গ্রীষ্মের দিবানিদ্রা এবং টিকটিকি মন্দিরা ঘোষ
ভরা গ্রীষ্মের দুপুর।বাইরে খই ফোটা রোদ।রোজকার মত দুপুর কেটে কেটে ভরে ফেলছি নিজস্ব কথোপকথনের খাম।
দিবানিদ্রার মত একটি বেয়াদপ ইচ্ছে উঁকি মারছে ইদানিং।
আসলে তোমার শব্দ জড়িয়ে ঘুমোনোর অভ্যেস পাল্টে ফেলেছি কবে!
দেওয়ালের টিকটিকি এখন আমার ভাল মন্দ ভাবনায় ঠিক ঠিক বলে মাথা নাড়ে।
নাছোড় কিছু দূরজ স্পর্শ ভোরের শিশিরের মত নামে চোখের তারায় আর অকারণ আবেগপ্রবণ হয়ে যাই।
প্রিয় খাতাটিকে কাছে টানলে অপ্রিয় খেয়াল পিছু নেয়...খাতার ওপর ঝাঁপতালে ত্রিতালে ওরা নেচে বেড়ায় ...ব্যঙ্গ ক'রে আমায় বিব্রত করে সদাই।
সরিয়ে রাখি...সরিয়ে রাখি তোমার জন্য জমিয়ে রাখা লোনা জলের মিছিল...সরিয়ে রাখি বুকের ভেতর হু হু বাতাসের ঘরে এলোমেলো চোখের হিসেব....তুমি বুঝবে না বলেই।
মুখ ফিরিয়ে দেখি জানলা দিয়ে গড়িয়ে আসে অবেলার ঢিমে রোদ, কাঠের খড়খড়ি দিয়ে আড়াল করি তাকে।ফাঁক দিয়ে তবু মরা রোদের ঔদ্ধত্য কমে না।ভেতরে ভেতরে অস্থির হই ।
ফোনের মোবাইল ডাটায় শাটার টেনে ভাবি বেশ একটা জব্দ করেছি...প্রিয় মুহূর্তের ঘরে মস্ত একটা ভারী কঠিন তালা ঝুলিয়ে দিয়ে! যেন খুব একটা শাস্তি দিলাম অদৃশ্য কোন আততায়ীকে যে এসব বিড়ম্বনার মুহূর্ত এঁকে চলেছে পর্দার আড়ালে থেকে।
দেওয়ালের টিকটিকি টিক টিক করে আমার ভাবনায় টিক মার্ক দ্যায়...আর চোখাচোখি হতেই ওর একগাল হাসি আমার চোখ এড়িয়ে পুরোনো বইয়ের আলমারিতে লুকিয়ে পড়ে।

No comments:
Post a Comment