আগামীর কুহু
নিত্যবৃত্ত বাঘের সমান আকুতি দুধের বোতল দাঁতসমান
হুল ফাটছে বিশুদ্ধ মিসেস ফরিদা ও মিস্টার ফরিদে
কে ও কার হৃদচলনের পাখি
সমাজব্রহ্মের চাকা রেফযুক্ত রেপের দলন বলন ও উচ্চশ্রেনীর ঊরু
কেন বাংলাভাগে?
দাঁড়িয়ে গ্রহণ দেখছে শিশুপালের শিশু
মাথা তবুও থামিয়ে রাখছে শীত সংবাদ ও আগামীর কুহু
ফ-হৃদ তবু যন্ত্রময়
শ্রীচরণেষু সার্চে
মিস্টার ফরিদে
ও
মিসেস ফরিদায়…
বিলম্বিত ছায়ায়
ক্ষয় মানুষের সীমানা আঁকছে হাত
যদিও অক্ষয়বাবুর দিন, হাইজেনবাবুর ক্ষতিপূরণ
মানুষপোর্টে কারা যেন পৃথিবীখেলায়
টুকে রাখছে পাখি
মেটামানুষ অদৃশ্য হোলো কি?
আসুন বিমিং পাঠাই ধনধান্যে
সত্যদা শব্দপাখি করে আর
গুনে রাখে ওড়ার গুণগান
আমরা তীক্ষ্ণতম গানে
বিলম্বিত ছায়ায় দেখি দ্রুতমানুষের মাথা
মিথ্যেদা'র অলিগলি দেখি
মানুষে মানুষে ব্লিংক ও বর্জন আমরা হারিয়ে ফেললাম
একহারা দুইহারা
বহুহারার আমরা
নিজেদেরই নাম
ভাগ করলাম
আলো-ছায়ায় ব'সে...
কুহুতানের মানুষ
আসুন নক্ষত্র ছাড়িয়ে বসি
ধার দিই নিজের ক্ষুর ও আলোকে
কিউবিক মানুষগুলো কিউ ছাড়িয়ে মানসিক
কুহুতানের মানুষ গ্রীষ্মের আগের গরমে ডুবছে
এবার মানুষ ছাড়িয়ে বসি
আপনি নক্ষত্র
আপনি মানুন
গণিতমহল আমাদের ভাসিয়ে দিলো ০ ও ১-এ
০১। ০২। ০৩।
শূন্যের এপারওপার
আলো ভাসানোর গানে মিসেস উদয়
বাড়িয়ে দিচ্ছে ভবযান
ব্রহ্মে আমি হাততালি দিই
গ্রীষ্মের পরে এই আরম্ভ
আমর বিন্দু স্থানাঙ্ক ছাড়িয়ে ঘুড়ি হবার আগে
ধার দিই আলো ছাড়া ক্ষুর ছাড়া
একমাত্র আমাকে…



9 comments:
সেই গড়ন --- একেবারে আলাদা। ভিন্ন প্রকাশ। ভাষার নীল নিয়ে উড়াল- উড়াল ঢেউ আকাশকে শব্দ বলে ডাকে লেখনীর তাবৎ চালে।মুগ্ধ হতেই হয় তোমার রচনাগড়ের যাবতীয়ে।আহা! কী লিখেছো!এত্ত... শুভেচ্ছা তোমাকে ও তোমার কলমকে।এভাবেই তাক করে যাও ...
সব্যসাচী হাজরার কবিতা মানেই নতুন কিছু পাওয়া। ব্ল্যাকহোলের শারদীয় আয়োজনকে সমৃদ্ধ করেছে তাঁর কবিতা। কবিতায় চরিত্রগুলোর চরিত্রায়ন এককথায় অনবদ্য। গাণিতিক ও জ্যামতিক ভাবনার উপস্থাপনে তিনটি কবিতাই ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।
অভিনন্দন!
