স্বপন রায়-এর কবিতা
সীমান্ত সংঘর্ষ
পড়ে গেল, অনেকদূরে নয়, প্রায় বিন্দু
বিন্দুরা ডানা মেলার পরে
বিশ্রামের রোদ
শব্দ বা ট্রিগার তখনো নয়
হায় হায় করছে একটা লোক
তিরতিরে একটা ঘুড়ি
লেপ্টে আছে
কাঁটাতারে
অপেক্ষাথামা সামান্য রক্তে পাখিটা আর পাখিরা
লোকটা চুট্টা ধরায়
দেখে ওপারেও পড়ে যাচ্ছে হাল্কা অপেক্ষাশেষের রোদ
কয়েকটা ভাঙা বিন্দু
ডানা
আর রোজকার মত গান ধরে সে, সজনওয়া বৈরি হো গয়ি হমার...
মিষ
মাংস রাখে
কিন্তু খায় না
শরীর নিরামিষাশীর
রাখা আর ভেতরে
ছাগল,ভেড়া,গরু
মাংস খায় না
মাংস হয়
প্রাণ ধুকপুক করে
প্রাণ আবার নামও, ভিলেন ছিল মনে নেই?
আমিষ,নিরামিষ মানুষেরা
মাংস ছুঁয়ে ছুঁয়ে
বানালো
মানুষ
মাংস রাখেই
কেউ কেউ খায় না
জানলা আমার-১
শুঁয়োপোকা প্রজাপতির জন্য,
পুরো ব্যাটালিয়ান আকাশবানীর জন্য
শান্টিং-এর বাংলায় এসে দাঁড়িয়ে আছে ২৯ ডাউন,বেশ কুয়াশাও
পেরিয়ে আসার পরে মনে হল সব ঠিক আছে,এমনকি টোলটাও!
করার কথা নয়,করল
শরীর এরকমই
সল্টলেক বা গরফার ভাপ যেরকম নয়
চলে যাচ্ছে ২৯ ডাউন এরকমও নয় কিন্তু
ভোরে ষন্নতা থাকে,ভোরে “আমরা তো ছিলাম,আমাদের ছায়াও পড়তো” এই টানে শুরু হয় মার্চপাস্ট
আকাশ অ্যাব্রাহামের বেহালা
বানী শুধুই মাধবী, শুধু শুধু মাধবীমূলক
এবার এলো অরুণ,উদিত পরিবারে
আর কি চলো বাজার
আজ কুমড়োফুল কিনবো আর ইহলোকের পাবদা...
জানলা আমার-২
তুমি যেভাবে হেসেছিলে
সেই হাসি এখন ব্রিজ
মেঘের রঙে জিনসের রঙ
পিপাসা স্টিচ করা
ফুল ফল জায়গা বদলে নিচ্ছে
গ্রাম যে!
নদি পেরিয়ে এই সেই বিশ্বাসযোগ্য v
সুইং আছে
পড়লো ব’লে নিউটনও আছে
জানলা জানালায় রিয়ার ক্লু, সেও এক দূরের ক্রেয়ন
তেহাই তেহাই আজ নদীপেষা হাওয়া
তুমি কী ভাবে যেন
ব্রিজ কী ভাবে যেন
হাসি তো আছেই, গ্রাম যে হাসিকেই রাখে নবীনার কাঁধে ঈষৎই
সেই নদী কিভাবে যেন আর পেরিয়ে যেতে পারিনি

1 comment:
দারুণ । সবকটাই । অনবদ্য ।
Post a Comment