নির্বোধ পঁচিশ
আকাশে এখনো ভাইরাসের গন্ধ
আগুন জ্বলবে
কোথায় দাঁড়িয়েছি বুঝিনি
পেটে রুটির স্বাদ মনে নেই
অক্সিজেন থমকে আছে
শুধু জানি রঙের মিছিলে আমার অধিকার
এ জন্ম কবে কখন হেঁটে ভ্যানিশ হবে
কোনদিন জীবাণুর আদিম থাবা ঘাড়ের ওপর
ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছি
এ জীবনে প্রশ্বাস ছাড়া কিছু চাই না
হঠাৎ শ্বাসহীন আগুন জ্বলবে
আমি আমরা দেখব না
অফুরান চুল্লী লাইন লম্বা হতে হতে দিল্লি অব্ধি
ভোর হলনার দেশে রাজার নীতি নয়
লাইনে লাশ দাঁড়াবে
একশ চল্লিশ কোটির আমি
ভাইরাসের হাতে মুখোশ-হীন ওটু-হীন
বৈশাখের কবিতাখাতা তুলে দিচ্ছি
একশ বছর পরেও সেই কবিতা
হয়ত কেউ কেউ পঁচিশ
পঁচিশের পর বাইশ
পঁচিশের পর যখন বাইশ আসে
আকাশ মুখভার করেছে
বাঁকানদী ডুবিয়ে দিয়েছে অর্ধেক বর্ধমান
দেওয়াল খসে খসে মাটির আধলা
আর আমি জবাকুসুম বলার আগেই
চারপাশ ডেল্টা ঘিরে ধরছে
এক চাপা আতঙ্ক
সবাই ডেল্টা চিনতে চায়,
যে দেশে ভ্যাকসিন নেই
শুধু মাইলখানেক লম্বা কুচকুচে মন কি বাত
ডেল্টা বই খুলে খাতা খুলে
ডি-বাই-ডিএক্স মাপতে শুরু করেছে
আস্তে আস্তে হাসপাতালের গলিতে দেখছি
লুডোর ছক্কা সাপ-মই ফুল-পঞ্জিকা
আর আকাশ জুড়ে অফুরন্ত বাণী
আমি রবি ঠাকুর শিখছি
জানি বাইশ এলেই
সে
মাঝরাতে আকাশের মেঘবাগানে
মিয়া কি মল্লার বাজায়
মুখভর্তি মুখোশের দাগ



No comments:
Post a Comment