তুলসীদাস ভট্টাচার্য
কবিতা থেকে দূরে
কবিতার পঙতি ধরে এগোলেই
রাতের আকাশে চাঁদ ওঠে।
ছায়াপথের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে
কখন যে কাঁকুরে মাটিতে পা ঠেকে!
লন্ঠনের আলোয় মাটির দাওয়ায়
অসুস্থ পিতার শ্বাস ওঠে।
নিভে যায় কবিতার আলো
ছানিপড়া চোখে উপন্যাসের পাতায়
হাতড়ে বেড়াই কবিতার পঙতি গুলি।
লালমাটি
তোমাকেই ছুঁয়ে থাকতে চেয়েছি
লালমাটি জুড়ে অসমাপ্ত ইতিহাস
শীর্ণ অক্ষরে বাউল বাতাস
হাতে বৈষ্ণবীর তুলসীর মালা
ফাঁকা মাঠে চেয়ে থাকা
আখড়ার অস্থায়ী কাঠামোয় শুধু লালন।
বৈরিতা
কবিজন্ম শেষ হলে মৃগশিরা ঝরে পড়ে
পর্ণমোচীর বাকলে চড়া রোদ
ছায়াহীন মাটি
হারিয়ে ফেলে আর্দ্রতা
বসন্তের হলুদ মাখামাখি জীবন ‚
কর্পূরের মত উবে যাওয়া
ক্ষনিকের হিমেল হাওয়া
বনসাই টবে এত বিরহ ও যন্ত্রনা
কুন্ডলী পাকানো পুঁটলির মত শেকড়ই
শুধু জেনেছিল নুড়িপাথরের সাথে
ফুল ও ফলের কতখানি বৈরিতা।

No comments:
Post a Comment