সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...
দ্বিতীয় বর্ষ। পঞ্চম প্রয়াস ।
সরধুনী চন্দ্রদীপা সেনশর্মা
বইমেলার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ধুনী নিজের ভিতরে টুকরো হতে থাকে। মনে মনে সামনে এগিয়ে যায়। সামনে মানে গন্তব্যহীন অদৃশ্য সেতু।সেতুর নীচে খরস্রোতার তীব্র টান। ধুনী যেমন দাঁড়িয়েছিল সেভাবেই মুখ তুলে আকাশে তাকায়। মেটে রঙের গালিচার মতো ভারী মেঘ বায়ুকোণে।বায়ুকোণে কি না কে জানে! মনে হয়। মনে কতো কী হয়, পাটভাঙা স্মৃতি নড়েচড়ে বসে।ধুনী এবার শহরের পথ দেখে। সেখানে তার অপেক্ষায় পনেরোশো স্কোয়ারফুট নিখুঁত সাজানো।কাছাকাছি মলে যাওয়া আছে।কিছু কেনাকাটা আছে। মাঘীপূর্ণিমার গায়ে বইমেলার রকমারি ফেস্টুন উড়তে থাকে। তার 'মাঘ সংক্রান্তির রাতে' কবিতা পাঠের ইচ্ছে হয়।
মৃত্যুগন্ধ মেখে রাত দাঁড়িয়ে আছে। কত জটিল অসুখ চারিপাশে।ধুনী অপারেশন টেবিলে এসব জটিলতা পার হয়ে এসেছে।চারবার। আজকাল জটিলতা ভালো লাগে না।সহজ কথা শুনতে চায়, সহজ পথে যেতে যায়। সামনের দিকে অভবি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অদৃশ্য সেতু পেরোলেই বাণপ্রস্থ পথ,হয়তো।পূর্ণিমার আলোর গায়ে ছলাৎ শব্দে স্রোতস্বিনী ধাক্কা মারে।টুকরো হয়ে যায় চাঁদ। পূর্বাভাস, জমাট মেঘ আগামীকাল বৃষ্টি নিয়ে আসবে।ধুনীর স্মৃতিপথে পুরনো বৃষ্টিপাত, ঘন সন্নিবিষ্ট। সে রাতে মেহগনি আলো চোখে নিয়ে কেউ এসেছিল।অনেক মানুষের আড্ডায় ধুনীর চোখ সে আলো খুঁজে নিয়েছিল। স্পর্শ কি শরীরের? না ছুঁয়েও ছোঁয়াচে জ্বর এসেছিল।
মেঘের জমায়েতে বইমেলার ফেস্টুনগুলো দেখা যাচ্ছে না। পূর্ণিমা এখন অনেকটাই নিষ্প্রভ। ফেস্টুনগুলো কাটাঘুড়ির মতো মুখথুবড়ে পড়েনি তো? ধুনীর প্রত্যাশা কি উড়তে উড়তে কাটাঘুড়ির মতো মাটি ছুঁয়েছো? কোন সীমানায়? ব্যস্ত সড়ক চল্লিশ পঞ্চাশ গতি ছুঁয়ে ছিটছে।
সরধুনী চন্দ্রদীপা সেনশর্মা
বইমেলার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ধুনী নিজের ভিতরে টুকরো হতে থাকে। মনে মনে সামনে এগিয়ে যায়। সামনে মানে গন্তব্যহীন অদৃশ্য সেতু।সেতুর নীচে খরস্রোতার তীব্র টান। ধুনী যেমন দাঁড়িয়েছিল সেভাবেই মুখ তুলে আকাশে তাকায়। মেটে রঙের গালিচার মতো ভারী মেঘ বায়ুকোণে।বায়ুকোণে কি না কে জানে! মনে হয়। মনে কতো কী হয়, পাটভাঙা স্মৃতি নড়েচড়ে বসে।ধুনী এবার শহরের পথ দেখে। সেখানে তার অপেক্ষায় পনেরোশো স্কোয়ারফুট নিখুঁত সাজানো।কাছাকাছি মলে যাওয়া আছে।কিছু কেনাকাটা আছে। মাঘীপূর্ণিমার গায়ে বইমেলার রকমারি ফেস্টুন উড়তে থাকে। তার 'মাঘ সংক্রান্তির রাতে' কবিতা পাঠের ইচ্ছে হয়।
মৃত্যুগন্ধ মেখে রাত দাঁড়িয়ে আছে। কত জটিল অসুখ চারিপাশে।ধুনী অপারেশন টেবিলে এসব জটিলতা পার হয়ে এসেছে।চারবার। আজকাল জটিলতা ভালো লাগে না।সহজ কথা শুনতে চায়, সহজ পথে যেতে যায়। সামনের দিকে অভবি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অদৃশ্য সেতু পেরোলেই বাণপ্রস্থ পথ,হয়তো।পূর্ণিমার আলোর গায়ে ছলাৎ শব্দে স্রোতস্বিনী ধাক্কা মারে।টুকরো হয়ে যায় চাঁদ। পূর্বাভাস, জমাট মেঘ আগামীকাল বৃষ্টি নিয়ে আসবে।ধুনীর স্মৃতিপথে পুরনো বৃষ্টিপাত, ঘন সন্নিবিষ্ট। সে রাতে মেহগনি আলো চোখে নিয়ে কেউ এসেছিল।অনেক মানুষের আড্ডায় ধুনীর চোখ সে আলো খুঁজে নিয়েছিল। স্পর্শ কি শরীরের? না ছুঁয়েও ছোঁয়াচে জ্বর এসেছিল।
মেঘের জমায়েতে বইমেলার ফেস্টুনগুলো দেখা যাচ্ছে না। পূর্ণিমা এখন অনেকটাই নিষ্প্রভ। ফেস্টুনগুলো কাটাঘুড়ির মতো মুখথুবড়ে পড়েনি তো? ধুনীর প্রত্যাশা কি উড়তে উড়তে কাটাঘুড়ির মতো মাটি ছুঁয়েছো? কোন সীমানায়? ব্যস্ত সড়ক চল্লিশ পঞ্চাশ গতি ছুঁয়ে ছিটছে।

No comments:
Post a Comment