মাত্র তিন ঘন্টায় তীব্র বশীকরন
ন্যূনতম পাঁচ মিনিট টিঁকে থাকার গ্যারান্টি নিয়ে নিজের মুখোমুখি দাঁড়াবার এক জীবন –
তান্ত্রিকের স্বপ্নের চেয়ে কম নয় ...
তান্ত্রিক জীবন শাস্ত্রীর রোদ্দুরের নাম কেউ জানে না। অথচ বিকেলবেলায়, সেপ্টেম্বরে,
সবকিছুতে যখন সেই বশীকরন প্রকট হয় ... অতীত থেকে তীব্র হয়ে ওঠে নামহীনতা ...
বাড়ি ফেরার বাসস্টপে অচেনা কোনও বাসরুটের নাম মনে আসে।
সবাই ভাবে, সন্ধেবেলার ফিরে যাওয়াতে পকেটে ঝমঝম করবে সারাদিন ...
কিন্তু প্রতিদিন যা কুড়িয়ে আনি ঘরে, প্রতিনিয়ত তা হারিয়ে যায় ...
পকেটের মধ্যে শুধু শৈশবের আমবাগান... ফুটবল বিকেল পেরিয়ে পুকুরবেলার সন্ধেজল...
আর জোনাকির রাত...
বিকেলবেলায়
ভয়গুলো দিয়ে বিকেল বানাও। পথ হলুদ বিকেলে ভরে যাক।
তখন দূরের কোনও কবিতার লাইন এসেছে পৃথিবীতে...
জলীয় বাষ্পের বাক্য সারাদিন শ্রাবণে শ্রাবণে ভেসে ... তখন স্তব্ধতা...
এবার বৃষ্টির পথে আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো। ইঁট ভাঁটা পার হয়ে
সবুজ জলের কাছে...
রৌদ্র হয়ে, শালিখের ডাক হয়ে, আর কোনও না-থাকার হাওয়া হয়ে...
বাড়িতে ফেরার টার্মিনাসে নিয়ে চলো...
বৃষ্টির সুতোয় বেঁধে স্মৃতি-পথ... মেঠো রাস্তা... খুব জল-কাদা লিখে দাও
আমাদের কবিতাতে
আর মার্কা চুলকুনির মলম
কথায় কথায় আটকে যাচ্ছে পা... কথা বলতেই পারি না...
হাজার হাজার কথা এসে চুলকে দিয়ে যাচ্ছে।
আর সারাদিন চুলকাচ্ছেন।
অটোমেটিক চুলকাচ্ছেন... চুলকুনি থামছে না...
বসন্তের বাক্যগুলো মুছে ফেলতেই
বিন্দু বিন্দু জমে উঠছে দীর্ঘশ্বাস গ্রীষ্ম,
ওদিকে রোদ্দুরে রং পাল্টে যায় সবুজ পাতার...
কেউ তো ভাবে না সময়ের কথা,
কোত্থেকে এসেছেন... কোথায় যাবেন এইসব রৌদ্র পার হয়ে,
কিচ্ছু জানা নেই
তবু নি:সঙ্গতার জাঙ্গিয়ায় সব ঢেকে
অটোমেটিক চুলকাচ্ছেন
চুলকুনি থামছে না...

No comments:
Post a Comment