|| সাপ্তাহিক ব্ল্যালহোল ওয়েবজিন ||
|| ১টি মাসিক স্বতন্ত্র সাহিত্য প্রয়াস...||
|| দ্বিতীয় বর্ষ ||
রঞ্জন মৈত্র
|| দ্বিতীয় বর্ষ ||
রঞ্জন মৈত্র
অনলাইন বিছানা
(১)
রাত হয়ে গেলে শব্দের ঘুম কেটে যায়
এই দরজা খোলার তো ওই জানলা
একটি ভূতকে মনে পড়ে
ছোটবেলায় ভালবাসত
বড়বেলায় কাছে আসত
ঘুমের ওষুধে কোন শব্দ নেই
সমস্ত হার্ট ফেসবুকে জব্দ হ'লে
বাকি চিহ্ন নিয়ে রাত জাগে অনলাইন বিছানা
শোনে আর শোনে
গোনে আর গুনতে থাকে ছায়ার নিঃশ্বাস
(২)
নিঃশ্বাসের ছায়াদের জায়গা হয় না
জানলাও অকুলান
বেবাক পরীক্ষাগার যোনি আর স্তন
লাভলীন চেস্ট আর দ্রিদিম বাইসেপস
ফুটছে ঠান্ডা হচ্ছে প্রবল হাততালি করছে
তামাম ছক্কা সবই বান্টু সিং-এর কারনামা
হে কামাল হে অরুণ হে বরুণ
কিরণমালার ফাঁকে জিভ নড়ে
শব্দ বাক্য সিনট্যাক্স সেলসট্যাক্স ওঠে বসে
বেশ রাতে ডাকব ডাকব করে লালঝুঁটি রেপ
কফি ও দরজার শ্বাস হিম হয়ে লেগে থাকে
ল্যাবের দেয়ালে
টাইম কল
সময়ের জল নাকি সময়ই সলিল
উত্তর খুঁজতে আজ চানই বকেয়া হ'ল
রোকেয়া রোকেয়া আমি আরেকবার বর্ডার পেরোলে
নিশ্চই দুপুরে খাবো চান করব সনেট শাওয়ারে
সনেটই শাওয়ার নাকি শাওয়ারের চতুর্দশপদী
আমারই স্বপ্ন যদি ফোঁস করা ইন্টারোগেশন
থানা ও থানেদারের চিপায় পড়ে থাকি সরু গলি
এত ভিজে এতটাই ভিজে
সরহদ পেরিয়ে সব ঢেউ এসেছিল
শরৎ পেরিয়ে শস্য কাটা হবে দুমুখো বাসায়
এবং হেমন্ত বলবেন আগুন জ্বালো
তারপর শ্যামল আরতি কত ঝরোঝরো সোনা
সনেট ইনটারনেট উত্তেজিত রান্নার মাঠ
পেনাল্টি তুমিই মারবে বন্ধু রোকেয়া
দু' হাত ছড়িয়ে আছি
গ্যালারির মাথা থেকে ঘড়িগলা স্রোত নামছে
খাওয়া তো হবেই, আগে গোসল সেরে নিই।
বসেরা
আজ করোনা কথা বলছে
কাল রোনা এবং রুমাল
বার বার ভিজে যাবে
একটা টানেলমুক্ত হাওয়া কতকিছু শুকিয়ে দেয়
যখন দূরে দূরে মিশে আছে ধপধপে বসেরা
চিনতে পারছি না
চাঁদে যাওয়ার পোষাকে লালারস অবদি পৌঁছনো যায়
তারপর ল্যাবে ল্যাবান্তরে মাত্র অসুখ নির্ণয়
তারপর টেবিলেই স্কাই ওয়াক
হাসতে হাসতে শুয়ে পড়ছে গেলাস
মদ চলে যাচ্ছে ভাইরাস পেরিয়ে শুশুনিয়ার দিকে
সামনেই রকশিক্ষা জলশিক্ষা মাস্ক আর গ্লাভস
করোনা না জেনেই মেট্রো পেরিয়ে যাচ্ছে কুদঘাট স্টেশন
রুমাল না জেনেই হাওয়ার ড্রায়ার
সাদা চারতলা কোন প্রতীক নয়, সৌমিত্র থাকত।

6 comments:
Wow
অসাধারণ
মেট্রোর শব্দে কবিতা বেজে উঠছে
ভালবাসা সবাইকে
এ সময়ের সবচে স্মরণীয় লেখাগুলো পড়লাম | এখন যা লিখছো তাই মাস্টারপিস হয়ে যাচ্ছে | বারীন দা বা মুন্না দা বেঁচে থাকলে আনন্দে কুচকাওয়াজ করতো | এক পোক্ত পূর্ণ নিখুঁত সীমাহীন রঞ্জনকে পাচ্ছি | কেবল স্তব্ধতা | আর তোমার কবিতার সেন্স অফ হিউমার , লা জবাব ...সত্যিই আমারও মনে হয়েছিল , চন্দ্রাভিযানের পোষাকে লালাজীর কাছে যাওয়া ! আমি লিখিনি.. তুমি লিখেছো ....তাই তুমি কবি আমরা পাঠকে মগ্ন ও মুগ্ধ ....
Post a Comment