সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...
দ্বিতীয় বর্ষ। পঞ্চম প্রয়াস ।
স্মৃতির আয়না মহ. ওলিউল ইসলাম
হয়তো তোমার মনে আছ,
কিংবা নেই;
--- মটর বাবুর বাগান বাড়ির বিকেল সময় গুলো।
এখনো হৃদয়ের সোনার খাঁচায় তালাবন্দি|
--স্মৃতি গুলো পুষে রেখেছি সোহাগ-আদরে|
তোমার সেই দো'ফলা চুলের লাল ফিতার ফুল।
শুভ্রকোমল আলতা রাঙা পা,
এক পায়ের কেতা দেখিয়ে শরীর নাচিয়ে----
ছল্ কিত্ কিত্-তা খেলা|
আমি টায়ার দৌড়ের খেলা ছেড়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেখতাম।
--সে যে কি সুখ!!
এখনো খুঁজি |
কিংবা নেই;
--- মটর বাবুর বাগান বাড়ির বিকেল সময় গুলো।
এখনো হৃদয়ের সোনার খাঁচায় তালাবন্দি|
--স্মৃতি গুলো পুষে রেখেছি সোহাগ-আদরে|
তোমার সেই দো'ফলা চুলের লাল ফিতার ফুল।
শুভ্রকোমল আলতা রাঙা পা,
এক পায়ের কেতা দেখিয়ে শরীর নাচিয়ে----
ছল্ কিত্ কিত্-তা খেলা|
আমি টায়ার দৌড়ের খেলা ছেড়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেখতাম।
--সে যে কি সুখ!!
এখনো খুঁজি |
মনে আছে,কষ্টও হয়।
--সেভনি একবার হক্কে করে তোমাকে তেদ্দা করে দিয়েছিলো।
বুঝতে পেরেছিলাম তুমি দুঃখ পেয়েছিলে|
তোমার পাকমাটির বাঁধ দেওয়া খেলা ঘর থেকে মাটির পুতুল চুরি করেছিলাম।
যাদের তুমি শখ করে আলতা ও সাফিনা বলে ডাকতে।
তোমার খেলার ঘর 'মুনতোর' দিয়ে
বন্ধ করে রাখতে|
---"অলম্ কাঠি,বলম্ কাঠি ---যে যাবি তার বুক্কে কাঠি"|
এই ছিলো 'মুনতোর'|
বলতে--"যে এই ঘরে ঢুকবে, ভূতে তার বুকের হাড় ভাংগবে রাতে"।
তবুও আমি তোমার আলতা -সাফিনা কে নিয়ে পালিয়ে ছিলাম।
জান?আমি তাদের কত আদরে রেখেছিলাম !
তাদের খাওয়াতাম,গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতাম।
বলতাম "সাফিনা ঘুমাও,তোমার মা আসবে এখুনি|আব্বুকে বকা খাওয়াবে তোমরা?
আমি তোমার পুতুল ছেলে-মেয়ের আব্বাও হয়েছি।কি আনন্দ!!
--দুই দিন কেঁদেছিলে আলতা সাফিনার জন্য|
ঐ হারামজাদা লালকা না বল্লে আমি ধরা পড়তাম না,আলতা সাফিনা কেও ফেরত দিতাম না।
তারাতো আমার কাছে ভালই ছিলো।
তোমার পিসিকে দিয়ে মার খাইয়ে কেড়ে নিয়ে ছিলে আলতা সাফিনা কে।
মনে আছে, যাওয়ার সময় তোমার পিসির সেই ডর জাগানো বাণী।
--"জাস অই পাড়া দিয়্যা,তোকে উল্ট্যা কোর্যা টাংভো"।
আমি ছ'দিন যাইনি।তোমাকে দেখার জন্য মন ছট্ ফট্ করেছে।
আর তখনি পিসির কথা মনে পড়েছে।
--সেভনি একবার হক্কে করে তোমাকে তেদ্দা করে দিয়েছিলো।
বুঝতে পেরেছিলাম তুমি দুঃখ পেয়েছিলে|
তোমার পাকমাটির বাঁধ দেওয়া খেলা ঘর থেকে মাটির পুতুল চুরি করেছিলাম।
যাদের তুমি শখ করে আলতা ও সাফিনা বলে ডাকতে।
তোমার খেলার ঘর 'মুনতোর' দিয়ে
বন্ধ করে রাখতে|
---"অলম্ কাঠি,বলম্ কাঠি ---যে যাবি তার বুক্কে কাঠি"|
এই ছিলো 'মুনতোর'|
বলতে--"যে এই ঘরে ঢুকবে, ভূতে তার বুকের হাড় ভাংগবে রাতে"।
তবুও আমি তোমার আলতা -সাফিনা কে নিয়ে পালিয়ে ছিলাম।
জান?আমি তাদের কত আদরে রেখেছিলাম !
তাদের খাওয়াতাম,গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতাম।
বলতাম "সাফিনা ঘুমাও,তোমার মা আসবে এখুনি|আব্বুকে বকা খাওয়াবে তোমরা?
আমি তোমার পুতুল ছেলে-মেয়ের আব্বাও হয়েছি।কি আনন্দ!!
