বিশ্বজিৎ দাস-এর কবিতা
আড়বাঁশি
১.
১.
শাশ্বত পুরুষ ছেড়ে চলে গেছে মেয়ে
কালকেতু আনে এক চতুর রমণী
সিরিয়ালে আসে যায় অযুত কুমারী
তোমায় জেনেছি কাল ধ্যান গান গেয়ে!
পাহাড় শরীরে নামে কোকিলের চোখ
সারাক্ষণ বাজে মধুর মধুর বংশী
কাব্যকলা কেন জনন বিমুখ হংসী
কেন লাঙলের ফাল আদর্শের শোক?
জানি, সব কিছু স্বপ্ন
তবু নেই ভয়
যে আসে, সে তো জানে
নিপুণ অভিনয়!
২.
আয়নার ব্যক্তিগত চোখ নেই। নুন
ইশারায় ডাকে, মুদ্রিত কামনা; হায়!
দুপাশে শরীর থাকে দুদিকে আগুন
পারার ভিতরে যাওয়া আসা, রক্ত খায়
নীতিকথা পড়ে! এভাবে হাড়ের ক্ষয়
এসো, জরিমানা করি; লবণ ছড়িয়ে
প্রবল শীতের কাছে চামড়া কতিপয়
পোকামাকড়ের উল্লাস হোক গড়িয়ে
আসা এক মৃত্যুর কবিতা নিয়ে আজ
তোমাকে বলাই হয়নি কখনও এসো না
আয়নার চারদিকে আর...
৩.
মিথ্যে কবিতার ঘুঘুর বাসায় এক
প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে যত গণ্ডগোল
কেউ কান্না কেউ শোক, কেউ বলছে জন্ম হোক
শরীর নামানো এক ঝরনা শাবক
জ্যোৎস্না ছোঁয়ানো রসটুকু খাক পাঠক
কেউ বলবে কবিতা পড়ুক গণেশ পাগল!
আসলে কি তাই? কবিতা হয় না কিছু
যত মুখ দুমড়ে এসব কথা বলা যে!
কবিতা পড়ুক যেন সারাজীবন হত্যাকারীকে...

2 comments:
কবিতাগুলো টানটান আকর্ষণীয়। ভিজবে পাঠক।
ভালো লাগলো বিশ্বজিৎ
Post a Comment