সাংগ্রিলা
১.
প্রাকৃত প্রস্তাবনা, সত্য-প্রতিভাস মুছে যাওয়া খেলা
ক্রমশঃ নতুন ভূখণ্ড নাভিমন্ডল
জ্ঞানগঞ্জের পাখি, বাণেশ্বর মহিমাগাথা, স্ফটিক
অ্যাডভেঞ্চার পিপাসা, বিপাশাবিলের ব্রাহ্মণীহাঁস
২.
কাহিনির ভেতরে টানাপোড়েন, চওড়া ফাটল,
বায়স্কোপ, পিককগ্রিন সমুদ্র ,স্বপ্নে
উড়োজাহাজ, গর্জমান গভীরে হাঙর
আকস্মিক নভোমন্ডল, কোথাও তিতির ত্রস্ত আলো
৩.
গাছেদের সিঁড়ি, স্পাইরাল, দুর্গাটুনটুনির চোখে
আয়রন ভায়োলেট, সর্বভুক আগুন ছিটকানো
লোহা, মৃৎপাত্রর জলে প্রতিবিম্বিত চৈত্রমাস
বসন্তবৌরির ডাকে চকিত লাটিম, আহ্নিক গতি
৪.
সুজন অর্থ বুঝে নেওয়া বৃষ্টিপাত, মহুলবনের পাখি
শূন্যতা দিশারী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পদক্ষেপ, কেঁপে-ওঠা
পাঠ-কুটিল স্থবিরতা, আমখই গ্রামের নাম
স্মৃতিবল্কলে লৌহ চিহ্নিত, প্রান্তদেশে মাটির নোঙর
বাঁশচোঙ আর চকমকি, তামাকু মাখার মৃৎপাত্র,
ভেঙে চৌচির, গুড় আর সূর্যালোক মাখামাখি,
ছায়া-শাসিত এই শূন্যতা,ভাঙ্গা কাচে বিচ্ছুরিত
ভ্রাম্যমাণ পাহাড়িয়া পাখি, লোভাতুর বৈদ্যূতিক
৬.
ভোর হয়ে-আসা অমলতাসের দেশ, শিয়াল সাম্রাজ্য,
সময় জ্ঞানহীন বালক, ভূমন্ডলের ঘূর্ণন,
হেমন্তলক্ষ্মীরপা, কাঁকড়া-চিহ্নিত মাটি
উল্টানো পাতার ওপর ঊর্ণনাভের পৃথিবী
৭.
করাতগুঁড়ো, কাঠচেরাই কলের পাশে জলাশয়,
বসন্ত বনাঞ্চলের মুখচ্ছবি, নর্জাগ্রামের দিঘি, মেহেবুবের দরগা-গান, নশ্বরতা জয়
মেঘনিবিড় সরাল হাঁসের দল, রাগ হংসধ্বনি
৮.
নদীটির নাম মায়া, সেতুটি তাহারই বাজন
বক্রকুটিল পথ, সূর্যাস্তের অঙ্গরাগ, ইঙ্গিতবাহী অঙ্গুরীয় বিচ্ছুরিত আলো, সুরঙ্গপথে
বন্ডুলগ্রামের তরমুজক্ষেত, কাকতাড়ুয়ার কাঁধে নীলকন্ঠ



1 comment:
খুব ভালো লাগল কবিতাগুলি। প্রথম পাঠে শব্দ মনে হলেও গভীর অনুধাবনে ক্রমশ সুন্দর কবিতা রূপে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো অর্থ বহন শব্দগুলি। রুদ্র কিংশুক এর কবিতা অন্য মাত্রার লেখা।
Post a Comment