বাঁচানোর যোগ্য পদক্ষেপ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আমি আর আমার বন্ধু রিয়া বাসের ভেতর যথাযথ বসার জায়গা খুঁজে নিলাম। দিল্লি-চিড়িয়াখানায় বহুদিন আসা হয়নি। হৈ-হৈ করে পৌঁছে গেলাম। ছবির পর ছবি তোলা হল। মজা আর হাসি, এখন ছবির পারফেকশন নিয়ে চললো ফটো-এডিটিং খেলা। ফেস ফিল্টার ‘পারফেক্ট সেল্ফি’ অ্যাপে ছবি, আবার ‘এয়ার ব্রাশ’ অ্যাপে ছবির কোয়ালিটি পালটিয়ে দেখতে থাকলাম আমরা।

No comments:
Post a Comment