কাজল সেন
ভালো থেকো
আনন্দ নিয়ে এসেছ যখন
সারাটা দিন আনন্দেই থেকো
গোধূলি আলোর শেষটানে
আয়নায় দেখো তোমার মুখ
এমন তো নয় যে তোমাকে
হতেই হবে সুন্দরী শ্রেষ্ঠা
আড়ে ও বহরে
বেঁধে রাখতে হবে দুধেলা গড়ন
সেই সেবার যেদিন সাজানো হয়েছিল শুধু
আমের বাগান
দু’একটা চন্দ্রমল্লিকা শ্বেতজবা আর
নয়নতারা ফুলের বাগান
সেদিন কিন্তু কোনো প্রচলিত উৎসব ছিল না
কোনো গাছের তলায়
শান্ত বিছানায় ছিল না কোনো উদ্বেগের ঝড়
যতটা ভালো থাকলে মনে হয়
এই তো বেশ ভালো আছি
ততটাই ভালো থেকো
তোমার জন্মের পরিসরে
সন্ধ্যে হলে না হয় নিজেকে
কিছুটা গুটিয়ে রেখো আবডালে
তালপাতার বাঁশি বাজিয়ে যে যায়
রাতের অন্ধকারে সে নিজেকে হারায়
নৈঃশব্দ যখন মুখরিত হয় শব্দহীনতায়
একটানা নৈঃশব্দের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়
আমি ইতঃস্তত হাতড়াই শব্দহীন নৈঃশব্দের সন্ধানে
রাত এখনও বাকি অনেকটা রাত বাকি
বাকি রাত আমার জেগে থাকা এভাবেই নিবিড় অন্বেষায়
মধ্যরাতে তখনও জেগে থাকে অরণ্যের স্পর্ধিত মহীরুহ
চরাচরে দাদাগিরি যাবতীয় গুল্মলতার
নিকষ অন্ধকারে চোখে আলো জ্বেলে
শ্বাপদেরা হেঁটে যায় রাস্তায়
আমি জেগে থাকি আমার ব্যক্তিগত শয্যায়
রাত যেন অস্ত না যায় এই প্রার্থনায়
কথাটা বলতে গিয়ে হয়তো কিছুটা বাড়িয়ে বলা হলো
সাজিয়ে বলতে গিয়ে যৎসামান্য ত্রুটি থেকে গেলো
যতটা প্রাপ্তি ছিল মধ্যাহ্নের আলোর উজ্জ্বলতায়
প্রত্যাশা ছিল বেশি আরও নিপাট অন্ধকারে প্রাপ্তির সম্ভাবনায়
নৈঃশব্দ যখন মুখরিত হয় শব্দহীনতায়
দুচোখে আমার নেমে আসে অরণ্যের এলায়িত ঘুম
নিশ্ছিদ্র অরণ্যের বুকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি নির্ভাবনায়
জেগে থাকে শুধু অসামান্য গুল্মলতা
নিশাচর শ্বাপদ আর দীর্ঘ মহীরুহ

No comments:
Post a Comment