তোমার কবিতা এতটাই তোমার , যে ভাবনা ও ভাষার বহুরৈখিক গভীরতার সঙ্গে যেন তাল মেলাতে না পেরে , প্রবীণ বাংলা ভাষা নিজেই হোঁচট খায় মাঝে মাঝে , টাল সামলাতে না পেরে | এটা নতুন বলে খণ্ডিত করে দায়সারা মতামত দিয়ে যাওয়া যায় না | ভাষা আবহমানের |তার চলমানতা উৎস থেকে মহাসমুদ্রের দিকে | সেখানে কত মনীষা কত শ্রম , নিষ্ঠা , তিতিক্ষায় যেন মহাসাধকের পঞ্চমুন্ডীর আসনে বসে , ধ্যান করে চলেছে , অনুক্ষণ | এবার সেই ভাষার পুষ্টিতে , সেই ভাষার বিশ্বসভায় সবাই কী যোগদান করতে পারে ? যে পারে সে তার মধ্যেই নতুন কিছু দিয়ে যায় | সমকালীন সময় , সংসারের নিত্যবৃত্তে যে রাজনীতি , সম্পর্ক থেকে জীবনের সর্বত্র যার বহুমুখী ভূমিকা তাকে নিয়ে তুমি খেলেছো , সেই খেলায় এসেছে অংক , এসেছে মজা আর ব্রহ্ম নামক একটি গ্লোব যার আকৃতি ফুটবলের মতো | মানুষের গভীর মনস্তত্ব নিয়ে ভাষায় ভাবনায় রসায়নে যে বৈজ্ঞানিক দূরদৃষ্টি , যে নিরপেক্ষ নৈব্যক্তিকতা যা তোমার এখনকার কবিতার বাঁক বদলের একটা বড়ো দিক , তাকে সবিস্ময়ে উপলব্ধি করলাম | এই রকম সুদূরপ্রসারী কবিতার কন্সট্রাক্টিভ আলোচনা আরও হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি সব্য ۔۔۔আমার ভালোবাসা নিও |
ভীষণ ভালো লাগল। যেভাবে গতি ও মানুষ। জীবন ও জীবনের এপারওপার। বোধ ও বোধাতীত হয়ে বেঁচে আছি। নিজেকেই বার বার কত কিছুর মাধ্যমে চিহ্নিত করছি। ভাষার মোহে ভেসেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছি। এভাবেই দেখলাম তোমার কবিতাগুলোকে।
তোমার কবিতা একেবারেই তোমার মতো। তার ভাষ্য আলাদা। দেখার চোখ আলাদা। শব্দবন্ধও ভিন্নরকমের। কী অবলীলায় তুমি ভিন্নপাঠ তৈরি করো ভেবে অবাক হই। সময়ের ক্ষতস্থান শব্দে শব্দে তুলে ধরো। এইজন্যই তুমি আমার এত প্রিয়।
গ্ৰীষ্ম শীত বরাবর বিপরীতে। কবি সব্যসাচীর ডান চোখ বাঁ চোখ গান-চোখ সব বিপরীত কোণে উড়াউড়ি করে। মানুষ নক্ষত্র আর কুহুতানের মানুষেরাও বিপরীতে অবস্থান করছে। তাই কবিতা সৃষ্টি হয়। কবির ব্রাক্ষ্ম-চেতনা তাকে শুধু নির্লিপ্ত করে তোলে। হাঁসের ডানায় যে ধরনের জল-নির্লিপ্তি থাকে আর কি!
এই লেখাগুলো তোমার এক বিশেষ যাত্রাপথের সাইনপোস্ট। পাঠকের চিন্তা স্রোতকে নিয়ে যায় অজানা রহস্য সন্ধানে। কিছু অনন্তের দিকে। এক সময়ে পাঠক হারায়। এই হারিয়ে যাওয়ার আনন্দ অপার। পাঠক তখন বলে, আমি অপার হয়ে বসে আছি। সেখানে মহাকাল, সমকাল এক হয়ে যায়। সেখানে বিজ্ঞান আর মহাজ্ঞান এক হয়ে যায়...
এ কবিতায় তখন মুগ্ধতা বাড়ে। পাওয়ার লোভ বাড়ে
খুব ভালো লাগলো, ♥️
সেই সব্যর লেখা। এতটাই সব্যর। যা নিয়ত আবিষ্কৃত হতে চাই। এখানেও অন্যথা হলো না।অসাধারণ।
Post a Comment