হাজার বছর তোমার কথা ভাববো বলে
বহু পথ হেঁটে সাজিয়ে রেখেছি সোনার কড়ি,
অন্ধ সময় হাজার বছর বিস্মৃত প্রায়
তবুও এক, ঘুমে থাকা সোনার স্বপ্ন গড়ি ৷
তোমার কথায় ঠোঁটের পাশে উষ্ণ বাতাস
শরীর অসাড় এখনও মরণ জাগা বোধ,
হাজার বছর পাখীর ডানায় সন্ধ্যা নামে
রোজ হাঁটা-পথে পালায় হিংসা বোধ ৷
হাজার বছর মৃত্যু নামে অনেক মারণ ঝড়ে
কত কিছু দেখি নিজের হিসেবে বন্ধ পোশাক খুলে,
গাছেরাও হয়তো নতুন পাতায় ভরায় সবুজ আঁখর
বহু পথ হেঁটে আমিও ঘুরেছি তোমায় ভাববো বলে ৷
পরিচয়-হীন হাজার বছর বর্ষামুখর দিনে
যা কিছু জমিয়েছি তোমার আঙ্গুল পরশ দিয়ো,
এগুলোই আমার তোমাকে পাওয়ার সোনার কড়ি
হাজার বছর হেঁটে এরাই আমার পরম আত্মীয় ৷
অশ্রু মিলিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি জলে
এই জয়পুর শহরে এখন বর্ষাকাল
বেশ বর্ষাকাল ৷ আমাদের ট্যাক্সি -চালক
যুবরাজ ‘টোমার’ তাই বলছিল –
“গতবার সাব শুধু গরম ছিল ৷ ঐ যে
আপনারা বলেন ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে ৷
ফুটিফাটা জমিন ৷ কোই গাছ নেহি
না জঙ্গল আছে ৷ শুধু গোলাপি পাথরে
হাজার হাজার মৃত প্রজাপতি লাশ ৷”
এবার জয়পুর দেখে মনে হল
নদীখাতে মুখ নামাতে পৃথিবী যেন
চমকে উঠলো ৷ আর অনেক
আগেই বর্ষা নামলো ৷
গোলাপি শহর – এখন সবুজে স্নান করে দাঁড়িয়ে ৷
গাড়ী থেকে দেখা গেল
অনেকেই ছাতা না নিয়ে হাঁটছে
ব্যাগে রাখা হয়তো ৷ ছাতা খুলছে না – মনেহয়
মরুভূমি আবৃত দেশে বৃষ্টি ভিজতে
ভাল লাগছে ৷
শুধু একজন – বৃষ্টি ভিজে ভিজে চলেছে একা
সবার থেকে সে আলাদা৷
তা দেখে
যুবরাজ ‘টোমার’ বলছিল –
'”কাল রাতে যার বালি-বাড়ী ভেসে গ্যাছে
কোন নদী পাড় বার-জলে
সে একা অশ্রু মিলিয়ে দিয়েছে আজ গোলাপি শহর বৃষ্টি জলে “৷



No comments:
Post a Comment