Wednesday, December 25, 2019

রাইমোহিনী-সংযুক্তা পাল













২৩শে এপ্রিল ২০১৯/৯ই বৈশাখ ১৪২৬              রাইমোহিনী

শশ্মানের চুল্লীর মত কৃষ্ণ গহ্বর।আত্মলীনতার জন্য ধ্যানে বসেছে মৃত্যু। পরাবাস্তব তার হুঁকে টাঙানো শুকনো ব‍্যাঙ দাঁত বের করে হেসে ওঠে কখনো কখনো ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনে। শীতার্ত অন্ধকারের নিস্পন্দ উপলব্ধি র আনুগত্যে সত্তারা নিজের প্রতি সপ্রশংস অথচ কি গভীর এবং বিপুল অনাস্থা। স্ববিরোধ মাথা চুলকে যায় সমাধান খুঁজবে বলে-আত্মমগ্নতার প্রশান্তি বৈ আর কিছু মেলে না। রক্তের স্রোতে ধাবমান বৈপরীত্য বৈচিত্র্যের ধারক বটে কিন্তু ঊর্ণনাভর মত নিজেকেই কুঁরে কুঁরে খাবার পথ প্রশস্ত করে। রাস্তা সাজানো থাকে, সাজানো থাকে মৃতদেহ; শুধু সাজেনা তারা,যারা সঙ্গে পথ হাঁটে আর যারা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঐ দিনটার আর্তনাদ শুনতে পায়;আর যারা বাঁশির সুরের উন্মাদনায় নিস্পলক তাকিয়ে থাকে অন্তের দিকে তাদের ভিতরে চলতে থাকে খননকার্য, যেখানে একটার পর একটা পুরোনো সভ্যতার অস্তিত্ব বেরিয়ে আসতে থাকে। নান্দনিক সমৃদ্ধিকে অতিবাহিত সময়ের সৌকুমার্য ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর ন‍্যায় বেহিসেবী রকমের দৃঢ় করে তোলে। মাথার ঘিলুতে রক্তের ফল্গুধারা আচমকাই ফাটিয়ে তুলতে চায় অনন্ত বোধির শিকড়। তারই বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে আবিস্কৃত হয়ে যায় এক অখন্ডতার সূত্র। কোথায় আছি আর কোথায় যাব—গভীর অন্তর্লীনতাই তার উত্তর। কোন কোন দুপুরে শশ্মানের ছাইয়ে রাইমোহিনী তাই ভোর খুঁজে বেড়ায়।

No comments: