কপাল পোড়া ছন্যছাড়া
মাথার মধ্যে গুমট অন্ধকার দলা পাকিয়ে বসে আছে। নিজেকে নিয়ে কয়েকদিন বড়বেশি ভয় হচ্ছে। না জানি কবে না কবে চোখের জানালা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। প্রশ্বাসের সাথে একদিন জড়িয়ে ছিল মায়ের আদর মাখা শরীরী ঘ্রাণ আর আজ অন্য নারীর। আমার কাছে নিজেকে এক নোংরা পুরুষ মনে হয়। বাঁচার নেশায় যে আমি একদিন গ্রাম থেকে পালিয়ে বেঁচে ছিলাম। অজানা এক শংকা এখনও আমার পিছু পিছু দৌড়াই। সেদিন খুলির ভিতরে রেখে পান করেছি তোমার মস্তক-স্মৃতির মাদুরে রেখেছি অক্ষরহীন কিছু মানুষের চোখ মুখ নাক। নিপুণ হাতে রেখেছি তোমার হাতের চিঠি আর আসল মানুষের বুকপকেটের হৃৎপিণ্ড। নদীর জোয়ারের জলে তিক্ততার নুন। তবুও আমি আমরা ঢেকে রাখি পাহাড় সমান আবাদী জমির ক্ষেত। বাবার কাছে বুকের শস্যে দাঁত মেলে হাসে অবসাদের আরাধনার বুড়ি। এখন আমাদের ঘাড় কাত জীবনের হয়তো বা কিছুটা অবসান হতে পারে। কেননা বাবার হাতে জন্মেছে কাঁকড়া বিলের শতশত মাছ। নিঃসঙ্গতা কাকে বলে তুমি কি জানতে-ওহে বিরহীনি?কত কাল তোমাদের বাড়ির দিকে আমার পা পড়েনি, ঝাউয়ের বুকের কাছে লুকিয়ে দয়াল বাবা কলা খাবে গানটি গেয়ে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছি নিঠুর দরদীয়াকে। কামান্নার এক ঝাঁক তাগড়া জোওয়ানের ছবি সেদিন বুবে চেপে মা-বেড়াচ্ছে বয়ে অনেক অনেকটা বছর- কি জবাব দেবেন মহামান্য সম্প্রদায়। শপথ নিয়ে ছিলাম বাঁচব এবং বাঁচাব বলেই সেই কথা আর আজ রাখতে পারলাম কই? ভয়ঙ্কর এক বেদনার চপেটাঘাত আমাকে দিনকে দিন একজন প্রতিবাদি মানুষ করে তুলেছে। নিভৃতে যে একদিন সাইকেলে সুর তুলে হাকিয়ে ফিরেছে শহরতলী গ্রামের কোলাহসকাল সে আজ উড়ে যাই প্রেমের নগরে-মাটির কাছে। মাটির ভুবনে অনেকেই সাজাতে চাই নিজের মত পৃথিবী, ঘোড়ার ডিম বিক্রি করে রাখতে চাই নিজের সম্মান, সেখানে আমি এক নিতান্ত কপাল পোড়া ছন্যছাড়া বালক।


No comments:
Post a Comment