--দুই দিন কেঁদেছিলে আলতা সাফিনার জন্য|
ঐ হারামজাদা লালকা না বল্লে আমি ধরা পড়তাম না,আলতা সাফিনা কেও ফেরত দিতাম না।
তারাতো আমার কাছে ভালই ছিলো।
তোমার পিসিকে দিয়ে মার খাইয়ে কেড়ে নিয়ে ছিলে আলতা সাফিনা কে।
মনে আছে, যাওয়ার সময় তোমার পিসির সেই ডর জাগানো বাণী।
--"জাস অই পাড়া দিয়্যা,তোকে উল্ট্যা কোর্যা টাংভো"।
আমি ছ'দিন যাইনি।তোমাকে দেখার জন্য মন ছট্ ফট্ করেছে।
আর তখনি পিসির কথা মনে পড়েছে।
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলে।তখন বোধ হয় ক্লাস ফাইভ।শুনেছিলাম লালকার মুখে,তুমি নাকি শহরে চলে গেছো।
তোমার খালাজানের কাছে। ওখানেই নাকি থাকবে।
দাদির মুখে শুনেছি, তোমার মায়ের ক্যান্সারে মৃত্যুর পর তোমার আব্বু তোমাকে আর আগের মতো ভালোবাসতো না।
--কিছু দিন পরে গাঁয়ের রজিনা বেওয়া কে বিয়ে করেছিলো।
তার পরে তো ওরা তোমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে|
তোমার খালাজানের কাছে। ওখানেই নাকি থাকবে।
দাদির মুখে শুনেছি, তোমার মায়ের ক্যান্সারে মৃত্যুর পর তোমার আব্বু তোমাকে আর আগের মতো ভালোবাসতো না।
--কিছু দিন পরে গাঁয়ের রজিনা বেওয়া কে বিয়ে করেছিলো।
তার পরে তো ওরা তোমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে|
ছোট্ট নিহা কে কতদিন খুজেছি|
পাই নি।
কবে কবে তুমি নিহারীকা বেগম হয়ে গেছো। ফিরেছো গাঁয়ে।
সতেরো ক্লাস পাশ হয়েছো।আমি ফাইভ থেকে আর যেতে পারিনি আগে।বাপজান পড়ালো না।খুব কেঁদেছি।
পাই নি।
কবে কবে তুমি নিহারীকা বেগম হয়ে গেছো। ফিরেছো গাঁয়ে।
সতেরো ক্লাস পাশ হয়েছো।আমি ফাইভ থেকে আর যেতে পারিনি আগে।বাপজান পড়ালো না।খুব কেঁদেছি।
ওই চায়ের দোকানে হাতলুড়কা বানালো।
কিন্তু অপেক্ষায় ছিলাম তুমি একদিন আসবে।
--কিছু কথা বুকের ভেতর জমে আছে সে গুলো বলে একটু হালকা হবো।
আমিও বড় হয়েছি,আর তুমিও-----।
এখন আর বুঝতে-বোঝাতে অসুবিধা হবে না।
কিন্তু অপেক্ষায় ছিলাম তুমি একদিন আসবে।
--কিছু কথা বুকের ভেতর জমে আছে সে গুলো বলে একটু হালকা হবো।
আমিও বড় হয়েছি,আর তুমিও-----।
এখন আর বুঝতে-বোঝাতে অসুবিধা হবে না।
কিন্তু পোড়া কপালে কয়লার গুড়ো। শুনলাম এক নাম করা আইনজীবীর এক মাত্র ছেলের বৌ হতে চলেছো।
আমার জমানো কথা গুলো তালা বন্ধই থাকলো।
আমি জানি নসিব খারাপের কোনা চিকিৎসা নেই, ঔষধ নেই।
তবে আমার হৃদয়ে ভালোবাসা যেটুকু আছে সব তোমারি নামে।
মন বলছে আর একটু অপেক্ষায় থাকতে।জানিনা সামনে কি অপেক্ষা করছে।
অন্য মেয়ে কে বিয়ে করা বড় বেইমানী হবে হয়তো।
--তুমি সুখে থাকো, তাহলেই আমি শান্তি পাবো।
একদিন গল্পের ছলে আমার এই মনের কথা তোমাকে শোনাবোই।
সেই মুহুর্ত কবে আসবে জানিনা।
অপেক্ষায় আছি।
আমার জমানো কথা গুলো তালা বন্ধই থাকলো।
আমি জানি নসিব খারাপের কোনা চিকিৎসা নেই, ঔষধ নেই।
তবে আমার হৃদয়ে ভালোবাসা যেটুকু আছে সব তোমারি নামে।
মন বলছে আর একটু অপেক্ষায় থাকতে।জানিনা সামনে কি অপেক্ষা করছে।
অন্য মেয়ে কে বিয়ে করা বড় বেইমানী হবে হয়তো।
--তুমি সুখে থাকো, তাহলেই আমি শান্তি পাবো।
একদিন গল্পের ছলে আমার এই মনের কথা তোমাকে শোনাবোই।
সেই মুহুর্ত কবে আসবে জানিনা।
অপেক্ষায় আছি।

No comments:
Post a Comment