দূর থেকে রোগা শব্দটা
হেঁটে আসছে। আমার চোখে চশমা নেই,
তবু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি শব্দটার রং।
এ-বছর পেট ভরে বৃষ্টি হলো না,
তাই নৌকোর ঠোঁটে কুহু নেই।
আর মাঠ থেকেও শোনা গেল না,
সবুজ গুঞ্জরন।
রোদের অহংকারের ভিতরেই
আমি দেখছি, থালার জুঁই আর
ফ্যাকেশে জিবের দূরত্ব।
পাহাড়চূড়ায় নৌকাবিলাসপালা
রিমেক হচ্ছে।
পাসবুকে বাঘের ডাক থাকলে সবই সম্ভব।
দেখতে দেখতে শব্দটা আমার সামনে
এসে গেল। দেখছি,
শব্দটার গায়ে আবরণ নেই। তাকে
দেখে নগ্ন শব্দটাও উধাও।
আমি তাকে কবিতার পোশাক পরিয়ে দিলাম।
সে চুপ। তার নৈঃশব্দ্যের প্রতিধ্বনি
ছড়িয়ে পড়ছে আকাশে।
আইসক্রিমবিলাসপালা
মগজের থলথলে ক্যানভাসে
ফুটে উঠেছে ২১টা জিজ্ঞাসাচিহ্ন। এখন
৪ ইঞ্চি কফি খুন করা যেতেই পারে।
বৃষ্টি ঝরছে। এসো বর্ষা। বুমেরাং
হয়ে এলে, আমি তোমার ত্রিভুজে ব্যাংকান্নার
স্বরলিপি খুঁজব না।
ইচ্ছামৃত্যুর কপিরাইট ভীষ্মের
বুকপকেট থেকে চলে গেছে, আপডেটহীন
ডিভানের গর্ভকেশরে।
তাতে আমার কী? আমি শুধু হারিয়ে
যেতে চেয়েছি। ইচ্ছাজন্ম চেয়েছি এক-ঠোঙা
শিহরনের মায়াবী কুঞ্জবনে।
আমার এখনো অক্ষরবৃত্তের স্নানঘর
দ্যাখা হলো না।
আমি কীভাবে ইচ্ছামৃত্যু খুঁজব বলো,
আমার এখনো লাল ঠোঁটে
আইসক্রিমবিলাসপালা দ্যাখা হলো না...



No comments:
Post a Comment