Thursday, August 20, 2020

| বাংলাদেশ সংখ্যা | শিমুল আজাদ |

|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন || || ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||














শিমুল আজাদ
সানগ্লাস

একটি সানগ্লাস প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।বিশেষত পরিবারের, সমাজের একজন হয়ে যখন আমার
কারো মুখোমুখি হতে হয়। আমার দুটি চোখ বারবার আমার ভিতরের আমিকেপ্রত্যেকের সামনে
উন্মোচন করে দেয়।বিব্রত আমি, অন্যকেও ঝামেলায় ফেলি। ফলে অপছন্দীয়, পরিবেশ সমূহ
উদ্ভট।স্পর্শকাতর,আমি যার ফাঁক-ফোঁকর বুঝি। এমন বিষয়ের যেকোনো প্রসঙ্গ এলে আমার
চোখ, টাল-মাটাল দোলে! অন্যদের অভিনয়কৃত চোখে- মুখে আমি তখন এক নাদান, বীভৎস্য
এবং অসভ্যতায় মোড়ানো এক সহযাত্রি। চাইলেও পারি না! আমার কালো চোখ অন্তরের স্বচ্ছ
আয়না হয়ে উগরে দেয় সম্পূর্ণ বিষয়-আশয়। একটি সানগ্লাস পারে দুটি কালো চোখকে ঢেকে
সত্ত্বাকে গোপন রেখে এই বিবমিষার পরিত্রাণ ঘটাতে। কিন্তু মুশকিল সানগ্লাস ঘরে, অফিস-
আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়।

দীর্ঘচোয়ালের প্রেম

নদীর সুগন্ধে, অরণ্যের প্রেম ও আকাশের নীলের আকর্ষণে তার বাসীন্দাদের
ধরপাকড়ে ব্যস্ততায় কেটেছে আমাদের অসংখ্য শতাব্দী। যদিও শিকার আর শিকারীর
মধ্যে একটা সম্পর্ক বহুদিনব্যাপি প্রবাহমান; যেমন পাহাড়ের সাথে পাথরের। সমুদ্রের
সাথে লবনের।
মানুষ পারে না এমন কী আছে! শুধু প্রাণ দান ছাড়া! মানুষ উদরে গ্রহণ করে না!
কিংবা খায় না এমন কী আছে! ডাঙার তৃণভোজি, হরেক জলবাসী কিংবা
আকাশচারীর অন্তিম মুহূর্তের কথা ভাবো। স্রেফ আত্মপ্রচার, নিজেকে মহৎ বা শ্রেষ্ঠ
হিসেবে প্রচারণায় আত্মতৃপ্তি, যা এক ভয়ংকর ভণ্ডামি!
মূলতঃ মানুষ নিখুঁত শোষক, একেকটি রাক্ষস; যা অরণ্যের গভীর কিংবা বিস্তৃত
জলরাশি ভেঙে উঠে এসেছে। নিজেকে দাঁড় করিয়েছে এই পৃথিবীলোকে একচ্ছত্র

অধিপতি রূপে।সর্বদা নিজের প্রয়োজনকে বড় করে দেখেছে; অন্যকে উপেক্ষা আর
অবহেলায় ঝলসে দিয়ে চলেছে মহাকালে।
হায় যদি সে জানতো! বুঝতে পারতো তার অস্তিত্ব পরম সত্তার দয়া-দাক্ষিণ্যের
ফলস্বরূপ, প্রেম ও করুণার আশ্চর্য প্রকাশ বৈ তো অন্য কিছু নয়।
আশরাফুল মাখলুকাত, দীর্ঘচোয়ালের প্রেম আর শয়তানের আনুগত্যে কতকাল প্রবাহিত
হতে থাকবে এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি প্রান্তরে!

No comments: