প্রদীপ চক্রবর্তীর কবিতা
মতো
মতো শুধু অবধারিত করো | দৃশ্য কী বাজবে তুলনা ছাড়া ?
মতো' র মনকেমনের মনে যেভাবেই শরীর মোচড়ায় , তাই - ই মোক্ষম লাস্য | পাগলটাকে সব তামাদি হয়ে গেছে বললেই , হেসে কুটিপাটি
ভাতের মতো নিরন্ন মানুষের জগৎসীমা
যেন কঙ্কাল হয়ে যাচ্ছে |
মতোকে ধুলোবালি বেসুরো মুখোশের ভেতর
ছেড়ে এসো ,
ওপারে ঘুমিয়ে আছে দেয়ালগিরি
মৌজা মহকুমার জরিপরেখায় রেখে এসো ,
চুল্লিঘরের চাঁদনিরাতে কিছু ফাঁকফোকর থেকেই যায় , এবার বসন্ত কাটাবো অহর্তের কাছে
দুদিনের অশ্বারোহী এসেছে রাজপোশাকে ,
মতো তবু অবধারিত
ছেঁড়া কানি পরা লোক সবুজে বাড়ছে বাৎসরিক হারে ,
শ্যাম গয়নার মতো দেহে তার পাগলের মাতোয়ারা
দেশান্তরে আঁধিয়ারে পুরোনো গাছের ফুল নুয়ে পড়ে
ছায়ার ছন্নে উচ্ছন্নে
দ্রিমিকি দ্রিমিকি দিম
অথৈ অব্দি ছেনালিপনায়
মেঘের দেহাতি দিয়ে অতলের পরিধি মাপে পাগল ...
অধিক
অধিক তাই অপবাদ | একবগ্গা কুয়াশা ঘুরতে থাকে আর রাস্তার ঠাঁইনাড়া হয় না | রাস্তা না জেনেই নিঃশব্দে ছড়িয়ে পড়ে সাইকেলের চলনদারি | সাইকেল চলতে শেখে নি তাই মানুষের শ্রেণীচরিত্র নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই |
বিষণ্ণ দীর্ঘসঙ্গী একজন চলে গিয়েছিলো সাইকেল ছেড়ে বন্ধ পৃথিবীর তালাচাবি নিয়ে
রংচটা চিলেকোঠায় যতবার ফিরে আসি সোঁদাগন্ধ ঘুণধরা কাক খুঁটে নেয় এবং আলতো হয়ে বাতাসে ছেড়ে দেয় সরলরেখা | কোথাও কোনও বাঁক নেই | প্রয়োজনভিত্তিক চিৎকারের মূল্য তাকে চিনিয়েছে ' স্বেচ্ছা রক্তদানে'র
গরিমা | বাড়িঘর হিজিবিজি ঢ্যাঁড়া গোল্লা শিশুর ম্যুরাল |
ভূত ও ভবিষ্যতের মাঝে অবস্থিতি স্বভাবত সবিকল্প , ইতস্তত উদ্দেশ্যবিহীন আলোরকণিকা
নিগ্রহকারীদের সম্পর্কগুলো রাস্তার মতন , অনুশীলনে গাঁথা |
অধিক কী ভাবে গিয়েছে ঝরে এই নিদাঘে কনককান্তায় অস্পষ্ট শ্যামকণা - শস্যখেত !
কবে যেন আমি নেমে দেখি পাড়াটির এক্কেবারে কিনারার কাছে টবের রঙ্গনে কুঁড়ি এলো | মরসুমি ফুলেদের মেঘ ঝরা গুলাবিগ্যাং |
হরিৎ ছায়ার বিজুবন | তমাল মৃগমাটি , কী প্রসন্নফুল্লরা !
আদল
নিস্তরঙ্গ শ্রাবস্তী আমাদের ছোট বাঁশঝাড়
মেঘরং - পরা বৃষ্টি আজ
মেয়েটির আদলে গড়া
দরজা ভাঙলো
মনের মহার্ঘ্য দিয়ে
শস্যের জখম থেকে সংক্রমিত ভ্যান গঘ
তাকে পত্রমোচন দেওয়া যাচ্ছে না
দেওয়া যাচ্ছে না ছায়ার বিন্দিয়া
চিবুকের তিল গড়তে
কেন যে চোখে জল আসে অবনীর
অবনী বিজনে সুহাসিনী যাকে ছেড়ে এলে পমেটম
রং - মিলান্তি সবুজের কাছাকাছি একটা মেলা
মেলার গঞ্জ
তরঙ্গ ছুঁয়ে মরা কাক
কয়েকফোঁটা জন্মান্ধ বৃষ্টি
সে তো সর্বনামের টপক
অনেক যুগের হরিণ পড়া বাবাই ...

No comments:
Post a Comment