দীর্ঘসুত্রতা
ছবি ভাসিয়ে কেউ একজন ডাকছে
বুকে যা গড়েছো এবার তা দিয়েও তুমি ডাকবে
তোমার মুখের থেকে বেশি জোর এই আলোর
পথের ধারের কাঁটাগাছ ফু দিয়ে পিছনে ফেলবে
চমৎকার আসছে যেনে শান্ত বাদাম গাছ কেঁপে
কেঁপে উঠলো তাহলে
আতাগাছে চালতাগাছে আর কথা নেই
রোদের নরম পা এখন কেবলই উড়ুউড়ু
চাইচাই চোখ জল ছড়াচ্ছে আকাশে আর হবে না
ওর শিশির এত সরল দাঁড় করানো যায়
কেউ বলবে না হাতে হাত রেখেই দুর্বাঘাস হলো
এঁটো মুখেই অহ্লাদ হলো দিনের প্রথম ফকির
এই চারকোনা বাতাসে হাঁসের হলুদ পা পেরয়
বুকের ষোলোআনা সব গানেই ঢুকে যায়
নিরিবিলিতে ঘুম থেকে আবার ওকে তোলো
দিনের সমস্ত জট ছাড়ানো ভাতের থালায়
রিখ্টার স্কেল
দুমদুম এদিক থেকে গিয়ে ওদিকে ফেরা নয়
মাথার ওপরও গুড়গুড় করে ডাকছে
কাদের ঘরের মেঘ
চোখ থেকে কষ্টগুলো নামিয়ে রাখতে চাই
ফুলতোলা চাদরের ভেতর বনের দরোজায়
সিড়ির শরীর মন এখনো চকচক করে
রাত পোহালো সরে আসা বলুক মনোভাব
গালে টোকা দিয়ে ঘুমের নিস্পত্তি হোক
মহুয়া গাছের মতো টুকটুকে ফুল পড়ুক
একটু হেলে পড়া দিনের পর দিন দিয়েছো
জল তবু তোমার এতো মাথা গরম কেন
বাসকফুলের ইঞ্জিন ধার নাও
টিয়ার ঝাঁক উড়ে গেলেও কেউ খুঁজে
পাবে না বকবকম
বাঁশির ফুটো তার চোখ এখনো টনটন
সকালের ট্রেনে নামলো যে বউরিপাখি
তার হাবুডুবু হলুদজল কে আর কতটা দেখলো
পিপাসা ফস্কে যাচ্ছে স্ক্রাপবুকে
তবু চমৎকার ধরে রাখো ছায়া কলসি



No comments:
Post a Comment