|| সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এ ২০২০ র এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত অনুরূপা পালচৌধুরীর লেখা। আসুন পড়ি___
অনুরূপা পালচৌধুরী
দোপাটি ঘুমের ছায়াচিঠিতে
সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন-এ ২০২০ র এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত অনুরূপা পালচৌধুরীর লেখা। আসুন পড়ি___
অনুরূপা পালচৌধুরী
দোপাটি ঘুমের ছায়াচিঠিতে
প্রিয় মুখের শরত গুছিয়ে রাখি। সেই তুমি বসন্তের ঘর গুনে গুনে দোপাটি তালিম আবীর গুনে গুনরীন। অবসাদের ঘুড়ি জমাহীন আকাশ ধারে বুৃকঋণ। ১বুক সূর্যের বালিয়াড়ি বিছিয়ে পালতোলা ঘর আঁকি। আমি তো আলো খুড়ি না তবে সে ঠিকানাও অলস আলগোছে দোতালা ভোরের চাবি হয় না। সমস্ত ভার বইবে এমনো নয় সে কুয়াশার বৃত্ত : আয়নায় ঠোঁট রাখো। কথায় কথায় যাবতীয় আঙুল মেখে নেয় স্নায়ুভেজা কুয়াশারা। আধা আধি মাটি থেকে অভি যোগের শিকড় 'র' বিয়োগের ধারাপাত : ১টা তুমিগাছের মরু জানলা আগুন পুড়িয়ে নগ্ন রোদের আস্তিন। অগনিত শূন্যের বাসর কিনে রাখি মেঝে পাতার নিষিদ্ধ চর। কয়েক হাত বর্ষায় ব্যর্থ কাগজের হাতকড়া তবু তোমাকেই রাখি আতরের ঘাম আর আরঘুমের জাবরে.....
ব্যাসিল রোদের ডায়াল
খুব ভোরের ১টা দংশন ফুরিয়ে মেখে দিই লিংটোলের বিকেলবেলা। অগুন্তি বাতাসের পাশে ভিজিয়ে রাখা ঘামের মিউট্যান্ট শেকিমের জাঁকরোদ। আমাকে দাও ঘনকাফের বিবাদহীন গলাভাতের স্নায়ুজল।কয়েকঘর বৃষ্টি নিয়ে স্ট্রাইকার এখন ফেরা খুঁজে খুঁজে তালিকার স্বাদ। খইনামের পেশোয়া বালাই ব্যাসের বাতিকে আকাশ টুকে বাকবাস্পের হাতখড়ি। ছিন্নমাঘের দুপুরক্ষত ছড়া বাঁধে আঙুলের গুঁড়ো
৩য় দফার চিঠি___
জানি ভীষণ ভালো আছো। তাই কেমন থাকার জরুরী প্রশ্নে আর বিব্রত করবো না। কথা ছিলো তোমার হাতের লাল সিঁদুরগোলায় পাঁপড়িচাটের মেঠো গন্ধে পৌঁছে যাবো সেই হাজার বছরের পুরনো গাছতলাটায়। মহানায়কের নগরবন্দী ইতিহাস চুঁইয়ে পড়ছে আজো রাণীকুঠীর ফুটপাত বিছানো সন্ধ্যায়। তোমার শহরের সেই সন্ধ্যারা কি জড়ো হয় বিজয়গড়ের উল্লাসে? বড্ড বোকা তুমি। আড়াল করতে পারোনি নিজেকে চাবুকের গোপনসরায়। আজো যাদবপুর যাই। 8B অটোস্ট্যান্ডটায় দাঁড়াই।আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।অসাড় পায়ে দালানকোঠা পেরিয়ে তোমার যাতায়াতের পথ আটকাই। সিগারেটের ধোঁয়ায় ব্যালকনি ভিজলে ছাপিয়ে ওঠে আমার ঠোঁট। আরো একটু পিঠে হাত বোলাই। আমার মতো কেউ কি এখন ঘুম পাড়ায়? এখন তোমায় আদর করে কে ? মনে পড়ে কি সেসব রাতের খামবন্দী জোনাকির কান্না!
আসলে মৃত ঠিকানায় চিঠি পৌঁছায় না কিন্তু চিঠিগন্ধের আমরণ কামড়ের দাগটা থেকে যায়। যেদিন স্বেচ্ছামৃত্যুর পরয়ানা জারি করলে আমি মৃত্যুকে কৌটবন্দী করলাম নিশাচর ঘরের ডিভানে। অমরত্বের দাবী রাখলাম তোমার নো ম্যানস ল্যান্ডের ক্যাফেইন ট্যাবলেটে। ১টা উর্বর চাঁদের আধাআধি আলো খুনে ধীরেধীরে উদ্ধত হলে তুমি। খুন হলাম যাবতীয় আমি এবং আমার আকন্ঠ অস্তিত্ব পানে তুমি অমরত্ব পেলে। আমি মৃত্যুরূপে দাঁড়িয়ে বারংবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছি গড়ানো দুপুরগুলির মুখে কিন্তু মৃত্যু হতে পারিনি। বিপরীতে জন্ম নিচ্ছে বিধ্বংসী আলোর উল্কামুখী আগুনের পালস্। আস্ত জলোচ্ছ্বাসের গলায় বেঁচে থাকার স্বাদটা এখন নিত্য বাড়ে। দেখতে চাই তোমার অভিশপ্ত মাটির শিকড়হীন ফুসফুসে দীর্ঘজীবী তুমিটাকে। অভিশাপ কখনো দিই না বরং ঈশ্বরকে বলি, দীর্ঘবছর আয়ুর দরে তোমার হলুদ চৈত্রের পাঞ্জাবীরা মরসুমি মুখ লিখুক কলকাতার অলিগলি।
অবশেষে বলি, ১টা সূর্যখনির শীতঘুম তোমার আঙুলে পুষছি, শুধু চির বরফের আগুনদারি পেরোবার গর্ত বেড়িয়ে গুনছি মটি অবধি।
ইতি
আপাত অপার অত্যন্ত

No comments:
Post a Comment